কবে যাবো পাহাড়ে... কবে শাল মহুয়া কণকচাঁপার মালা দেব তাহারে.... বাংলাদেশে ওয়েস্টার্ন সংস্কৃতির নামে বাংলাদেশে বেশ কিছু কাপড়-চোপড়ের চল হইসে। প্রথমত, টাইট ফিটিং আর চকরা-বকরা ডিজাইন ওয়ালা জিন্স প্যান্ট। জিন্স প্যান্টের এই ডিজাইনগুলা মূলত থাকে হিপ পকেটের উপর। আমেরিকাতে এসে দেখলাম, এই ধরনের মাংস-চাপা স্টাইলিস্ট জিন্স পড়ে আধা পুরুষ আর সমকামীরা (এ শ্রেণীর লোকের প্রতি আমি বিন্দুমাত্র অসম্মান দেখাচ্ছি না)।
ঠিক একই ঘটনা 'শর্ট শার্ট' নামক বিখাউজ পোশাকটার ক্ষেত্রেও।
শরীরের উপর চেপেচুপে ঠেসেঠুসে বসানো ছোট্ট একটা শার্ট, যা নাভির ঠিক উপরিভাগে এসে শেষ হয়। একটু ডান-বাম করতে গেলেই কোমড়ের বেল্ট এবং ক্ষেত্রবিশেষে ভুড়ি দেখা যায়।
অন্যদিকে, 'জেন্ডার গ্যাপ' নামক স্টাইল, অর্থাৎ কোমরের দুই ইঞ্চি বা ততোধিক নীচে প্যান্ট পড়ার স্টাইলটা মূলত এসেছে পশ্চিমা কালো জনগোষ্ঠীদের কাছ থেকে। এরা সব সময়ই এমন কিছু করতে চায়, যাতে তাদের সাদাদের থেকে আলাদা লাগে। বেশিরভাগ সময়ই সেগুলো হয় নানান ধরনের কুৎসিত আচার-ব্যবহার।
পাছার নীচে প্যান্ট পড়া তার একটি।
ছোটোবেলায় হুজুর একটা গল্প বলেছিলেন। অনেক লোক আরবী ভাষায় সন্তানের নাম রাখার ব্যাপারে বেশ আগ্রহ দেখান। জনৈক ব্যক্তির সন্তানের নাম সুমন। হুজুরকে তিনি দুঃখ করে বলছিলেন, 'হুজুর, কোরান শরীফের শব্দ দিয়ে নাম রাখলাম 'সুম্মুন'।
সবাই তাকে সুমন ডাকে। ' হুজুর উত্তর দিলেন, 'সুমন ডাকুক, তাই ভালো। সুম্মুন ডাকার দরকার নাই। সুম্মুন মানে কালা- যে কানে শুনেনা। ' ঐ ব্যক্তি অবাক হয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললেন, 'কিন্তু কোরান শরীফে যে লিখা ছিলো!'
সারকথা: অন্ধ অনুকরণ ভালো না।
সেটা যা কিছুরই হোক না কেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।