আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আধুনিকতা

মধ্যযুগের ঐতিহ্য নির্ভর সমাজ ছিল সুস্থির ও সুস্থিত, গতিহীন ও অপরিবর্তনীয়। সেই গ্রামীণ জীবনে ছিলনা কোন বৌদ্ধিক কিংবা সামাজিক গতিশীলতা। ঋতু চক্রের আবর্তনের মতই তাদের জীবন ছিল জন্ম মৃত্যুর চক্রে আবদ্ধ। এই সমাজে ব্যক্তি মানুষের স্বকিয়তা ও প্রতিভা বিকাশের কোন সুযোগ ছিলনা। তাই মানুষ এই সমাজের পরিবর্তন চেয়েছিল।

মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা থেকেই সৃষ্টি হয় জার্মান ধর্মসংস্কার আন্দোলন, ইতালিয় নবজাগরণ, ব্রিটিশ শিল্প বিপ্লব এবং ফরাসী যুদ্ধবিভাসিত আন্দোলন। এভাবেই আধুনিকতার আবির্ভাব ঘটে। আধুনিকতার জন্ম ১৭শতকে। ১৭৮৭ সালে “Academic Francoise” ঘোষণা করে “Querelle des anciens et des moderne” মডানিজম বা আধুনিকতা হল একটি মুড বা দৃষ্টিভঙ্গি যা রচনা করে একটি একক সংস্কৃতিক আবকাঠামো। যে অবকাঠামোর পরতে পরতে লক্ষ্য করা যায় প্রস্ফুটিত সৃজণশীলতা।

এই দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্বাস করত প্রাকৃতির উপর অধিপত্ত বিস্তার করতে পারলে মানুষ দৈনন্দিন অভাব, ঘাটতি, প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে পার্থিব মুক্তি পাবে। সমাজ মুক্তি পাবে অতিকথা, ধর্ম ও কুসংস্কারের যুক্তিহীনতা থেকে। বিশ্বে সূচনা ঘটবে অর্থনৈতিক, সামাজিক, ও সাংস্কৃতিক প্রগতিশীলতার। এই সকল লক্ষ্য পূরণের জন্য আধুনিকতার সমর্থক গন অদম্য কর্মপ্রচেষ্টা চালাতে থাকে এবং এই লক্ষ্য সাধনের উপায় হিসাবে তারা যুক্তি, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিকে গ্রহন কারে। বাস্তবিক পক্ষেই যুক্তিসিদ্ধ বিন্যাস্ত সমাজ গঠণে এই উপায় গুলো তাদের সহায়তা করেছিল পরিবর্তন ঘটেছিল সাহিত্য, দর্শন, শিল্পকলা সহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে।

আধুনিকতা সমাজে এনেছিল সচলতা এবং গতিশীলতা। আগে যেখানে মানুষ পায়ে হেটে বা প্রাণীর উপর ভর করে ধ্বীরস্থীর ভাবে পথ অতিক্রম করত, বর্তমানে সেখানে আগের চেয়ে অনেক অল্প সময়ে অনেক সাচ্ছন্দে বহুদূর পথ অতিক্রম করছে। এভাবেই আধুনিকতা ঘুচিয়ে দিল সকল দূরত্ব, দর্শকের সাথে শিল্পির,লেখকের সাথে পাঠকের। সুধু তাই নয় বর্তমানে মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আধুনিকতা এনেছে বিপ্লবিক যান্ত্রিক পরিবর্তন। উপরের আলোচনা থেকে আধুনিকতা সম্পর্কে যা বোঝা যায় তার অনুরূপ একটি সংগ্যা নিচে দেওয়া হলঃ যে মতবাদ বিস্তৃত জ্ঞান চর্চায় সীমারেখাহীন বিভিন্ন বিষয়ে বলতে গেলে যাবতিয় সর্ববিষয়ে নেতিবাচক ও ইতিবাচক বৈরি প্রতিষ্ঠা সৃষ্টি উন্নয়নে কাজ করে তাকে আধুনিকতা বলে।

আধুনিকতার শ্রেণীবিভাগঃ আধুনিকতার চারটি শ্রেণী রয়েছে সেগুলো হল ক, ঐতিহাসিক আধুনিকতা খ, শৈল্পিক আধুনিকতা গ, দার্শনিক আধুনিকতা ঘ, সামাজিক আধুনিকতা ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।