চার ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ২৯ রান। হাতে ছিল ৫ উইকেট। এমন সমীকরণে জয়টা দেখাই যাচ্ছিল পাকিস্তানের। শহিদ আফ্রিদি ও বিলওয়াল ভাট্টি এর মধ্যেই ১৮ বলে তুলে নেন ২৩ রান। এরপর শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন দাঁড়ায় ৬ রান।
বোলার নুয়ান কুলাসেকেরা এবং স্ট্রাইক অ্যান্ডে আফ্রিদি। প্রথম বলেই স্কুপ খেলে লং লেগ দিয়ে সীমানার বাইরে আছড়ে ফেলেন আফ্রিদি। ছক্কা। ৫ বল হাতে রেখেই ৩ উইকেটে ম্যাচ জিতে দুই ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে যায়। আজ দুবাইয়ে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচ।
দুবাই আন্তর্জাতিক মাঠে খেলতে নেমে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৫ রান করে শ্রীলঙ্কা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন ওয়ানডে অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলি ম্যাথিউস। ৫০ রান করেন মাত্র ৩৪ বলে। ১৪৭.০৫ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটিতে ৫টি বাউন্ডারি ছাড়াও ছিল একটি ছক্কা। তার ব্যাটিংয়েই মূলত লড়াকু ইনিংস গড়ে শ্রীলঙ্কা।
অবশ্য দ্বীপরাষ্ট্রের রানরেট বেধে রাখেন আফ্রিদি ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে। ১৪৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে তৃতীয় ওভারেই হারায় ওপেনার আজমল শেহজাদকে। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৮.১ ওভারে শারজিল খান ও অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজ ৫৭ রান যোগ করে দলকে লাইনে টেনে তুলেন। শারজিল ৩১ বলে ৩৪ রান করে ফিরেন সাজঘরে এবং হাফিজ ৩২ রান করেন ২৭ বলে। তবে শেষ দিকে ম্যাচ সেরা আফ্রিদি ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মাত্র ২০ বলে ২ চার ৩ ছক্কায়।
এর মধ্যে দলের জয়সূচক রানটি ছিল ছক্কা। আর সেটি এসেছে আফ্রিদির ব্যাট থেকেই। ম্যাচ জেতার পর পাকিস্তান অধিনায়ক আফ্রিদি বলেন, 'আমরা ভালো খেলে জিতেছি। আমার বোলিংটা ভালো হচ্ছে। ব্যাটিংয়েও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই।
' হারের পর শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক চন্ডিমল বলেন, 'আমাদের স্কোর বোর্ডে আরও ১৫ রান বেশি হলে ম্যাচের চিত্রটা অন্যরকম হতো। '
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।