অর্থের জন্য মানুষ কতটা নিচে নামতে পারে তার জলন্ত প্রমাণ ভারতের একটি পরিবার। অর্থের জন্য নিজের মেয়েকে তিনবার বিক্রি করতেও পিছপা হয়নি তারা।
মিরাটের ডিআইজি প্রকাশ বলেন, মেয়েটির বয়স এখন ১৮। তার যখন ১৫ বছর তখন তার মা, মামা এবং দাদু মিলে প্রথমবারের মতো অমিত নামের এক ব্যক্তির কাছে তাকে এক লাখ রুপিতে বিক্রি করে দেয়। সেখানে অমিতের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
বিয়ের পাঁচ মাস পরে মেয়েটির পরিবার অমিতকে হুমকি দিতে শুরু করে। অমিত যৌতুক চেয়ে তাদের উত্ত্যক্ত করছে আর তাই তারা পুলিশের শরণাপন্ন হবে এই ভয় দেখাতে শুরু করেন তারা। হুমকি দেওয়ার একপর্যায়ে দেড় লাখ রুপিতে আপস রফা করে মেয়েটির পরিবার মেয়েটিকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে। কিন্তু একই কায়দায় ২০০৯ সালে মেয়েটিকে জোরকরে আবার বিয়ে দেয় তার পরিবার। এবার উত্তর প্রদেশের কাজমাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ধীরাজ নামের ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দেয় তাকে।
এখানেও একই কায়দায় ধীরাজকে হুমকি-ধমকি দিতে শুরু করলে ৬০ হাজার রুপিতে মীমাংসা করে মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন তারা। মেয়েকে এভাবে বিক্রি করে অর্থ উপার্জনের সহজ রাস্তা বুঝতে পেরে যায় মেয়েটির পরিবার। তখন তাকে আবারও দেরাদুনের কিছু ব্যক্তির কাছে এক লাখ রুপিতে বিক্রি করে দেয়। কিন্তু ২০ জুন মেয়েটি দেরাদুন থেকে পালিয়ে মিরাটে চলে আসে বলে জানান ডিআইজি প্রকাশ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।