আমি বাঙালি এবং বাংলাদেশী
দেশে আস্তিক-নাস্তিক কলহ চরমে পৌঁছেছে। রাজনৈতিক ভাবে, ধর্মীয় ভাবে, সামাজিক ভাবে, একক ভাবে, যারা যেভাবে পারছে বিভেদ সৃষ্টি করছেমানুষ ধর্মকে ভালবাসে হৃদয় দিয়ে। কেউ কেউ জীবনের থেকে বেশি।
প্রায় সব ধর্মের ভিত্তি একই। ধর্ম শান্তির কথা বলে।
ভালবাসার কথা বলে।
একতিছুর পরও ধর্ম নিয়ে পৃথিবীতে এত বেশি যুদ্ধ হয়েছে যে, তার কোন ইয়ত্তা নেই।
কেন হচ্ছে ? উত্তর একটাই। ধর্ম নিয়ে মানুষের অতিরঞ্জিত আবেগ। ধর্ম নিয়ে মানুষের ব্যাবসা।
রাজনীতি এবং ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা। মানুষকে হক ও বাতিল এবং সত্য ও মিথ্যার পরিচয় দেওয়ার পর তাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি বাতিল ও মিথ্যাকে গ্রহণ করে এবং সত্যের বিরোধিতা করে, তাদের জোর করে সত্য পথে নিয়ে আসা আল্লাহর নীতি নয়। সত্য-মিথ্যা জানার পর সজ্ঞানে মানুষ যা গ্রহণ করে তার জন্য সে নিজেই দায়ী।
তাই আমি আলেম সমাজের কাছে কিছু প্রশ্ন রাখতে চাই।
আপনাদের মতে ব্লগাররা আল্লাহ, রাসুল (সা.) ও ইসলাম নিয়ে কটূক্তিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান। ভলো কথা।
কিন্তু হরতাল, অবরোধ ইত্যাদি ডেকে বিশৃংখলা সৃষ্টি করা জায়েয কি?
আমাদের দেশে এত ইসলামী দল কেন?
অথচ আল্লাহ তাআলা বলেনঃ তোমরা ঐ মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত হয়ো না, যারা দ্বীনকে টুকরা টুকরা করে ফেলেছে এবং যারা দলে দলে বিভক্ত হয়েছে, প্রত্যেক দল তাদের কাছে যা ছিল তাই নিয়েই খুশি। (সূরা রূম, ৩০: ৩১ ও ৩২ আয়াত)। প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
বলেছেনওহে! তোমাদের পূর্বে আগত আহলে কিতাব (ইহুদি ও নাসারা)-রা ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছিল এবং এ উম্মত বিভক্ত হবে ৭৩ দলে।
৭২ দল যাবে জাহান্নামে এবং একটি মাত্র দল প্রবেশ করবে জান্নাতে। ।
আপনারা কি নিজেরা মুশরিক হননি? আপনারা কি জাহান্নামি নন? যদি আপনারা মুশরিক হন জাহান্নামি হন কিভাবে অন্যকে নাস্তিক-মুরতাদ উপাধি দেন?
মুশরিকদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃমুশরিকরা যোগ্যতা রাখে না আল্লাহর মসজিদ আবাদ করার, যখন তারা নিজেরাই নিজেদের কুফরীর স্বীকৃতি দিচ্ছে। এদের আমল বরবাদ হবে এবং এরা আগুনে স্থায়ীভাবে বসবাস করবে। সূরা: ০৯ আত তাওবাহ
তাই এদেশের ব্যবসা খাতের একটি লাভজনক বড় অংশ হচ্ছে ধর্ম ।
একাধিক রাজনৈতিক দল আছে যারা ধর্মকে বিক্রি করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করছে। বেহেশতের লোভ দেখিয়ে জিএমবির মত জঙ্গী দলগুলো মানুষকে আত্মঘাতী করে তুলছে।
আসুন ধর্ম ব্যবসায়ীদের প্রতিরোধ করি.। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।