কিছু ঘটনা দেখে মনে জাতি হিসেবে আমাদের মধ্যে হীনমন্কাজ্জযায়। করে? কথা বললাম কিছু আলেমের কথা শুনে। তবে আলেম মানে যদি জ্ঞানী বোঝানো হয় তবে বলে রাখি সেই আলেমের কথা আমি বলছি না। আমি বোঝাতে চাইছি, মাদ্রাসা শিক্ষিতদের কথা, তাদেরকে সমাজ আলেম বলে, তাই কথাটা বলতে হল।
হীনমন্মতার কথা কেন বললাম এবার সেই বিষয়ে আসি।
মুসলিম হিসেবে ইসলাম সম্পর্ক জানতেই হয়। আর জানার মাধ্যম হল বই। সেই সাথে জুমার নামাজের আগে ইমামের খুতবাও গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের অধিকাংশ আলেমদের একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম তারা বাংলা আরবি মিশিয়ে কথা বলেন। আমার দেখা কয়েকটি ঘটনা বলি, বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে দেখি বক্তারা কিতাব, বানানেওয়াল, জাররা এধরনের শব্দ ব্যবহার করেন।
যার অর্থ যথাক্রমে বই, সৃষ্টিকর্তা এবং অণু পরিমাণ। এই শব্দগুলোর বাংলা না বলে আরবিতে বলেন কেন? যেমন তারা বলেন, "ফেকাহের অমুক কিতাব অনুযায়ী _____", এরপর তারা ঘটনা বা কোনো আইনের ব্যাখ্যা দেন। এখানে কিতাব না বলে বাংলায় বই বললে কি ক্ষতি হত? এদের মতে ধর্মীয় বিষয় বলে এটা আরবিতে বলা হয়। কিন্তু খোদ আরবি ভাষায় ধর্মীয় বই আর সাধারণ বই বোঝাতে কোন আলাদা শব্দ ব্যবহার হয় না। এমনকি হিন্দি, উর্দু, ফারসিতে কিতাব বলতে বই বোঝায়, ধর্মীয় বই না।
তাহলে আমাদের দেশের আলেমরা এভাবে একটা নতুন ধারণা সৃষ্টি করেন কেন? অন্যান্য শব্দগুলোর ব্যাপারেও একই কথা বলা যায়।
কিছু শব্দ আছে পারিভাষিক। যেমন হাদীসের ক্ষেত্রে। হাদীসের শ্রেণীবিভাগ করার সময় সহীহ, জয়ীফ, মউজু, হাসান এধরনের কিছু শব্দ ব্যবহার হয়। এগুলোর পারিভাষিক অর্থ আছে বিধায় মূল আরবিতে ব্যবহার করা যেতে পারে(বাংলায় ব্যবহারের সুযোগ নেই তা কিন্তু বলছি না)।
বইয়ের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়। কিছু বইয়ে এত আরবি ফারসি শব্দ মেশানো থাকে যে পড়ার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়।
আলেম সমাজের প্রতি অনুরোধ তারা যেন এই বিষয়ে ভেবে দেখেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।