আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কালের কণ্ঠের সাকিব নামা! অবশ্যই পাঠ্য --- এবছরের দেশের পরার্থে সবচেয়ে সেরা উদ্যোগ

পড়ুন বালের কণ্ঠের হাহাকার (শীৎকার)। আজকে তারা লিখেছে এ জয় নাকি তাদের নয় পুরো বাংলাদেশের। কেন, কোন পরিস্থিতিতে তারা সাকিব তামিমের (মিথ্যা) দোষ সবার সামনে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আপনাদের সুবিধার্থে পুরো লেখাটা এখানে তুলে ধরছি। ওরা যদি আমাদের সতর্কবার্তাটা শুনতেন! গত বছরের নভেম্বরের শুরু।

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রস্তুতিতে বাংলাদেশ দল। ঠিক সেই সময়েই আমাদের, কালের কণ্ঠ স্পোর্টসকে বসতে হলো একটা আলোচনায়। হলো দীর্ঘ বিতর্কও। বিষয়, ক্রিকেটারদের, বিশেষত সাকিব-তামিমের আচরণ। ক্রিকেটারদের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে, কিন্তু সেটা খবর হয়ে ওঠে তখনই যখন তাতে দল বা ক্রিকেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বেশ কিছু দিনের পর্যবেক্ষণে আমাদের কাছে বিষয়টা সে রকম মনে হয়েছিল। কিন্তু তার পরও প্রশ্ন ছিল নিজেদের কাছে। দল যখন বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে তখন এ রকম কিছু প্রকাশ করা দলের ওপর কুপ্রভাব ফেলবে কি না? এই নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর আমরা সিদ্ধান্তে পেঁৗছলাম, এটা প্রকাশের ফলে দলের ক্ষতির যা আশঙ্কা, চেপে গেলে আশঙ্কাটা আরো বেশি। তাই ঝুঁকি নিয়ে, স্রোতের একরকম বিপরীতে গিয়ে ৮ নভেম্বর, ২০১০ কালের কণ্ঠ স্পোর্টসে ছাপা হলো তাঁদের আচরণের বিস্তারিত। বিষয়টা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে স্বাভাবিক কিন্তু আনন্দের বিষয়, বাংলাদেশের মিডিয়ার বড় অংশই এই অবস্থানকে সঠিক মনে করেছিল এবং তাঁরাও যার যার বিবেচনা মতো দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে দায়িত্ব পালন করেছে।

সাকিব-তামিম প্রীত হননি স্বাভাবিক, কালের কণ্ঠের স্পোর্টসের সঙ্গে নানা অসহযোগিতামূলক আচরণ করেছেন। কিন্তু আমরা তাঁদের বারবারই বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে, ব্যক্তিগত বিদ্বেষ নয় বরং তাঁরা সতর্ক হলে, আত্মবিশ্লেষণ করলে নিজেদের সঙ্গে সঙ্গে উপকৃত হবে দেশের ক্রিকেট। বলা বাহুল্য এর কোনোটিই হয়নি। হয়নি বলেই শেষ পর্যন্ত পদচ্যুত হলেন তাঁরা। কেউ কেউ বলছেন আমরা সফল হয়েছি কিন্তু সত্যি বললে আমরা নিজেদের সফল মনে করতাম যদি তাঁরা আত্মবিশ্লেষণ করে নিজেদের জায়গাটা বদলাতেন।

কারণ এটা তো সত্যি তাঁরা দুজন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের দুই বড় সম্পদ। তাঁদের ক্রিকেট সক্ষমতার সমর্থক আমরা ছিলাম, আছি এবং থাকব। তাঁরা যতই অসহযোগিতা করুন না কেন, আমাদের শুভ কামনা এবং কলম তাঁদের সঙ্গেই থাকবে। কি বুঝলেন ভাই? কোন মহৎ উদ্দেশ্যে তারা আজ বিজয় উৎসব পালন করছেননা একবার ভাবুন তো ! না ভাই অত ভাবাভাবির দরকার নাই, কারণ এর পর আছে আরো বড় ম্যাজিক। আপনাদের আর কস্ট দিতে চাইনা।

সোজা এখানে ক্লিক করুন, চলে যান সত্যের কূপে, সত্য জেনে আসুন। যান ভাই যান। তবে আপনাদের সুবিধার্থে পুরো লেখাটা এখানেও তুলে ধরছি। কারণ ওদের বালছাল লিংক তো কালকেই চইলা যাইবগা। ল কিন্তু লড়াইয়ের দিকে গেলেন না বেচারা স্টুয়ার্ট ল! বাংলাদেশের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কী ঝঞ্ঝাটের ভেতর দিয়েই না যেতে হচ্ছে ভদ্রলোককে! প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে দল নিয়ে জিম্বাবুয়ে গেলেন।

টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ হেরে সেটি পরিণত হলো দুঃস্বপ্নের সফরে। এরপর ছুটি কাটানোর সময় শুনলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও সহ-অধিনায়ক তামিম ইকবালকে করা হয়েছে পদচ্যুত। শুধু তা-ই নয়, জিম্বাবুয়ে সফরের সময় ড্রেসিংরুম থেকে হেড অব ডেলিগেশন শফিকুর রহমান মুন্না ও নির্বাচক হাবিবুল বাশারকে বের করে দেওয়ার 'দায়'ও সাকিব দিয়েছেন কোচকে। বিস্ফোরক এক পরিস্থিতি তাই তৈরি হয়েই ছিল। কেবল আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ খোলার অপেক্ষা।

কাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের প্রস্তুতি শুরুর দিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে স্টুয়ার্ট ল অবশ্য তা আর খুললেন না। বরং সদ্যসাবেক অধিনায়কের পাশেই দাঁড়িয়েছেন তিনি, 'এই প্রথম আমি দেখলাম, ম্যাচের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিটি মিনিট হেড অব ডেলিগেশন ও নির্বাচক ড্রেসিংরুমে থাকছে। আমার মনে হয়, খেলোয়াড়দের নিজস্ব এক জায়গা থাকা দরকার। সেটি হলো ড্রেসিংরুম। হোটেলে আমাদের চারপাশে থাকে সংবাদমাধ্যম।

এখন দেখলাম ড্রেসিংরুমে অন্য চাপের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। আমার মনে হয়েছে, ভালো ক্রিকেট খেলার প্রস্তুতির জন্য খেলোয়াড়দের কিছুটা স্পেস দরকার। ' শফিকুর ও হাবিবুলকে ড্রেসিংরুমের বাইরে যেতে বলেছেন যে তিনি, সেটি স্বীকারেও কুণ্ঠা নেই ল'র, "এটি সত্যি না যে খেলোয়াড়রা এসে আমাকে বলেছে ওদের বের করে দিতে হবে। আমি পুরো ব্যাপারটা দেখছিলাম। এরপর ওদের কাছে বলতে ওরা জানাল, 'যদি তুমি ওদের সরিয়ে দিতে পারো, তাহলে সেটি আমাদের জন্য ভালো হতে পারে।

' আমি তাই করেছি। যাদের চলে যেতে বলা হয়েছে, এটি তাদের বিপক্ষে ব্যক্তিগত কোনো আক্রমণ না। খেলোয়াড়দের স্বার্থেই তা করা হয়েছে। তারা বুঝতে পারছিল না তাদের উপস্থিতি অহেতুক চাপ তৈরি করছে। " এটি তো গেল অধিনায়কের মন্তব্য পরিষ্কার করার ব্যাপার।

কিন্তু অধিনায়ক-সহ-অধিনায়ককে যে সরিয়ে দেয়া হলো! ঘুণাক্ষরেও সেটি ভাবতে পারেননি বলে জানিয়েছেন ল, 'এ বিষয়ে আমার সঙ্গে কেউ আলোচনা করেনি। আমি ছুটিতে ছিলাম বলে হয়তো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে আমার মনে হয়, শুধু জিম্বাবুয়ে সফরের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়নি বোর্ড, সম্ভবত আগে থেকে চলে আসা ইস্যুও এর কারণ। দিন দুয়েক আগে ই-মেইলে আমি প্রথম জানতে পারি সাকিব-তামিমকে পদচ্যুত করার সিদ্ধান্ত। অবশ্যই খবরটি শুনে চমকে উঠেছিলাম।

তবে এটি ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্ত। সেটি মেনে নিয়েই আমাদের এগুতে হবে। ' অধিনায়ক হিসেবে সাকিবকে ভালো নম্বরই দিয়েছেন কোচ, 'অধিনায়ক হওয়ার পর কিন্তু ওর পারফরম্যান্সের উন্নতি হয়েছে। শুধু ভালো খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রেই এমনটা হয়। আসলে অধিনায়কত্বটা বিরাট চাপের।

আমার তো মনে হয়, বিশ্বক্রিকেটে এ মুহূর্তে হয়তো বাংলাদেশের অধিনায়ককেই সবচেয়ে চাপের মধ্যে থাকতে হয়। সে হিসেবে সাকিব দারুণ কাজই করেছে। ' এখন দলের একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে সাকিবের প্রতি ল'র পরামর্শ, 'অধিনায়কত্ব না থাকার এই চাপমুক্তির আনন্দ উপভোগ করো। অনেকের ক্ষেত্রে এটি বোঝা হয়ে যায়। সেটি থেকে এখন সে মুক্ত।

