শিরোনামহীন কালকের প্রথম আলোর ৭তম পাতায় এসেছে সংবাদটা। নজরে পড়েনি আমার; না পড়ারই কথা এত ছোট করে এসেছে। অবশ্য শুধু এটা না, এরকম অনেক খবরই আসে, কয়টার খবর রাখা সম্ভব?
খবরটা এরকম:
রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে বাসার সামনে থাকা অ্যাম্বুলেন্স থেকে ইফতেখার আহমেদ ওরফে বাপ্পী (২৬) নামের একজন ব্যাংক কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ইফতেখারের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইফতেখারের মা শাহিদা আক্তারের অভিযোগ, স্ত্রী মারিয়া ছন্দা তাঁকে হত্যা করেছেন।
পুলিশ বলছে, ঘটনাটি রহস্যজনক।
মিরপুর থানা সূত্র জানায়, যমুনা ব্যাংকের ফার্স্ব এক্সিকিউটিভ কর্মকর্তা ইফতেখার তাঁর স্ত্রী ও সাত মাসের সন্তান মেনহাকে নিয়ে মিরপুর ১০-এর বি-ব্লকের দুই নম্বর লেনে ভাড়া থাকতেন। স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ইফতেখারের লাশ উদ্ধার করে। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
ইফতেখারের মা শাহিদা আক্তার বাদী হয়ে পুত্রবধূ মারিয়াকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর পুলিশ মারিয়াকে গ্রেপ্তার করে। মারিয়া বলেছেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে ইফতেখার গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইফতেখার ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল। ইফতেখারের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বাইতকান্দিতে।
সূত্র:
অ্যাম্বুলেন্স থেকে ব্যাংক কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার, স্ত্রী গ্রেপ্তার
যে কারণে খবরটার ভেতরের খবর জানতে পারলাম সেটা হলো মৃত লোকটা ছিলেন আমার বন্ধুর সহকর্মি। কালকে একসাথে শপিং করতে গিয়ে শুনলাম আরেক মর্মান্তিক সংবাদ।
বাপ্পীরা ২ বোন, ১ ভাই; বাবা মারা গেছেন, মা আছেন। এক মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় বাপ্পীর ২ বোনই মারা যায়। আপন বলতে এই দুনিয়াতে কেবল মা-ই আছেন।
মারিয়ার সাথে বাপ্পীর ১০ বছরের বেশি সময়ের সম্পর্ক। বছর দু'য়েক হল বিয়ে করেছেন (আমার বন্ধুকে নাকি দুষ্টামি করে প্রায়ই বলতেন ও বিয়ে করেনা কেন)। বাপ্পীর কপালে যে আরো দুঃখ জমা ছিল সেটা বুঝা গেল বিয়ের পর। বউ-শ্বাশুড়ীর মধ্যে দেখা দিল অমিল। অসহ্য অবস্থা থেকে বাচতে মা'কে একা রেখে অন্য বাসায় দু'জনে থাকা শুরু করলেন।
এর মধ্যে আবার একটা বাচ্চাও হল ওদের। কিন্তু, অশান্তি যায়না। ব্যর্থ হয়ে অবশেষে চলে গেলেন না ফেরার দেশে; এক অসহায় মা এবং এতদিনের ভালবাসার মানুষ ও নিজের ঔরসজাত সন্তানকে ফেলে রেখে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।