[বুদ্ধিজীবি : যারা বুদ্ধি বেচে জীবিকা অর্জন করেন ]*
[বুদ্ধিবিচি : যারা বুদ্ধি দিয়ে বিচি ভাড়া দিয়ে চলেন ]*
** এই সংজ্ঞা দুটির কপিরাইট এই মুহূর্তে আমার।
সে যাই হোক। বুদ্ধিজীবি আর বুদ্ধিবিচি দুটি শব্দই আমার কাছে সমার্থক। দেশীয় বুদ্ধিবিচিদের প্রতি আমার রাগ, ক্ষোভ বিভিন্ন কারণে। কখনো কারণে, কখনো অকারণেই তাদের জন্য নাসিকা নিসৃত পদার্থ বরাদ্দ রাখি।
'৯১ সালের একটা ঘটনা বলি। অনেকেই হয়ত জানেন, তবুও বলি। নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখছেন মসনদের। আমেরিকা সফরে গিয়ে বলে এলেন, নির্বাচনে বিএনপি ১০টির বেশি আসন পাবে না। জনমত জরিপ সে অর্থে ঠিক বোঝা যাচ্ছিল না।
একদল স্বার্থবাদী বুদ্ধিবিচি ধরে নিলেন, সুন্দরী ম্যাডাম [হাসিনা শব্দের অর্থ সুন্দরী] মসনদে বসবেন। নির্বাচনের ঠিক আগে আগে চটজলদি একটা সংগঠন বানিয়ে ফেললেন। নাম দিলেন, আওয়ামী লেখক মঞ্চ। সংক্ষেপে আলেম। নির্বাচনের আগে ধর্মীয় একটা সুগন্ধও যুক্ত হলো দলটির সঙ্গে।
ভোট রাজনীতির জন্য যা একেবারে খারাপ না। বিধিবাম, নির্বাচনে ভরাডুবি হলো আওয়ামীলীগের।
এবার পাল্টা খেল দেখাল বুদ্ধিবিচিদের সংগঠন আলেম। রাতারাতি আওয়ামী লেখক মঞ্চ হয়ে গেল জাতীয়তাবাদী লেখক মঞ্চ। সংক্ষেপে জালেম! কিন্তু কমিটিতে খুব একটা পরিবর্তন এলো না!
আলেম থেকে জালেম হওয়ার খবর চাউর হলো সারাদেশে।
মসনদে বসা ম্যাডামের কানেও গেল। ম্যাডামের হস্তক্ষেপে নামটাও পরিবর্তন হলো। ... সে নামটা না হয় নাই বললাম। এ লেখার উদ্দেশ্য তাদের নাম প্রকাশ করা নয়। বুদ্ধিবিচিদের মানসিকতা আর আলেম-জালেমের আবরণে স্বার্থ হাসিলের নমুনা পেশ করা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।