তাঁর অনেক লেখা নেটে পড়েছি। তিনি জাপানে থাকা কালে অনেক লিখতেন
বিভিন্ন ওয়েবে। ড. মশিউর রহমান। একজন তুখোড় বিজ্ঞানি ।
আজ তিনি অসুস্থ।
প্রিয় ব্লগার , পড়ুন তাঁর এই চিঠি।
আসুন আমরা যার যেটুকু সাধ্য হাত বাড়িয়ে দিই ।
কখনও স্বার্থপরের মত এমন একটি চিঠি লিখতি হবে তা ভাবিনি। কিন্তু আল্লাহ মানুষকে এমন কিছু মুহুর্তের মুখোমুখি করায় যার জন্য সে প্রস্তুত থাকে না। সারাটি জীবন ভেবে এসেছি, কিভাবে মানুষের ও দেশের উপকার করা যায়।
নিজের ব্যাক্তিগত প্রয়োজনে সবারকাছে হাত পাততে, সত্যিই খুব খারাপ লাগছে।
মার্চের শুরুতে জাপানের একটি গবেষনার কাজ গুছিয়ে যখন দেশে ফিরবার জন্য প্রস্তুত নিচ্ছি, তখন জানতে পারলাম আমার মুত্রথলিতে একটি পাথর ও টিউমার আছে। এর পর জাপানের সুনামি ও তেজস্ক্রিয়তার কারণে আর এটি নিয়ে ভাবার সময় পাইনি। জাপানের কাজ শেষ করে মে মাসে যথারীতি বাংলাদেশে আমার কর্মস্থল নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করার কথা। ভাবলাম বাংলাদেশে যাই, তারপরে সেখানেই অপারেশন করা যাবে।
একটু খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারলাম পাথরের অপারেশন বাংলাদেশে নিয়োমিত হচ্ছে এবং খুব একটি সমস্যা হবার কথা নয়। বাংলাদেশে ফিরে পিজির প্রোফেসর সালামের কাছে গেলাম এবং এপ্রিলের ১০ তারিখে অপারেশন করে পাথর ও টিউমার সরানো হলো। তবে ভয়াবহ খবরটি জানতে পারলাম তার তিনদিন পরে, টিউমার এর কোষগুলি টেস্ট করে সেখানে ক্যানসার ধরা পড়েছে।
সবার পরামর্শে ব্যাংককে আসি উন্নত চিকিৎসা করার জন্য। ব্যাংককে এসে তারাও জানায় যে ক্যানসার আছে।
ক্যানসার থেকে রক্ষা পাবার জন্য খুব দ্রুত একটি জটিল অপারেশন করে মূত্রথলিটি সরিয়ে ফেলতে হবে। এই অপারেশন বাবদ প্রায় ২০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। হাতে আছে ১০ লক্ষ টাকা। এখন আমার আরো ১০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। এখন আমি আপনাদের কাছে হাত পাতছি, বাকি অর্থ সংগ্রহ করবার জন্য সহায়তা করার জন্য।
অনেকে হয়তোবা ভাবতে পারেন দীর্ঘদিন যে বিদেশে ছিল তার কি অর্থের প্রয়োজন? কিন্তু আমাকে যারা ব্যাক্তিগতভাবে চিনেন, আমি হলাম ঘরের খেয়ে বাহিরের মোষ তাড়িয়ে ফিরি, দিনরাত বিজ্ঞানি.org নিয়ে ভাবি, অর্থ জমিয়ে বিত্তশালি হবার কথা ভাবিনি। ভাবলে প্রবাসেই জীবনটা কাটিয়ে দিতাম, বাংলাদেশে ফিরার সাহস করতাম না। আমার যা সংগ্রহ হয়েছিলো তাও আমার স্ত্রীর তিলতিল করে সংসার থেকে জমানো অর্থ। অথচ ব্যংককে আসার আগে সব কিছুই সে আমার হাতে তুলে দিয়েছে। আর পাশে এসে দাড়িয়েছে আমার পরিবারবর্গ।
ইতিমধ্যে চিকিৎসা বাবদ আমার ৭ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গেছে।
আমি আমার জীবনের সমস্ত পাপ-পূণ্য আল্লাহর হাতে তুলে দিয়েছি। তিনি যা করার তা করবেন। আর আমি এখন আপনাদের সহায়তার পাণে তাকিয়ে আছি। আপনাদের সহায়তা পেলেই আমি আবার সুস্থ জীবন ফিরে পেয়ে দশ ও দেশের জন্য কাজ করতে পারি।
ড. মশিউর রহমান
ব্যাংকক হসপিটাল, ২৯ এপ্রিল ২০১১
————————————————————————
অর্থ সংগ্রহের জন্য নিম্নে লিখিত লোকজন কাজ করছেন
বাংলাদেশ: মাহফুজুর রহমান মিলন +8801740615720
আমেরিকা: মাসুদুর রহমান +1 (304) 840-5861
জাপান: AKMF Azam হেলাল 090 4258 3837
সরাসরি অর্থ প্রেরনের ঠিকানা
Prime Bank
Name: Dr. Mashiur Rahman
Account no: 16421030001480
Account type: Savings
Bank name: Prime Bank Limited
Branch: Pallabi Branch
Bank Address: 1/11 Pallabi, Mirpur, Dhaka, Bangladesh
Swift code of the Prime Bank: PRBLBDDH
==========================================
আমেরিকায় যারা আছেন তাদের যোগাযোগের জন্য উপরে যাঁর কথা বলা হয়েছে তিনি বর্তমানে মার্শাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক হিসেবে কর্মরত ড. মাসুদুর রহমান। এ ব্যপারে তাঁর সাথে যোগাযোগ করার পরে উনি নিম্নলিখিত তথ্য দিয়েছেন, যার মাধ্যমে আমেরিকায় যারা আছেন তারা সরাসরি ব্যাংক ট্রান্সফার বা পেপ্যালের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারবেন। উনি অনুরোধ করেছেন কেউ কোন টাকা নিম্নলিখিত একাউন্টে বা পেপ্যাল এ পাঠালে যেন ওনাকে একটা ইমেইল () দিয়ে জানাতে।
Bank Information:
JP Morgan Chase Bank.
Routing number: 051900366
Accounting number: 763475522
Account Holder Name: Masudur Rahman
PayPal account:
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।