আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি অমিমাংসিত রহস্য(১৮+) এখন না বাচ্চারা বড় হলে পড়বে।

সব কথা বলা যাবে, সত্যটা বলা যাবে না। (সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছ। ) সব ছোটদের মত আমি সিনেমা পাগল ছিলাম। নিন্ম মধ্যবৃত্ত পরিবারের ছেলে আমি। তাই বিটিভিই ছিল একমত্র সম্বল।

সেখানে দেখতাম সাবানা, ববিতা, কবরী, অঞ্জু, চম্প, হালের ময়ূরী ঝুমকা, পলি, শাবনুর এবং মৌসুদের সিনেমা। আমার কাছে রহস্যময় লাগত নায়িকাদের বুকের আকৃতি। পরিবেশের সাথে গল্পের সাথে বদলে যায় বুকের আকৃতি। নায়কের সমনে গেলে ফুলে গোল হয়ে থাকে। বাবার সামনে গেলে ছোট একটু লম্বাটে।

আবার কিশোরী চরিত্রে অভিনয় করলে বুক চেপে যায়। আর্ট ফিল্মে একরকম আকৃতি বানিজ্যি ফিল্মে অন্যরকম। আমি যতদূর জানি একটা সিনেমায় অভিনয় করতে সময় লাগে। এক থেকে তিন মাস। বর্তমানে সেটা ১৫ দিনে নেমে এসেছে।

প্রতিটা সিনেমার জন্য আলাদাভাবে ব্যয়াম করে বুকের আকৃতি এততাড়াতাড়ি বদলে দেওয়া যায় না। এর মাঝে বুকের আয়তন এত বদলায় কি ভাবে? এই রহস্য নিয়ে বন্ধুদের প্রশ্ন করি। কেউ নির্ভরযোগ্য উত্তর দিতে পারে না। বিষয়টা এখনকার ছবির মধ্যেও দেখি। পরিস্থিতি অনুসারে নায়িকার বুকের আয়ত শর্টের সাথে সাথে বদলে যাচ্ছে।

এই রহস্য সমাধানের জন্য সিদ্ধান্ত নিলাম পরিচালক হব। ঢাকা ফিল্ম ইনিস্টউট থেকে 22তম ব্যাচ সফল ভাবে শেষ করলাম। পথে ঘাটে ঘুড়ি আড্ডা দেই। শুটিং দেখার সুযোগ নাই। আজিজ মার্কেটে যাই।

সাহস হয় না কোন নায়িকাকে আমার মনের প্রশ্নের কথা জিজ্ঞাসা করি। অনেক দেনদরবার করে একজন পরিচালকের সাথে সহকারি হয়ে কাজ করার সুযোগ হয়। তারও ওটা ছিল প্রথম নাটক। তিনি শুটিং করবেন কক্সবাজারে। পুর ইউনিট চলে যাবে কক্সবাজারে।

আমার কাজ হল নায়িকাদের এসিবাসে উঠিয়ে দেওয়া। নায়িকাদের গাড়িতে উঠিয়ে দিতে গিয়ে মনটা ভাল হয়ে গেল। দু'জনই জনপ্রিয় এবং বুকের সাউজও দৃষ্টিনন্দন। আমরা যাব ইউনিটের বাসে দলবেধে প্রডাকশন বয়দের সাথে। সকালে আমরা কক্সবাজার পৌছলাম।

নাস্তা খেয়ে পরিচালক বলল, যাও নায়িকাদের বল ফ্রেস হতে। আমি গিয়ে দরজা নক করলাম। দরজা খুলে দিল একজন নায়িকা, হায় তার সেই বৃত্তাকার বুক কোথায়। এই দেখি বুক ঝুলে আছে রাস্তার মেয়েদের মত। মনটা খারাপ হয়ে গেল।

বলা চলে চরম হতাশ হলাম। এই দেখি সেই ক্যামেরার সমনের রহস্য বাস্তবতায়। প্রথম দৃশ্যে নায়িকা শাড়ি পরে আসে। গোলপিী শাড়ি। গোলাপী ব্লাউজ।

আর নতুন মাপের গোলাকার বুক। সমূদ্রের বাতাসে দৃষ্টা হয়ে ওঠে চরম গরম। রাতে কিছু দৃশ্য শুট হবে হোটেলে। ইনডোর। নায়িকা ফতুয়া পরে এসেছে।

ফতুয়ার সাথে মানান সই। বেশ ছোট বুক। পরিচালক তাকে ডেকে নিয়ে কানে কানে কি জানে বললেন। সে ম্যাকাপ শব্দ উচ্চারন করে চলে গেল। দশ মিনিট পরে চলে এলেন নতুন সাইজ নিয়ে।

পরিচালকের দিকে তাকিয়ে বলল, টিভির সেনসর খুব কাড়া(২০০৮ সালের ঘটনা) কেটে দেলে তোমার দোষ। তবে আমি আবার মুগ্ধ হলাম সেই পুরনো গোলার বুক দেখে। আমি রাতে ক্যামেরা ম্যানের সাথে শুয়ে শুয়ে গল্প করছি। তাকে বললাম বিষয়টা তো আমার কাছে কঠিন রহস্য মনে হচ্ছে। সে হাসি দিয়ে একটা গল্প বলল, ধর তোমার একটা সাইকেল আছে।

সেটাকে তুমি চালাইবে। কত দিন চালাইতে পারবে? দশ বছর। আর যদি সেটা ভাড়া দাও। কত দিন চালাইতে পারবে। তিন বছরের মধ্যে সব কিছু একাকার করে ফেলবে।

নায়িকাদের বিষয় হল এমন। শুটিং চলে দেশে বিদেশে দিনে রাতে। শতশত পরিচালক শতশত প্রডিউসার। সে তো একজন। কি থাকবে আর ভেতরে বল।

-তহলে কি তারা কাহিনীর সাথে মিল রেখে কাপড় পেচিয়ে ব্লাউজের মধ্যে ভরে? -পরিচালক হও। তখন সব বুঝব। আসলে আমি তিনটা নাটকে সহকারি পরিচালক ছিলাম। পরিচালক হওয়ার আগেই টিভি মিডিয়াকে গুডবাই জানিয়ে দিয়েছি। তাই এই রহস্য আমার কাছে আজও রহস্য হয়ে রয়ে গেছে।

যার মিমাংশা আমি করতে পারিনি। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.