আগে তার প্রতিটি পদক্ষেপই চুলচেরা বিশ্লেষণ হতো। এখন যে আর তা হবে না, সেটি ভেবে নির্ভার হয়ে খেলাটি উপভোগ করার পরামর্শ আমি সাকিবকে দেব। ' জিম্বাবুয়ে সফরে ড্রেসিংরুমে তামিমের সঙ্গে কোচের বাদানুবাদের খবরও আছে। এ নিয়ে বোর্ড নাকি ক্রিকেটারদের আর্থিক জরিমানা করার কথাও ভাবছে। কাল ঘণ্টা তিনেকের প্র্যাকটিসে অবশ্য এর কোনো ছাপ দেখা যায়নি।

আর সেই ঘটনাকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন লও, 'সেটি ড্রেসিংরুমের ব্যাপার। আমাদের একট আলোচনা হয়েছিল। খুব কম সময়ের মধ্যেই এটি শেষও হয়ে যায়। খুব বড় কোনো ব্যাপার না। ' ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের জন্য দলের অধিনায়ক এখনো ঘোষণা করা হয়নি।

তবে নতুন অধিনায়ক খুঁজে পেতে সমস্যা হবে না বলেই স্টুয়ার্ট ল'র বিশ্বাস, 'এই দলে দারুণ সব ক্রিকেটার আছে, যাদের ক্রিকেট-জ্ঞান ভালো এবং খেলাটির প্রতি আবেগ আছে। নতুন অধিনায়ক হওয়ার মতো অন্তত ছয়জন ক্রিকেটার দলে আছে বলে আমি মনে করি। ' এই 'ছয়জন'-এর মধ্যে যাঁকেই দায়িত্ব দেওয়া হোক, ল'র শুরু করতে হবে একেবারে শূন্য থেকে। নতুন অধিনায়কের সঙ্গে কোচের বোঝাপড়ার একটা ব্যাপার আছে না! দেখুন এখানে ল কে কিভাবে(!) মহিমান্বিত করা হয়েছে। প্রতিটা গুরুত্বপূর্ণ বাকে কিন্তু হয় কোটেশন নাহলে বিস্ময়চিহ্ন দিয়ে তারা লকে গাণ্ধীর(!)চেয়েও অহিংস নেতা বানিয়ে ছেড়েছে।

সাকিব সব দায়ভার ল র উপর চাপিয়ে বাচতে চাইলেও ল পাল্টা আঘাত না করে সব আঘাত নিজের বুকে তুলে নিয়েছেন। ঠিক আগের দিনের বাংলা সিনেমার বড়বউ, মেজবউ, ছোটবউদের মত যারা দজ্জাল শাশুরী আর ননদের সব লান্চনা গণ্জনা মুখ বুজে সয়ে যেতেন। আপনাদের কি মনে হচ্ছেনা আজ ১৯৭১ এর পর বাংলাদেশে আবার একজন বীরউত্তমের আবির্ভাব হয়েছে? হ্যা বালের কণ্ঠের তাই মনে হচ্ছে। তাই তো তারা স্টুয়ার্ট লকে আরেকজন বীরউত্তম বানিয়ে ছেড়েছেন। সত্যি বালের হেডম আছে।

তারা হাবা সুমন, শফি মুন্না আর স্টুয়ার্ট লর বাল টেনে তুলে ছিড়ে এ সত্য তুলে ধরেছেন। এজন্য জাতীয় স্বার্থে তারা সামান্য মিথ্যার আশ্রয় নিতেও দ্বিধান্বিত হচ্ছেননা! আর পাঠক মনে রাখবেন এটা কিন্তু ধর্মে জায়েজ আছে! শুনুন আজ থেকে বালের কণ্ঠ পড়ুন আর সত্য জানুন। এটাই বাংলাদেশে একমাত্র এন্টিড্যান্ড্রাফ শ্যাম্পু দিয়ে বাল ধোয়া পানিতে ওয়াশ করা মন্ড হতে প্রস্তুতকৃত কাগজে লিখিত পত্রিকা যারা বাল ছেড়া সত্য উদ্ঘাটন করে পাঠকের সামনে তুলে ধরে। তাই এর সত্য নির্ভেজাল। আপনারা নির্দ্ধিধায় এই পত্রিকা পড়ুন আর বিশ্বাস রাখুন।

বাংলাদেশের আর কোন পত্রিকা কি লিখল না লিখল তাতে মাথা ঘামাবেননা প্লীজ। অফটপিক: আপনাদের পচা আলু আর সমকালের লিনক দিলাম নিচে। পচা আলু১ পচা আলু২ সমকাল১ সমকাল২ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।