আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অনুপ চেটিয়ার আদ্যপান্ত (বহুল শ্রুত এ লোকটির বিষয়ে আমরা অনেকেই জানি না)

মুক্তমত প্রকাশের প্লাটফর্ম ব্লগ। তাই ব্লগে বসতে ভা্ল লাগে....। ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম-উলফার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক অনুপ চেটিয়াকে ১৯৯৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ, বিদেশি মুদ্রা রাখা এবং স্যাটেলাইট ফোন রাখার অভিযোগে তিনটি মামলায় অনুপ চেটিয়াকে যথাক্রমে তিন, চার ও সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। সেই সাজার মেয়াদ শেষ হয় ২০০৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি।

এরই মধ্যে ২০০৫, ২০০৮ ও ২০১১ সালে বাংলাদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে তিন দফা আবেদন করেন অনুপ চেটিয়া। শরণার্থীর মর্যাদা পাওয়ার জন্য ২০০৮ সালে জাতিসংঘেও চিঠি লেখেন তিনি। বর্তমানে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দি উলফার সাধারণ সম্পাদক চেটিয়া বাংলাদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলেও মত বদলে সম্প্রতি ভারতে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ভারত সরকার শুরু থেকেই চেটিয়াকে ফেরত চাইলেও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দুই দেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকার কথা বলা হয়। তবে চলতি বছর এই চুক্তি হওয়ায় সে বাঁধা অনেকটাই অপসারিত হয়েছে।

তবে উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন দিল্লিতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার তারিক এ করিম। ১৯ জুলাই শুক্রবার নয়া দিল্লিতে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “বিষয়টি যে অবস্থায় ছিল সেখান থেকে আমরা কাজ শুরু করেছি। তার প্রত্যাবর্তণ প্রক্রিয়াধীন। ” কবে নাগাদ এই প্রত্যাবর্তণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে তা নির্দিষ্ট করে না বললেও তারিক এ করিম বলেন, অনুপ চেটিয়ার হস্তান্তরের বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের সরকারের মধ্যে ‘অব্যাহত সহযোগিতা’ বজায় রয়েছে।

“হস্তান্তর হলে সবাই জানতে পারবেন,” দিনক্ষণ উল্লেখ করে সাংবাদিকরা বারবার জানতে চাইলে উত্তরে এ কথা বলেন তিনি। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বরাষ্ট্র সচিব সি কিউ কে মুস্তাক আহমেদ এবং ভারতের পক্ষে স্বরাষ্ট্র সচিব অনিল গোশ্বামী অনুপ চেটিয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিলে আলোচনা করেন। ভারতের কারাগারে বন্দি বাংলাদেশের দুই তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও সাজ্জাদ হোসেনের হস্তান্তর নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। ২০০১ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে। এদের মধ্যে ঢাকার অপরাধ জগতের তখনকার প্রভাবশালী সেভেন স্টার গ্রুপের প্রধান সুব্র্রত বাইনও ছিলেন।

কলকাতার স্পেশাল টাস্কফোর্স সেখানকার কারাইয়া থেকে ২০০৮ সালের ১৩ অক্টোবর সুব্রতকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে কলকাতায় অস্ত্র ও অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলাও হয়। ওই মামলায় ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি জামিনে ছাড়া পেয়ে আবার গা ঢাকা দেন সুব্রত। সুব্রত বাইনের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। ১৯৯১ সালে নগরীর আগারগাঁও এলাকায় জাসদ ছাত্রলীগ নেতা মুরাদ হত্যার মধ্য দিয়ে তার সন্ত্রাসী জীবনের উত্থান হয়।

সুব্রত বাইন কলকাতায় এবং সাজ্জাদ তিহার কারাগারে বন্দি রয়েছেন। সব ঠিকঠাক থাকলে বন্দি বিনিময়ে ‘বহিঃসমর্পণ চুক্তির’ আওতায় এই তিন জনের হস্তান্তর প্রক্রিয়াই হবে প্রথম ঘটনা। এখন আমাদের দেখার পালা, আসলে কি হয়?  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.