চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা প্রগতিশীল কারা?
যারা ধর্মকর্ম মানে না, আধুনিক জীবন যাপনে অভ্যস্থ, মদ কিংবা মেয়েতে কোন দ্বিধা নেই।
পশ্চিমাদের জীবন যাপন যাদের কাছে অনুকরনীয়। সামাজিক বিধি নিষেধের তেমন কোন তোয়াক্কা করে না।
প্রগতিশীলদের এরূপ একটি সংজ্ঞা প্রায়শ:ই ভুতের মত আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়।
যার ফলে ধর্ম কর্ম করলেই আপনি প্রতিক্রিয়াশীল।
মদ সিগারেটের ধারে কাছে না থাকলে বুঝতে হবে সামাজিক কিংবা ধর্মীয় অর্গল আপনি ভাংগতে পারেনি। ওগুলো গ্রহন করার মত উন্নত মন মানসিকতা আপনার গড়ে উঠেনি। শিল্প সাহিত্যে আপনি অতটা মেবাধী নন।
মেয়েদের নিয়ে রং তামাশা কোনদিন করেন নি ত আপনার কোন রসবোধই নেই। ওরা আপনার আশেপাশে কিংবা আপনি ওদের আশেপাশে ঘুরঘুর না করলে বুঝতে হবে আপনার মধ্যে আধুনিকতার ঘাটতি আছে।
চিন্তাভাবনায় আপনি অনেক পিছিয়ে।
প্রগতিশীলদের আবার সাত খুন মাপ। কোন অনাচার ঘটালে মনে করা হয় ব্যপারটা স্বত:ষ্ফুর্ত। নিন্দনীয় কিছু নয়। তাই কোন মেয়েকে নিয়ে অশালীন কোন মন্তব্য করলে সেটা হয়ে উঠে নাইস হিউমার।
মাতাল হয়ে মাতলামী করলে , অনেকে তাতে মেধার ঝিলিক দেখতে পান। আর কারো ধর্মীয় অনুভুতি নিয়ে হাসি খেলা করলে ত কথায় নেই। প্রগতিশীল কাতারে সামিল হওয়ার সবচেয়ে সহজ পন্হা এটি।
কাজে কর্মে এদের তেমন কোন প্রগতি লক্ষ্য করা যায়না, তাদের মেধার কোন স্বাক্ষর মেলে না কোথাও। এরা সমাজ থেকে সবটুকুও নেয়, দেয় খুব কিন্চিৎ।
তথাকথিত এইসব প্রগতিশীলদের চাইতে সমাজে একজন চাষা কিংবা মজুরের অবদান অনেক অনেক বেশি।
প্রকৃত প্রগতিশীলরা সবসময়েই সমাজে সংস্কার কিংবা পরিশুদ্ধির কাজটি করে যান নিরবে এবং অনেকটা অগোচরেই। সংস্কারের কাজটি হয় সবার কাছে গ্রহনযোগ্য এবং সহনশীল পর্যায়ের।
বীজ থেকে চারায় এবং চারা থেকে পুর্নাংগ গাছের পরিচর্যার ব্যাপারটি একটি দীর্ঘকালীন প্রক্রিয়া। এতে মেধা, পরিশ্রম আর ধৈর্যের প্রয়োজন সবচাইতে বেশি।
যারা কাজে কর্মে কিংবা বাক্যে অসহনশীল তারা প্রগতিশীল নয়।
যেসব প্রগতিশীলরা প্রতিক্রিয়াশীলদের চিন্হিত করতে তাদের মেধার প্রায় সবটুকুই খরচ করে ফেলেন তারা প্রাকারান্তে প্রতিক্রিয়াশীলদের কাতারে মেশে প্রতিক্রিয়াটাই দেখান বেশি।
আমরা প্রগতিশীলদের প্রগতি দেখতে চাই চিন্তা চেতনা আর তাদের কাজেকর্মে, কথায় কিংবা অকাজে নয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।