মৃত্যু বলে কিছু নেই..তুমি যাকে মরণ বল..সে শুধু মারবে তোমাকেই..
আমরা অনেকেই ছাত্র আন্দোলন এবং ছাত্ররাজনীতি শব্দটিকে গুলিয়ে ফেলি। ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে ‘পলিটিক্স’ ঢুকিয়ে তাকে ছাত্ররাজনীতিতে রূপান্তর করা কাদের রাজনৈতিক স্বার্থচিন্তাপ্রসূত তা আমরা প্রায়শই ভুলে গিয়ে ছাত্ররাজনীতি শব্দটাকেই বেশি প্রয়োগ করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি। আবার ছাত্ররাজনীতির ঐতিহাসিক প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে গেছে, ছাত্র রাজনীতি মানেই এখন সন্ত্রাস-হানাহানি, হল দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি- এ ধরণের বাগাড়াম্বর বক্তৃতার মাধ্যমে ছাত্রদের আন্দোলন করার অধিকার কেড়ে নিয়ে আত্মসুখবাদী, ভোগবাদী, ক্যারিয়ারসর্বস্ব প্রবণতার প্রতি উৎসাহিত করার চক্রান্তও এখন হালে পানি পাচ্ছে ভালোভাবেই। পত্র-পত্রিকা থেকে শুরু করে টক শো- এমনকী কাস লেকচারেও ছাত্র আন্দোলনকে হারাম বলে ঘোষণা করা হচ্ছে। এই সুযোগে সুযোগসন্ধানীরা বুর্জোয়া লেজুরবৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির ফায়দা লুটছে, ছাত্ররাজনীতির নামে সেইসব ছাত্রসংগঠন দিয়ে লুটপাটতন্ত্র-গুন্ডামি-মাস্তানির প্রাথমিক শিক্ষা দেয়া হচ্ছে।
এই অপরিষ্কার- কেদাক্ত ছাত্ররাজনীতির পান্ডারা পরবর্তীতে জাতীয় নেতৃত্বে এসে সেই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে চালাচ্ছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও অবাধ লুটপাট। অপরদিকে অনেক ছাত্রই এই ছাত্ররাজনীতির প্রতি ঘৃণা পোষণ করে চিরকালের জন্য রাজনীতিবিমুখ হয়ে পড়ছে-এবং ছাত্র আন্দোলনের প্রতি আস্থা হারিয়ে; ক্যারিয়ারসর্বস্ব, বিচ্ছিন্ন মানুষ হয়ে পরবর্তীতে নিজের অজান্তেই ব্যক্তিমালিকানার এই বর্বর সমাজকে টিকিয়ে রাখতে ভূমিকা পালন করছে। সুতরাং এই সময়কালে দাঁড়িয়ে দেশব্যাপী ছাত্রস্বার্থসংশ্লিষ্ট আন্দোলনগুলোও তেমন একটা গড়ে উঠছে না, রাষ্ট্রের চরিত্রের গুণগত কোন পরিবর্তন কিংবা প্রগতিমুখী আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনেও ছাত্রসমাজ আগের মত ভূমিকা রাখতে পারছে বলে দৃশ্যমান হচ্ছে না।
এই সময়কালে তাই ছাত্র আন্দোলন এবং তার সাথে সমাজ পরিবর্তনের লড়াইয়ের যোগসূত্র ছাত্রসমাজের কাছে আরো স্পষ্ট করে তুলে ধরা প্রয়োজন। ছাত্র আন্দোলন -এর কথা যদি আমরা বলি, সেই আন্দোলন কি রাজনীতি বিচ্ছিন্ন? ছাত্র আন্দোলনের সাথে আর্থ-সামাজিক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের লড়াইয়ের সম্পর্ক আছে কি? ছাত্রসমাজের স্বার্থরক্ষার আন্দোলন কীভাবে সমাজকাঠামো পরিবর্তনের রাজনীতির সাথে একসূত্রে গাঁথা যেতে পারে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজা এবং সেই উত্তর ছাত্রসমাজের কাছে নিয়ে যাওয়া জরুরী এখন।
