বিশ্বটাকে সুন্দর করে সাজানোর জন্যই এত কথা বলি.. ।
চারদিক থেকে ভেসে আসছে মাইকের শব্দ,বাজছে গান! মনে হল যেন সবাইকে জানানোর জন্যই আরো শব্দ বাড়িয়ে দেয়া! বক্তারা বক্তব্য দিচ্ছেন গলা উচিয়ে মাইকের কি দরকার ছিল বুঝতে পারলাম না! হঠাৎ করে বাদ্য বাজনা বাজিয়ে স্লোগান দিতে দিতে আসছে বিভিন্ন জায়গা থেকে সদস্যরা। মনে হতে পারে আপনি হয়তো পল্টনে চলে এসেছেন বা কোন রাজনীতিক অনষ্ঠানে আবার বা মনে হতে পারে বিয়ের অনুষ্ঠান!
বলছিলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের বর্হিবিভাগে আয়োজিত আজকের
জাতীয় ৪র্থ শ্রেনী সরকারী হাসপাতাল কর্মচারী সম্মেলন ২০১১ কথা।
কর্মীরা বাজনার তালে নেচে নেচে রোগীদের অসুবিধা করে সম্মেলন সফল করলো!
দিন ভর এমনিভাবে চললো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্হিবিভাগে।
রোগীরা কানে হাত দিয়ে টিকিটের লাইনে দাড়িয়ে আছে! অসহনীয় শব্দ দিনভর অসহ্য করে তুলে হাসপাতালে আসা রোগী ও দর্শনার্থীদের।
তার সাথে চললো জাতীয় পতাকা অবমাননা!লেখক বলার পর ও ঠিক করা হয়নি!
নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় পতাকা রাখতে হয় সবার উপরে খুটির আগায় আর অন্য সব নিশান বা পতাকা জাতীয় পতাকার নিচে। যদি না উড়ানো হয় তাহলে পতাকা রশি দিয়ে খুটিতে বেধে রাখতে হয়। অথচ এখানে জাতীয় পতাকার থেকে তুলনা মূলক বেশি উচ্চতায় অন্য পতাকা বেধে রেখেছিল উড়ন্ত অবস্থায়!
এই ধরনের সম্মেলন বা অনুষ্ঠান কেন বর্হিবিভাগ খোলা থাকা অবস্থায় করা হয়? এই ধরনের অনুষ্ঠানে যে পরিমান খরচ করা হয় তা দিয়ে তো একটি সম্মেলন কক্ষ ভাড়া করে নিশ্চিতে অনুষ্ঠান করা যেত। এতে রোগী তথা সাধারন মানুষের কোন ক্ষতি হত না।
জাতীয় পতাকা অসম্মান করার জন্য দায়ী ব্যাক্তিদের শাস্তি হওয়া উচিত।
ছবি-তুলি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।