ছোটবেলায় বাবাকে দেখতাম ছুটির দিনে সারা সকাল রবীন্দ্রসংগীত শুনতে। কি যে বিরক্ত লাগতো! কানে হাত দিয়ে ঘুরতাম তখন বাসায়। ভেবে পেতাম না কেন মানুষ শুনে এই গান। মাঝে মাঝে রাগে কান্না পেয়ে যেত। বাসায় ছিল প্রচুর অডিও ক্যাসেট - অরুন্ধুতি চৌধুরী, চিন্ময়, দেবব্রত বিশ্বাস, রেজোয়ানা চৌধুরী বন্যা, কাদেরী কিবরিয়া, কণিকা ব্যানার্জী, পাপিয়া সারোয়ার, সাগর সেনের।
ছোটবেলায় গান শিখতাম। যখন সময় হলো ছোট সেই গানের স্কুল ছেড়ে আরও ভাল কোথাও যাবার, বাবা বললেন যে শিখলে রবীন্দ্রসংগীত শিখতে হবে। তখনও ঐ সংগীতের মর্ম বুঝিনা তাই জিদ্ করে গান শেখাই বন্ধ করে দিয়েছিলাম।
আজ বহু বছর পর যখন একটার পর একটা রবীন্দ্রসংগীত শুনি তখন ভাবি, গানগুলো শিখলে মন্দ হতো না। এত সুন্দর বাণী যা বারবার শুনলেও এতটুকু খারাপ লাগে না।
গত তিনদিন ধরে একটানা শুনে যাচ্ছি রবীন্দ্রনাথের গান। আর মুগ্ধ হচ্ছি ভেবে, একটা মানুষের পক্ষে কিভাবে এত সুন্দর সুন্দর গান লেখা সম্ভব। লেখক আর গায়কদের প্রতি একটা হিংসা সবসময় অনুভূত হয়। মনে হয়, আমি যদি পারতাম অত সুন্দর করে লিখতে বা গাইতে...। যাই হোক নতুন করে আবারও মুগ্ধ করছে বিশ্বকবির বাণীপ্রধান গানগুলি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।