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বলার আগে প্রথমত প্রয়োজন ছাত্রদের নিজ স্বার্থ সম্পর্কে সচেতন করে তোলা। এই স্বার্থসচেতনতা নিছক ব্যক্তিস্বার্থবাদীতা নয়, ছাত্রসমাজের বৃহত্তর স্বার্থের প্রতি সচেতনতা। সামাজিকীকরণের প্রক্রিয়ায়, একালের নাটক-সিনেমা-শোবিজ জগত-বিলবোর্ড-শপিং মল-কলসেন্টার-কাস্টমার কেয়ার-কম্পিউটার গেমস যেখানে আমাদের নিয়ে যাচ্ছে ব্যাক্তিকেন্দ্রিক, স্বার্থপর, নিঃসঙ্গ জীবনের দিকে, সেখানে সামষ্টিক স্বার্থচিন্তা নিয়ে লড়াই করার প্রবণতা কমে যায় বৈকী। সেই চর্চা থেকে বের করে আনতে প্রথমে সংগঠিত করতে হবে ছাত্রদের। ছাত্রদের এটা বোঝানো দরকার, একটু সংগঠিত হলেই হয়তো স্কুলের কাসরুমের বেঞ্চ কয়েকটা বাড়ানো যাবে- গরমে আর ঠাসাঠাসি করে বসতে হবে না।
বোঝানো যায়, একটু মাথা তুলে দাঁড়ালেই কলেজের লাইব্রেরিতে কয়েকটা বই বাড়ানো যাবে, রুখে দাঁড়ালেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ক্যান্টিনের ডাল আর অতটা পাতলা হবে না। ছাত্র আন্দোলনের হাতেখড়ি তো এইভাবেই হয়। সেই ছোট ছোট সংগঠিত আন্দোলন, একুশে ফেব্রুয়ারির প্রভাতফেরি- বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ- স্কুল,কলেজের দেয়ালিকা-ম্যাগাজিন একটু একটু করে সচেতন করে তুলতে পারে ছাত্রসমাজকে। সত্যিকারের ছাত্রসংগঠন, ছাত্র আন্দোলনের পক্ষের সংগঠন এই ভাবেই গড়ে তোলে ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের।
ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা ক্রমশই বুঝে উঠতে থাকে শিক্ষা-বৈষম্য, শিক্ষাকাঠামোর সমস্যাগুলো, শিক্ষা-বাণিজ্যের স্বরূপ।
তারা লড়তে থাকে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের দাবিতে, গণমুখী, বিজ্ঞানভিত্তিক একই ধারার শিক্ষানীতির প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরে ধারাবাহিক সংগ্রামে তারা অবতীর্ণ হয়। ছাত্র আন্দোলনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা, দেশপ্রেম, সাংগঠনিক দক্ষতা, পড়াশোনা তাদের চেতনাকে আরো বিস্তৃত করে। একটা সত্যিকারের ছাত্রসংগঠন এবং তার ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা তখন তাদের শত্রুদের চিহ্নিত করতে পারে। ছাত্র আন্দোলন এবং সত্যিকারের ছাত্রসংগঠনকে তাই আরোপিতভাবে প্রগতিশীল করে গড়ে তুলতে হয় না, বরং ছাত্রস্বার্থের পক্ষে থাকতে হলে তাকে প্রগতিশীল চরিত্রই ধারণ করতে হয়।
ছাত্র আন্দোলনের স্বাভাবিক বিকাশের গতিমুখ প্রগতিমুখী।
ছাত্র আন্দোলন যতই বিস্তৃত ও ব্যাপক হয়, ততই তার মুখোশধারী শত্রুরা সহজেই চিহ্নিত হয়ে যায় ছাত্রদের কাছে, ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের কাছে তো বটেই। সাম্রাজ্যবাদ যে ছাত্রদের শত্রু, এটি ছাত্রদের ধরে এনে লেকচার দিয়ে বোঝানো সহজ নয়। কিন্তু উদাহরন দিয়ে বলা যায়, যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বেতন-ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আন্দোলন করে, তখন তারা বুঝতে পারে এই বেতন বাড়ছে ইউজিসির এক কৌশলপত্রের কারনেই, যা কিনা বিশ্বব্যাংক-আই এম এফ এর মত সাম্রাজ্যবাদী প্রতিষ্ঠানগুলোর পরামর্শে গৃহীত হয়েছে। তখন তাদের সাম্রাজ্যবাদ ও তাদের স্বার্থ সম্পর্কে জানতে হয়-বুঝতে হয় তাদের স্বার্থ এবং এদেশের ছাত্রস্বার্থের মূল দ্বন্দ্বটা কোথায়। আবার যখন ছাত্রস্বার্থের প্রযোজনে এক ধারার বৈজ্ঞানিক, আধুনিক কুসংস্কারমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক শিক্ষাপদ্ধতির দাবী তোলা হয়, তখন মৌলবাদী শক্তিরা ছাত্রসমাজের প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠে।
