আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিলার রসু খাঁ বেখসুর খালাস

বাংলা আমার দেশ বহুল আলোচিত সিরিয়াল কিলার রসু খাঁর বিরুদ্ধে করা একটি মামলার প্রথম রায়ে বেখসুর খালাস পেয়েছেন তিনি। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক রবিউল হাসান এ রায় ঘোষণা করেন। ফরিদপুরের কিশোরী পপি ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় এ রায় ঘোষণা করা হয়। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট মো. আইয়ূব খান বলেন, ‘পপি হত্যা মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছিল গত বুধবার।

রবিবার রায়ে রসু খাঁকে আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছেন। মামালায় আমরা তাকে দোষী প্রমাণ করতে পেরেছিলাম। কিন্তু রায় সন্তোষজনক না হওয়ায় আমি ডিসি’র মাধ্যমে উচ্চ আদালতে আপিল করব। ’ রায় ঘোষণার সময় আসামি রসু খাঁ আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন করা হয়।

এমনকি কোনও সাংবাদিককেও এজলাস কক্ষে ঢুকতে নিষেধ করেন বিচারক। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৯ ফেব্র“য়ারি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার হাঁসা গ্রামের হাঁসা বিল থেকে কিশোরী পপির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা কেউ লাশের পরিচয় দিতে না পারায় প্রথমে ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মীর মাহাবুবুর রহমান নিহতের নাম উল্লেখ ছাড়াই একটি হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ দেড় বছর এ মামলার শুনানী শেষে গতকাল তার বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায় ঘোষিত হয়। রায়ে উলেখ করা হয়- মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভিকটিমের বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানাতে পারেননি।

তদন্ত কর্মকর্তা মীর কাশেম মামলাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করেছেন। এমনকি সুলতান খাঁ নামের এক সাক্ষী শুনানি চলাকালে আদালতকে তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ করেছিলেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট রসু খাঁর ১৬৪ ধারায় জবানবিন্দ নেয়ার সময় তা যথাযতভাবে গ্রহণ করেনি। উলেখ্য, পপি’র পরিচয় উল্লেখ না করা এবং তদন্তে বিভিন্ন অসঙ্গতির জন্য গত ৯ আগস্ট পিপি অ্যাডভোকেট আইয়ূব খান মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন জানান। পরে আদালত আবেদনটি খারিজ করে দেন।

সূত্র জানায়, চাঁদপুরের একটি ডাকাতি মামলায় রসু খাঁকে পুলিশ ২০০৯ সালের ৬ আগস্ট প্রথমে গ্রেফতার করে। এরপর একে একে তার বিরুদ্ধে থানায় হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১১টি মামলা হয়। গ্রেপ্তারের পর রসু খাঁ ৯ ফেব্র“য়ারি নিহত ওই কিশোরীর নাম পপি এবং তার বাড়ি ফরিদপুর জেলায় বলে জানিয়ে তাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এমনকি পারভিন হত্যার ঘটনায় আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতেও রসু খাঁ বিষয়টি উল্লেখ করেন। ২০১০ সালের ৯ মে পপি হত্যা ও ধর্ষণ মামলার চার্জ গঠন করা হয়।

প্রসঙ্গত, রসু খাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া ১১টি মামলার মধ্যে চাঁদপুর থানায় দায়ের হওয়া ছয়টি হত্যা মামলা বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন আছে। রসু খাঁ বর্তমানে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক আছেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.