রফিকুল :::---- তিনি এখনই মুখ খুলতে নারাজ। সময় এলে বিস্তারিত জানাবেন বলে ঘোষণা দেওয়া পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি ইজাজ বাট এটুকু অবশ্য জানিয়েছেন যে শহীদ আফ্রিদির অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়ার পেছনে যৌক্তিক কারণ ছিল। এ থেকেই অনুমান করে নেওয়া যাচ্ছিল যে শৃঙ্খলাভঙ্গের কোনো না কোনো ঘটনা নিশ্চয়ই ঘটিয়েছিলেন সদ্য সাবেক হওয়া পাকিস্তান অধিনায়ক। কিন্তু সে ঘটনা ঠিক কি রকম ছিল? পিসিবির একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সেটিই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই। ওই সূত্রের দাবি, দলের ম্যানেজার ইন্তিখাব আলম এবং কোচ ওয়াকার ইউনুসই আসলে আফ্রিদির নেতৃত্ব কেড়ে নেওয়ায় মূল ভূমিকা রেখেছেন।
আরেকটু নির্দিষ্ট করে বললে অধিনায়কের আচরণ নিয়ে নিজের রিপোর্টে ইন্তিখাব যা যা উল্লেখ করেছেন, সেসবের ভিত্তিতেই নাকি খৰহস্ত হয়েছেন 'পিসিবি বস'।
ওই সূত্র পিটিআইকে নিশ্চিত করেছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ানডে সিরিজের পরপরই ম্যানেজার তাঁর রিপোর্ট পাঠান। যে সিরিজ চলাকালীন দল নির্বাচন নিয়ে অধিনায়ক ও টিম ম্যানেজমেন্টের মতপার্থক্য চরমে পেঁৗছেছিল। 'দল নির্বাচন নিয়ে ওয়াকারের সঙ্গে মতের অমিল হওয়ায় আফ্রিদি টিম মিটিং থেকে বেরিয়ে যান এবং সিরিজের শেষ দুটো ওয়ানডেতে দলকে নেতৃত্ব দিতেও অস্বীকৃতি জানান। উল্লেখিত ঘটনা নিয়ে পিসিবি চেয়ারম্যান ইজাজ বাট ম্যানেজার ও কোচকে রিপোর্ট পাঠাতে বলেন'_পিসিবির ওই সূত্রের বক্তব্য এ রকমই।
সেই সঙ্গে তিনি আরো যোগ করেন, 'ম্যানেজার তাঁর রিপোর্টে ঘটনার বিস্তারিত জানান। অধিনায়ক এবং কোচের মধ্যকার দূরত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি পুরো সময়টায় যে আফ্রিদির আচরণ অধিনায়কসুলভ ছিল না, সেটিও বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। ইন্তিখাব তাঁকে শেষ দুটো ওয়ানডেতে খেলতে এবং দলকে নেতৃত্ব দিতে শেষ পর্যন্ত রাজি করান। এই নাটক দলের পরিবেশে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছিল। ' ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।