(لا اله الا الله محمد رسول الله) গণন্ত্রের মূল মন্ত্র হলো বাক স্বাধীনতা, কিন্তু আমাদের বাক স্বাধীনতার তেজ এতই শক্তিশালী যে বাক স্বাধীনতা এখন বকবকানি স্বাধীনতার সীমানা অতিক্রম করেগেছে, এবার শোনযাক বাক স্বাধীনতা সর্ম্পকিত একটি ছোট্ট গল্প। সেদিন দেখলাম এক ব্যাক্তি নিজে নিজে খুবই অশ্নীন ভাষায় গালাগালী করতেছে, আশে পাশের সবাই তাকে জিজ্ঞসা করলো ভাই ব্যাপার কি? কি হয়েছে? কি সমস্য? ইথ্যাদি , ঐ ব্যাক্তি উত্তর দিল একটি আমার বাকস্বাধীনতা, এটি একটি স্বাধীন দেশ, আমি স্বাধীন দেশের নাগরিক, বাকস্বাধীনতা একটি গণতান্ত্রিক অধিকার, তায় আমি আমার গণতান্ত্রিক অধিকার পালন কারতেছি মাত্র। বর্তমানে হাসিনার ডিজিটাল কল্যাণে বাকস্বাধীনতা এমন চরম পর্যাযে পৌছে গেছে যে বাকস্বাধীনতা এখন বিপদ জনক স্বাধীনতা গিয়ে ঠেকেছে, আগামীতে এই বিপদ স্বাধীনতা হয়তো মহামারি স্বাধীনতায় পৌছাতে পারে, আমরা এতই গণতাত্রিক প্রেমী যে শুধু মাত্র বাক স্বাধীতা দিয়ে দেশের গণতন্ত্র কায়েম করতে চায়, গত ৫ই মে গণতান্ত্রিক অধিকার ও বাক স্বধীনতার নামে আর র্ধমের দোহায় দিয়ে দেশে সৃষ্টি করা হলো এক মহানৈরাজ্য , বাদ যায় নি পবিত্র কোরআন শরীফ, মসজিদ, মাজার, স্বণের দোকান লুট,গাছ উপড়ে ফেলা, রাজনৈতিক অফিসে ভাংচুর আর অগ্নি সংযোগ, রেহায় পায়নি নারী সাংবাদিক সহ অনেক সাংবাদিক, যারা কথা দিয়ে কথা রাখেনা তাদের বলা হয় মোনাফেক, গত ৫ই মে এই হেফাজত ঢাকা পুলিশ কমিশন হতে অনুমতি নেবার সময় কথা দিয়েছিল বিকালের মধ্যে শাপলা চত্ত্বরের সমাবেশ শেষ করবে, কিন্তু হেফাজত ইসলামের আলেমগন তারা তাদের দেওয়া ওয়াদা রক্ষাকরেনি, সন্ধ্যার পরথেকেই ঢাকা পুলিশ কমিশনার ও স্বরাষ্ট মন্ত্রাণালয় হতে বার বার হেফাজতীদের অনুরোধ করা হয় সম্মানের সহিত শাফলা চত্ত্বর ত্যাগ করার জন্য , কিন্তু সেদিন জামাত শিবির ও বি,এন,পির উষ্কানীতে সরকারী কোন অনুরোধ কর্ণপাত করেনি হেফাজতিরা, শেষ পর্যন্ত মাত্র ১০ মিনিটের অভিযানে লজ্জা জনক ভাবে কান ধরে শাপলা চত্ত্বর হতে পালিয়ে যান হেফাজত কর্মীরা, ঐ দিন পুলিশ হেফাজতিদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যাবহার করেন টিয়ার গ্যাস, সাইন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট, এই সময় বেশ কয়েজন রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডের বিক শব্দে মারা যান বেশ কয়েক জন হেফাজত কর্মী, কিন্তু বি,এন,পির নীল নাটক শুরু হয় পরের দিন ৬ই মে , বি,এন,পি শীর্ষ স্থানীয় নেতা নেত্রীরা বার বার অভিযোগ করেন হাজার হাজার আলেম হত্যা করা হয় ঐ দিন, এমন কি বি,এন,পির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে তারা গায়েবী জানাজ পড়েন, যে কজন হেফাজত কর্মী সে দিন নিহত হন তাদের লাশ তাৎক্ষণিক পাওয়া গিয়েছিল, তাহলে প্রশ্ন জাগে এই গায়েবী জানাজার অর্থ কি, এই গায়েবী জানাজা স্পষ্ট হারাম , কারণ ঐ দিন কোন লাশ গায়েব হয়নি, সুতরাং গায়েবী জানাজা পড়া কোন অবস্থায় জায়েজ হবেনা, অথচ সাভারে ভবন বিধ্বস্ত ঘটনায় হাজারো মানুষ নিহত হলেও তাদের জন্য কোন দোয়া মাহফিরের আযোজন করেনি বি,এন,পি। বি,এন,পি গণহত্যা শব্দ কে এখন এমন ভাবে ব্যাবহার করতছে, তারা মনে হয় আসলে গণহত্যার সঠিক অর্থও ভুলে গেছেন, বি,এন,পির এমন অবস্থায় পৌছেগেছে কেউ মশা,মাছি মারলে তাকেও গণহত্যা বলবে। অত্যান্ত মজার বিষয় ছিল বি,এন,পির মতে হাজার হাজার আলেম সেই দিন নিহত হলেও , সেই নিহতদেও পরিবারের সদস্যদের খুজে পাওয়া যায়নি, নাকি ঐ দিন নিহত আলেমদেও বাবা, মা, ভাই, বোন , সন্তান কেউ নেই?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।