আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘অনুপ চেটিয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন’

শুক্রবার নয়া দিল্লিতে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “বিষয়টি যে অবস্থায় ছিল সেখান থেকে আমরা কাজ শুরু করেছি। তার প্রত্যাবর্তণ প্রক্রিয়াধীন। ”
বর্তমানে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দি উলফার সাধারণ সম্পাদক চেটিয়া বাংলাদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলেও মত বদলে সম্প্রতি ভারতে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
কবে নাগাদ এই প্রত্যাবর্তণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে তা নির্দিষ্ট করে না বললেও তারিক এ করিম বলেন, অনুপ চেটিয়ার হস্তান্তরের বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের সরকারের মধ্যে ‘অব্যাহত সহযোগিতা’ বজায় রয়েছে।  
“হস্তান্তর হলে সবাই জানতে পারবেন,” দিনক্ষণ উল্লেখ করে সাংবাদিকরা বারবার জানতে চাইলে উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।


ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম-উলফার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক অনুপ চেটিয়াকে ১৯৯৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ, বিদেশি মুদ্রা রাখা এবং স্যাটেলাইট ফোন রাখার অভিযোগে তিনটি মামলায় অনুপ চেটিয়াকে যথাক্রমে তিন, চার ও সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। সেই সাজার মেয়াদ শেষ হয় ২০০৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি।
এরই মধ্যে ২০০৫, ২০০৮ ও ২০১১ সালে বাংলাদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে তিন দফা আবেদন করেন অনুপ চেটিয়া। শরণার্থীর মর্যাদা পাওয়ার জন্য ২০০৮ সালে জাতিসংঘেও চিঠি লেখেন তিনি।

 
ভারত সরকার শুরু থেকেই চেটিয়াকে ফেরত চাইলেও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দুই দেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকার কথা বলা হয়। চলতি বছর দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময়ে ‘বহিঃসমর্পণ চুক্তি’ সই হওয়ার পর চেটিয়াকেও হস্তান্তরের ‘আইনি পথ’ তৈরি হয়।
উলফার সমঝোতাকামী অংশের নেতারাও শান্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চেটিয়াকে আহ্বান জানিয়েছেন। তবে সম্প্রতি উজান আসামের মাটক ও মোরান সম্প্রদায় থেকে পরেশ বড়ুয়াপন্থী অংশটি বিপুল সংখ্যক সমর্থক সংগ্রহ করায় জটিলতার মধ্যে পড়েছে সরকারের শান্তি আলোচনা প্রক্রিয়া।
ওই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পরেশ বড়ুয়ার প্রভাব কমিয়ে ভারসাম্য আনতে পারতেন অনুপ চেটিয়া, যার আসল নাম গোলাপ বড়ুয়া।

কারণ পরেশ ও অনুপ দুজনেই মাটক।
বর্তমানে ভারত সরকার  যে অবস্থানে আছে, তাতে কেবল শান্তি আলোচনায় সমর্থন দিলেই উলফা চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়া এবং সমঝোতাকামী অন্য নেতাদের মতো মুক্তি পেতে পারেন অনুপ চেটিয়া।
কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাতে রাজি হওয়ার কারণেই রাজখোয়া ও তার সমর্থকরা মুক্তি পেয়েছিলেন। অন্যদিকে আলোচনায় রাজি না হওয়ায় কারাগারেই থাকতে হচ্ছে মণিপুরী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা আরকে মেঘেন ওরফে সানাইয়ামাকে।
ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মেঘেনকেও উলফা নেতাদের মতো বাংলাদেশে আটক করা হয় এবং পরে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.