আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কালের কন্ঠ থেকে আবেদ খান ছাটাই, আসল ঘটনা কোনটা?

যদিও বলা হচ্ছে আবেদ খান ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদ্যতাগ করছেন, তবে আসল ঘটনা হলো, বসুন্ধরা গ্রুপের প্রোপাগান্ডা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে না পারাতে তাকে ছাটাই করা হলো। বসুন্ধরার মালিক যে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে পত্রিকা বের করে প্রোপাগান্ডা চালানোর চেষ্টা করছিলো, সেই ব্যাপারে তেমন সফল হতে পারে নাই কালেরকন্ঠ। ড্যাবের বিপক্ষে কোনো সোচ্চার ভূমিকা রাখতে পারে নাই কালেরকন্ঠ। মোবাইল কোর্ট দিয়ে বসুন্ধরার সব অবৈধ বিলবোর্ডও উচ্ছেদ করা হচ্ছে। বসুন্ধরা গ্রুপের এখন লেজেগুবরে অবস্হা।

পক্ষান্তরে এই সময়ে তাদের প্রতিপক্ষ থেকে প্রেস কাউন্সিল হয়ে ডলা খেয়েছে কালেরকন্ঠ ও বাংলাদেশ প্রতিদিন। শাহ আলম সাহেব পুরুদস্তুর ব্যবসায়ী মানুষ, তিনি তার ব্যবসায়ের সুবিধার জন্য পত্রিকা চালু করেছেন। যদি এতে সুবিধা না হয়, তাহলে প্রথমে সম্পাদক বদলাবে, তারপরও যদি কাজ না হয়, তবে পত্রিকাটাই আর রাখবে না। তাই আবেদ খানকে মালিকের এক কথা, '' এইবার রাস্তা মাপেন' যদি উদ্দেশ্যই সফল না হয়, তাহলে খামাকা হাতি পুষে লাভ কি? আর কিছুদিন পরে হয়ত শুনবো, কালেরকন্ঠও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এক প্রতিক্রিয়াতে আবেদ খান জানান, ‘নৈতিক ও পেশাগত কারণে আমি পদত্যাগ করেছি।

পত্রিকায় প্রকাশিত অনেক প্রতিবেদনের জন্য সম্পাদক হিসেবে আমাকে হলুদ সাংবাদিকতার দায় নিতে হয়। এতে আমার দীর্ঘ পেশাগত জীবনের সুনাম নষ্ট হয়। আমি এই অসুস্থ পেশায় থাকতে চাই না। ’ আবেদ খানের এই কথার আলোকে একটা কথা বলতে চাই, একজন সম্পাদকের দায়িত্ব হলো, কোন নিউজ পত্রিকায় যাবে, কোনটা যাবে না, সেটা তদারকী করা। একজন সম্পাদক তখনই সফল হবেন, যখন তিনি স্বাধীনভাবে এইকাজটা করতে পারবেন।

এই ব্যাপারে মনে হয় আবেদ খানের ঘাটতি ছিলো। তার কথা শুনে মনে হচ্ছে তার সম্পাদিত পত্রিকায় কোন নিউজ যাবে, কোনটা যাবে না, সেই ব্যাপারে তার নিয়ন্ত্রণ ছিলো না। তিনি ছিলেন শোপিস সম্পাদক। তবে আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো, আবেদ খান কালের কন্ঠ ছেড়ে দিয়ে ভালোই করেছেন। একজন ভালো সাংবাদিক হিসাবে তার ভালোই সুনাম ছিলো।

কালের কন্ঠে গিয়ে তিনি তার প্রফেশনাল লাইফে যে কালি লাগিয়েছেন, এখন সেটা পরিষ্কার করার পালা। আরো দেখতে পারেন। দুই টাকার বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিক্রিতে ধস  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।