ছবিটি দেখে আনন্দ হলো। থাইল্যান্ডের ব্যাংকক চিড়িয়াখানায় দুই মাস বয়সী বাঘের বাচ্চাকে ফিডারে দুধ খাওয়াচ্ছে দুই বছর বয়সী শিম্পাঞ্জির বাচ্চা। অসাধারণ এক দৃশ্য! ৩১ জুলাইয়ের প্রথম আলোর সারা বিশ্ব পাতায় ছাপা হয়েছে ছবিটি।
মনে পড়ে গেল টারজানের কথা। শিশু টারজানের সঙ্গে এভাবেই ভাব হয়ে গিয়েছিল বনের যত পশুপাখির।
প্রকৃতির সন্তানেরা মিলেমিশে থাকতে পারে, তারই যেন উদাহরণ সেটা। এটা অবশ্য গল্প। প্রকৃতির আইন ভিন্ন। যোগ্যতমের উদ্বর্তন বলে যে বিষয়টি আছে, তাতে মাৎস্যন্যায়ই প্রতিষ্ঠিত হয়। বড়রা গিলে খাবে ছোটদের।
যে দুটি চরিত্রকে আমরা ছবিতে দেখছি, তারাও বড় হলে ভিড়ে যাবে নিজেদের দলে। যে শিম্পাঞ্জির বাচ্চাটা পরম আদরে দুধ তুলে দিচ্ছে বাঘের বাচ্চাকে, কিছুদিন পর সে আর বাঘের পথই মাড়াবে না। বনে থাকুক আর চিড়িয়াখানায় থাকুক, সহজবোধ্য দূরত্ব তাদের মধ্যে চলে আসবেই। কিংবা এমনও হতে পারে, একই খাঁচায় একই সঙ্গে বাড়তে পারে এই শিশু দুটি। ওদের মধ্যে এই সহজাত বন্ধুত্বটা টিকেও যেতে পারে সারা জীবনের জন্য।
আমরা না হয় এসব না ভেবে এই ছবিটিতেই স্থির করি মন। ছবিটি যে কথা বলছে, তা তো স্নেহ-মমতার প্রকাশ ছাড়া আর কিছু নয়। একটু স্নেহ, একটু মমতা পাল্টে ফেলতে পারে অনেক ভয়ংকর হিসাব-নিকাশ। ওপরে ওঠার প্রতিযোগিতায় মানুষে মানুষে যে বিরোধ, তাও তো কমে যেতে পারে এই স্নেহ-মমতার হাত ধরেই। মানবিক হওয়ার মানে তো নিজের সঙ্গে অন্যের চলার পথটাকেও সহজ-মসৃণ করা।
সে কথা আমরা বেমালুম ভুলে থাকি।
এই দুই প্রাণী আমাদের হিসাব-নিকাশ কি একটু বদলে দিল না?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।