ইসলামের সোনালী যুগ
***********
আরবের তপ্ত মরুর বুকে আগুনের লেলিহান শিখা , উট আর ঘোড়ার খুরের আঘাতে, সে বালু কনা ছিটকে যার গাঁয়েই মিশে , তপ্ত
চেকায় ফুস্কা পড়ে যায় । ।
দুত নামে উটের পৃষ্ট হতে , ছালাম জানায় নত শিরে , আগন্তুকের বুক ফুলে যায় ঘন ঘন নিঃশ্বাসে ।
হে আমিরুল মোমেনিন মিসরের নীল নদের তিরে মিলিশিয়া উজবেক রা ঘাটি বানাল , এবং কয়েক হাজার সুসজ্জিত নৌযান প্রস্তুত , সম্ভবত নীল নদ পেরিয়ে সুজা মদিনা আক্রমনের ফন্দি । ।
আচ্ছা যাও ,২য় বারের মত প্রস্তুতি নাও , দুত কপালের ঘাম মুছে
আবারও ছুটে মরুর বুকে তুফান তুলে ।
ইসলাম জাহানের খলিফা অযু বানালেন , আসরের নামায সারলেন , চোখে তার অবারিত করুণার জল , মুহূর্ত ক্ষন আল্লাহর
দরবারে তার অভিপ্রায় জানায় এবং ধিরে ধিরে নুর নবীজীর রওজা মোবারকের পানে তার দেহ করজুরে অতি উন্নত তাজিমে
দণ্ডায়মান হয় ।
হে রাছুল দিয়েছ যে ভার আজি ইসলামের জান্ডায়
রহমত দাও শক্তি দাও মানবের মুক্তির বারতায়
লয়ে নবীজীর ইমানি চেতনা , ইসলাম জাহানের কাণ্ডার
প্রস্তুত হয় অকুতভয়ে যালিম বিনাশে শোকরিয়া জানিয়ে খোদার
বেজে উটে মরুর বুকে যুদ্ধের ভেরি
ওরে পত পত ইসলামের নিশান দূর সিমানা ছাড়ি । ।
৪০ হাজার ইসলামের মুজাহিদ আনছার
কাতারে কাতারে দ্বারায় হাতে লয়ে নাঙ্গা তলোয়ার
মুখে তসবি লা শারিক আল্লাহ , বজ্র ধ্বনি আল্লাহু আকবার
ছুটে সম্মুখ পানে এক মহাআহবানে জেহাদি সওয়ার ।
।
নেতার আদেশে সবাই থামে ক্লান্ত যত মুসলিম বীর
সন্ধ্যা ঘনায় তাবু ফেলে আবার ভোরে জাগে উচ্ছ করে শীর
সারাদিন রোযা রেখে আবার মুসাফির যৎসামান্য রিঝিকে
খুশির ইফতারে মিলিত হয় , কায়মনে কভু বিধাতারে ডাকে । ।
ইসলামের সত্য সওঘাতে শত শত বেদীন মাথা নত করে
কলমা পড়ে মুসলমান হয় , আর সম্মুখে ছুটে রহমতের তরে
কত নগর কর দেশ করে জয় ইসলামের কাফেলা
ছুটে নির্ভয়ে খোদার পয়গাম লয়ে বিশ্ব বুক করে উজ্জলা । ।
এক মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর মুসলিম বাহিনী এসে পৌঁছে
নিল নদ তিরে , সাহাবাগন সব মৌন , খোঁদার ক্ষুত্রতি পায়ে সবার
নতশির , এবার তারা বিশ্রামের আয়োজনে ব্যস্ত ।
হটাৎ মুসলিম শিবিরে আক্রমন করে বসে মিলিশিয়া উজবেক
বেদিন শত্রু বাহিনী ।
, একেই তোঁ শ্রান্ত , ক্লান্ত দেহ , নিয়ে মুসলিম গন বিশ্রামে তার উপর পরিকল্পিত , আক্রমন , একদিকে পাহাড় , আরেকদিকে সাগর , আর দুদিকে শত্রুদের লক্ষাধিক সুসজ্জিত
বাহিনী , এবার উপায় ।
মুসলিম জাহানের কাণ্ডারি নির্দেশ দিলেন তাবু গুটিয়ে ফেল ।
তিন দিকে বেরি সামনে সাগর , আল্লাহর নাম নিয়ে সম্মুখে
সাগরের পানে মুসলিম বাহিনীর রথ চালাও ।
।
একজন সাহাবা বললেন তা কেমন করে হবে বরং পাহাড়ের দিকে যাওয়া যায় । ।
ভৎসনা করে মুসলিম বীর , আল্লাহর সৈনিকগণ কখনও পিছ পা
হয়না , চালাও সম্মুখে রথ ।
বেদিনেরা দেখল একঝাক ঘোড়া সওয়ার নিমিষে হাওয়ার বেঘে
নদীর জল ছুঁয়ে ছুয়ে পৌঁছে যায় অপারে ।
।
নিরাপদে সেথায় পৌঁছে মুসলিম বাহিনী আল্লাহর ক্ষুত্রতি পায়ে
লুটায় এবং সবার মুখে মুখে ভাসে আল্লাহু আকবার ধ্বনি । ।
সেই মুসলিম বাহিনীর নেতা ইসলাম জাহানের ২য় খলিফা
ওমর ফারুক রা ।
যিনি অর্ধ পৃথিবী করিতেন শাসন ধুলার তক্তে বসে
আল্লাহর রহমত তারি গায়ে , নজরানা দিত এসে ।
।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।