ছাত্ররা যতই সচেতন হয়ে ওঠে, সাম্রাজ্যবাদ ও মৌলবাদকে শত্রু হিসেবে গণ্য করে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মানসিকতাও গড়ে ওঠে। সুতরাং ছাত্রস্বার্থের পক্ষের সংগঠন, অর্থাৎ প্রকৃত ছাত্রসংগঠন এবং প্রকৃত ছাত্র আন্দোলনের কর্মী কখনো সাম্রাজ্যবাদ, কিংবা মৌলবাদের পক্ষে যেতে পারে না, বরং সা¤্রাজ্যবাদের দোসর ও মৌলবাদীদের সহায়ক শক্তিদের বিরুদ্ধে তার শক্ত অবস্থান থাকে। যাদের এই বৈশিষ্ট্য থাকে না, সেসব সংগঠনই মূলত লেজুরবৃত্তিক ক্ষমতাকেন্দ্রিক ছাত্ররাজনীতির সাথে জড়িত। ছাত্রসংগঠনের মৌলিক বৈশিষ্ট্য থেকে বিচ্যুতিই মূলত এদের অধঃপতনের কারণ, যাদের কারনে বাংলাদেশের গৌরবময় ছাত্র আন্দোলনের ঐতিহ্য ভুলুন্ঠিত হচ্ছে।
একজন সচেতন ছাত্র আন্দোলনের কর্মী ধীরে ধীরে এই সমাজকাঠামোর মূল চেহারাটা পড়ে ফেলতে পারে।
এই সমাজ তাকে যা যা শিক্ষা দেয়, ছাত্র আন্দোলনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার ফলে সে তার বাইরেও আরেক বৃহৎ ও ব্যাপক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করতে পারে। সে বুঝতে পারে, এই রাজনৈতিক কাঠামো, এই আর্থসামাজিক কাঠামো ছাত্রস্বার্থের অনুকুল নয়, সার্বজনীন শিক্ষার পক্ষের নয়। সুতরাং এই সমাজকাঠামো পরিবর্তনের বিপ্লবী রাজনীতির সাথে নিজেকে আর সে সম্পর্কহীন ভাবতে পারে না। ছাত্র আন্দোলনের স্বার্থেই তাকে সমাজ পরিবর্তনের রাজনীতির সাথে মিশে যেতে হয়। ছাত্র আন্দোলন তাই রাজনীতি বিচ্ছিন্ন নয়, বরং ছাত্র আন্দোলন, সমাজ পরিবর্তনের রাজনীতির মূল স্রোতের একটি শাখা মাত্র।
সমাজ পরিবর্তনের রাজনীতির প্রতি ছাত্র আন্দোলনের একজন কর্মী যখন আগ্রহী হয়ে ওঠে, তখন সে সমাজ পরিবর্তনের মূলসুত্র সম্পর্কে জানতেও আগ্রহী হয়ে উঠবে। তাকে আগ্রহী হয়ে উঠতে হবে সমাজ-অর্থনীতি-দর্শন-বিজ্ঞান-রাজনীতি বিষয়ক পাঠে। ধীরে ধীরে সে আয়ত্ত করবে বৈজ্ঞানিক, বস্তুবাদী দৃষ্টিভঙ্গি- যা এই সমাজ থেকে সে শিখতে পারে না। সে ঐতিহাসিক বস্তুবাদ অধ্যয়ন করে বুঝতে শুরু করবে, আদিম সাম্যবাদী সমাজ ভেঙ্গে দাস সমাজ কীভাবে এল, কেন এল? দাস সমাজ, সামন্তবাদী সমাজ হয়ে এই পুঁজিবাদী সমাজে মানুষ প্রবেশ করলো কীভাবে? কীভাবে উৎপাদন শক্তির বিকাশের সাথে সাথে সমাজ বদলে যায়, পুরনো উৎপাদন সম্পর্ক ভেঙ্গে তৈরি হয় নতুন উৎপাদন সম্পর্ক? যে পুঁজিবাদী সমাজে এখন সে বাস করছে তার বৈশিষ্ট্যই বা কী? এই সমাজ কাঠামোর পরবর্তী স্তর সমাজতন্ত্রের আগমনই বা কীভাবে এই সমাজকে ভেঙ্গে ত্বরান্বিত করা যায়! বিপ্লব কীভাবে করা যেতে পারে, কীভাবে পাল্টে ফেলা যেতে পারে এদেশের সমাজকাঠামো? এসব প্রশ্নের উত্তর সে খুঁজে নিতে থাকবে ক্রমশ। ছাত্র আন্দোলনের সেই অগ্রসর কর্মী তার সংগঠনে সেই বিপ্লবী চেতনার প্রসার ঘটাতে চেষ্টা করবে।
