আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মমতা নাটক! মমতা নাটক!! - আমাকে ঠকাইলি ক্যানো?

মহান ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর ঐতিহাসিক (!) বাংলাদেশ সফর শুরুর একদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা নাটকীয়ভাবে ঘোষণা করেছেন যে, তিনি মনমোহনের সাথে বাংলাদেশ সফরে আসবেন না। কারণ? কারণ হল প্রস্তাবিত তিস্তা পানি বন্টন চুক্তিতে পশ্চিমবঙ্গকে বঞ্চিত করে বাংলাদেশকে বেশি পানি দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এই ঘোষণা মাটিতে পড়ার আগেই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে যে, মমতার আপত্তিতে কোন চুক্তি হবে না। ফলাফল? চুক্তি হচ্ছে না। পুরো বিষয়টিকে একটি কঠিন সাজানো নাটক মনে হচ্ছে।

এই নাটক হিট হতে বাধ্য। মমতার ঘোষণার অন্তর্নিহিত অর্থ হল, ভারত পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ উপেক্ষা করেও বাংলাদেশের সাথে চুক্তি করতে যাচ্ছিল - এটি হাসিনা সরকারের বিশাল সাফল্য; এটি একটি ঐতিহাসিক লাভজনক চুক্তি। এটাই যদি ঘটনা হয়ে থাকে তবে বাংলাদেশ সরকার চুক্তির ব্যাপারটা প্রকাশ করছে না কেন? মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে সরকার প্রতিনিয়ত নিজের গলায় নিজেই মালা পড়াচ্ছে, আর এরকম একটি লাভজনক চুক্তির সত্যি খবর প্রকাশ করে ক্রেডিট নিতে সরকার এত গড়িমসি কেন করছে তা বুঝতে পারছি না্। আসল ঘটনা যেটা মনে হচ্ছে, আগের গঙ্গা পানি বন্টন চুক্তির প্রভাবে বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশকে সফলভাবে মরুকরণ করা সম্ভব হয়েছে। রাজশাহীর সেই প্রমত্ত পদ্মা এখন ইতিহাস।

এখন তিস্তা চুক্তি সই করে নোয়াখালী, ফেনী এই এলাকাকে ধরা হবে। বাংলাদেশকে মরুভূমি করলেই শুধু হবে না, উল্টো মহান ভারতবাসীর তৃষ্ণার জল যোগান দেওয়ার জন্য ফেনী নদী থেকে ভারতমাতাকে পানি তুলে নিয়ে যেতে দিতে হবে। একদিকে পানি দেবে না, অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ যা পানি আছে তা থেকেও দাদা-দিদিদেরকে পানি দিয়ে দিতে হবে। দাদা-দিদিদের তৃষ্ণা যে অনেক বেশি! এমতাবস্থায় বাংলাদেশে প্রতিবাদ অবশ্যম্ভাবী। এই প্রতিবাদ কীভাবে ঠেকানো যায়? গওহর আর মশিউরকে একাধিকবার পাঠানো হল পশ্চিমবঙ্গে।

হতে পারে, নাটকের স্ক্রিপ্ট তখনই লেখা হল। ভারত বাংলাদেশকে প্রাপ্য অংশও কোন দিন দেয়নি, আর সেই ভারত পশ্চিবঙ্গকে বঞ্চিত করে বাংলাদেশকে দেবে পানি - দিয়ে দেওয়ার আগে কখনও বিশ্বাস করি না। নাটক, নাটক, কঠিন নাটক। এখন নাটকের দ্বিতীয় পর্ব দেখার জন্য অপেক্ষা করছি। এখন জননেত্রী ড. শেখ হাসিনা ঘোষণা করবেন যে, "প্রিয় দেশবাসী আপনারা দেখুন, পশ্চিমবঙ্গকে বঞ্চিত করেও ভারত বাংলাদেশকে পানি দিচ্ছে।

এরকম একটি সফল চুক্তি বিরোধীদল সহ্য করতে পারছে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাঁধাগ্রস্থ করতে এবং দেশের উন্নয়ন চায় না বলে, বিরোধীদল গভীর ষড়যন্ত্র করছে। আমার চেয়ে দেশ্রপ্রেমিক আর কে আছে?" ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।