আমার উপলব্ধি হচ্ছে, যেকোন ক্ষেত্রেই যিনি দায়িত্বে থাকেন, কর্তা ব্যক্তি, নেতা কিংবা পরিচালক সে অন্যের তুলনায় নি:সন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। পরিবর্তনশীল বিশ্বে পরিস্থিতি এখন সময়ের সঙ্গে বদলে যায় খুব দ্রুত। কিন্তু প্রতিটি সেক্টরেই ক্ষুদ্র কিংবা বৃহৎ পরিসরে সামনে থাকা ব্যক্তির সম্পাদিত কাজ অমলিন থেকে যাওয়ায় জটিলতা বাড়ানোর সকল আশংকা অথবা সুফল বয়ে আসার সম্ভাবনা পরিস্থিতির আলোকে প্রভাবিত হয়। তাই সচেতনতা ও কৌশলী হবার বিকল্প নেই।
বিশ্বায়নের এই যুগে প্রতিযোগীতামূলক পৃথিবীর ভবিষ্যত প্রজন্ম হিসেবে বাংলাদেশ তথা বিশ্বের ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় নেতৃত্ব দেয়ার উপযোগী করে নিজেকে প্রস্তুত করার সাধ্যানুযায়ী প্রয়াস অব্যাহত রাখাতেই কল্যাণ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের কর্মজীবন নিজের দেশের গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ভাবাটা নেহায়েত দুর্ভাবনা। মানবতার কল্যাণ, দেশ ও জাতির মঙ্গলে নিবেদিত প্রাণ তরুণ কর্মবীরদের কাংখিত যোগ্যতা ও মান অর্জনে সকল অলসতা গাফিলাতি ভুলতে হবে।
মানুষকে জানা ও বুঝার সুযোগ নি:সন্দেহে ক্ষুদ্র পরিসরের জীবনে বৃহৎ সংযোজন বটে। সামাজিক ও মানবিক মানুষ হবার জন্যে মানুষ কতটা অসহায়ভাবে বেচেঁ থাকতে পারে তা যেমন বুঝা দরকার তেমনি বিপ্লবী আদর্শের তাত্ত্বিকতা ও জগতের বাস্তবতাকে মিলিয়ে বুঝাটা যৌক্তিক বিশ্বাসী মানুষ হবার জন্যে জরুরী।
প্রতিটি মানুষই নানাবিধ পর্যায়ের দায়িত্ব পালন করে থাকে।
তবে দায়িত্বের পরিসরের ভিন্নতার কারণেই ব্যক্তির মর্যাদা, গুরুত্ব ও গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে তারতম্য ঘটে।
হৃদয়ের গভীরের অনেক আশাই স্বপ্ন হয়ে ডানা মেলতে শুরু করে কল্পনার রাজ্যে। আমার বিশ্বাস আন্তরিক ও পরিশ্রমী হলে সাধারণ ব্যক্তিও অসাধ্য সাধনে সক্ষম হয়। স্বপ্নকে বাস্তব বর্তমানে রুপ দিতে আমাদের আশা, স্বপ্ন, ভালবাসা ও প্রচেষ্টাকে মিলিয়ে ভরে তুলতে হবে এই বসুন্ধরা। এজন্যে মরণাপন্ন রোগী বাচাঁতে বিশুদ্ধ রক্তের প্রয়োজনের মতই বিশুদ্ধ রক্ত ঝরানোর প্রয়োজন হতে পারে।
আমার প্রত্যাশা হচ্ছে, নবীনেরা নিজেদের সামর্থ্যবান করে তুলবে যেখানে জীবন ব্যাহত ও বেদনার সেখানে জীবনকে সুন্দর ও আনন্দময় করে তোলার জন্য। নিজেদের একাত্ম করবে মন ও হৃদয় প্রসারিত করে অভিজ্ঞতা বাড়িয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।
আমাদের বড় সমস্যা সময় ব্যবস্থাপনা ও গুরুত্বানুযায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করার ক্ষেত্রে অদক্ষতা। এই সমস্যার সমাধান করে বর্তমান সময়ের চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে এগিয়ে নিতে হবে। উপযুক্ত লোকের সংকট পূরণের কাংখিত প্রস্তুতিই গুরুত্বের বিচারে এগিয়ে ।
আমি দুআ চাই আমরণ চিন্তায় ও কর্মে সক্রিয় থেকে সামথ্যের সব্বোচ্চ ব্যবহার করে কাংখিত মানের ভুমিকা পালনে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এবং ভিশন মিশন এক জায়গায় করে সরব অস্তিত্বের স্বাক্ষী হবার জন্য। আমার বেচেঁ থাকা যদি শুধু শুধু আমার কিংবা আমার পরিবারের বেচেঁ থাকার জন্যেই হয় তবে বৃহত্তর স্বার্থে আমি মরণকেই পছন্দ করি।
ক্ষমা প্রত্যাশী তাদের কাছে যারা আমার ভুল ত্রুটি, ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় দেয়া কষ্টের কারণে নানান ধরণের বেদনা অনুভব করেছেন। আমার পরিচিত কাছের মানুষভজন আমাকে স্মরণ করবে না, যোগাযোগ রাখবে না, ভুলে যাবে-এমনটা ভাবা আমার জন্যেই খুবই কষ্টের। যদিও অনেক আবেগ অনুভূতিই চরম বাস্ততার কাছে এসে হারিয়ে যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।