ছাত্ররাই কী সমাজটাকে একলা বদলে দিতে পারবে? ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে আমরা দেখি, পরাধীন এবং স্বাধীন বাংলাদেশে ছাত্ররা অনেকবারই জাতীয় রাজনীতির গতিমুখ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। ছাত্র আন্দোলন যখনই গোটা দেশের ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ এবং পরিবর্তনকামী আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে পারে তখনই তা বৃহত্তর গণআন্দোলনের দিকে মোড় নেয়। বাংলাদেশে বুর্জোয়া রাজনৈতিক দলগুলোর আধিপত্যের কারণে এই ছাত্র আন্দোলনসমূহ অনেক সময়েই বুর্জোয়া রাজনীতির শিকারে পরিণত হয়। তা সত্ত্বেও ছাত্র আন্দোলনের বড় কৃতিত্ব হলো তা বুর্জোয়া রাজনীতির ধারাকে জনগণের আকাক্সা এবং পরিবর্তনের প্রত্যাশার সাথে আপোস করতে বাধ্য করে। বুর্জোয়া রাজনৈতিক দলগুলো তখন সুকৌশলে নিজেদের শ্রেণীস্বার্থের ক্ষতি না করেই জনগণের পরিবর্তনমুখী চাহিদার সাথে নিজেদের অভিযোজিত করে নেয়।
মূলত এ কারণেই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত যে সকল প্রগতিশীল গণআন্দোলন তৈরি হয়েছিল, তার সূত্রপাত ঘটানোর এবং তা সংগঠিত করার মহান ঐতিহাসিক দায়িত্ব ছাত্ররা পালন করলেও ছাত্রদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক মুক্তির আকাক্সা শ্রেণী সংগ্রামের দিকে যেতে পারে নি। স্বাধীনতার পরবর্তীতেও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ নানা প্রকার ছোট-বড় আন্দোলন ছাত্রদের পরিবর্তনমুখী প্রত্যাশাকে ধারণ করলেও তা বাংলাদেশের সামাজিক অর্থনৈতিক কাঠামোতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি। বড় ধরনের পরিবর্তনের জন্য, বিপ্লবের জন্য যে কোনো গণআন্দোলনে শ্রমিক, কৃষক এবং মেহনতি জনতার মধ্যেও বিপ্লবী চেতনার ব্যাপক প্রসার দরকার। ছাত্রদের তাদের জায়গা থেকে শুধু সমাজ পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা বুঝলেই চলবে না। ছাত্রদের মধ্যে যারা বেশি অগ্রসর, ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষা কাজে লাগিয়ে তাদেরকেও প্রস্তুত হতে হবে মেহনতি মানুষের কাছে সেই বিপ্লবের চেতনা পৌঁছে দিয়ে তাদের সংগঠিত করার জন্য।
এই সমাজে যে ধরণের সামাজিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে, ছাত্র আন্দোলনের একটি সুস্থ্য ধারা বিকাশমান না হলে সমাজের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী একতরফাভাবে কেবলমাত্র ভোগবাদী, সুবিধাবাদী এবং ব্যক্তিস্বার্থবাদী হয়ে গড়ে উঠবে। ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষাই এই প্রতিকূল কালেস্রোতে দাঁড়িয়েও সমাজ পরিবর্তনের লড়াইয়ের অগ্রসর সৈনিক তৈরী করতে পারে। একের পর এক ছাত্র আন্দোলন গড়ে তুলে সেই পরিবর্তনের স্বপ্নের সলতেটা জ্বালিয়ে রাখার দায় এখন বর্তমানের ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদেরই।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।