আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি মন্তব্যের জন্য হাহাকার



সামুতে রেজিষ্ট্রেশন করেছি মাত্র আটদিন। ১৭ এপ্রিল নিক নিয়ে সেদিনই কাকের ঠ্যাং বগার ঠ্যাং জাতীয় একটি লেখা লিখলাম। জানতাম সাত দিনের কাস্টডিতে থাকতে হবে, তাই কে পড়ল বা না পড়ল তা নিয়ে ভাবিনি। শুধু লিখতে চেয়েছি। এরপর আরো কয়েকটি লেখা লিখলাম।

আর অপেক্ষা করলাম ২৩ এপ্রিলের জন্য। ওই দিন আমি মুক্ত হবো বলে। কিন্তু ২১ এপ্রিল রুখসানা তাজীনের `একজন শিক্ষকের জন্য হাত পাতছি' পোস্টটা পড়ে আমি বিহবল হয়ে পড়ি। সাব্বির স্যারের জন্য কিছু একটা করার চেষ্টা করব এই ভাবনা শুরুতেই মনে জাগে। পরিচিত প্রায় সবাইকে এই বেদনাবিদূর জীবনের গল্পটি শুনিয়ে সাধ্যমত কিছু করার অনুরোধ করি।

কিন্তু আমার মনের অশান্তি কাটেনা। সাব্বির স্যারের জন্য মেনন ভাই কিডনি দিতে চেয়েছেন, অসংখ্য ব্লগার আর্থিক সহায়তা করতে চেয়েছেন। আগেই বলেছি আমিও সামান্য কিছু পরিমানে হলেও কিছু একটা করার সংকল্প করেছি। আমি অনেক কেঁদেছিও। চোখের পানি অনেক কষ্টে আটকেছি কিন্তু হৃদয়ের কান্না, বুকের ভিতরের আর্তনাদ, মস্তিস্কের রক্তক্ষরণ থামাতে পারিনি।

নিজের ব্যর্থতা, রাষ্টের ব্যর্থতার কথা ভেবে আজো কাঁদছে আমার মন। নিজের কাছে নিজেকে এত ছোট লাগছে যে কিছুতেই স্থির হতে পারছিনা। ভাবছি আর কত এমন করুণ জীবন চিত্র দেখতে হবে আমাকে। পেশাগত সংশ্লিষ্টতার কারণে আমাকে প্রতিদিনই রাষ্ট্রর, ব্যক্তির, সমাজের নানা ব্যর্থতা, অন্যায়, অনিয়ম, অবিচার, নিষ্ঠুরতা দেখতে হয়। নিদেনপক্ষে কারো না কারো কাছ থেকে শুনতে হয়।

আর সকাল বেলা পত্রিকা হাতে নিলে যে চিত্র দেখি তাতে প্রায় সব কিছু স্বাভাবিক ঘটনাই হয়ে উঠছে অনুভূতিতে। তবু সাব্বির স্যারের ঘটনায় নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি। তাই কিছু আমার কান্নার কথা, মেনন ভাইয়ের কিডনি দেওয়ার কথা, রুখসানা তাজীনের অসাধারণ মর্মস্পর্শী লেখাটি নিয়ে একটা মন্তব্য করার জন্য ছটফট করছিলাম। অপেক্ষা করছিলাম কখন ২৩ এপ্রিল আসবে আর আমি মন্তব্য করার সুযোগ পাবো। কিন্তু সামু কথা রাখলনা।

২৩ এপ্লিল সাত দিন পার হলো তাও আমাকে `ওয়াচ'মুক্ত করা হয়নি। আজ এখন যখন নেটে বসলাম দেখি আজো আমি ওয়াচমুক্ত নয়। মনটা এত খারাপ হলো। তবু কেউ পড়ুক আর নাই পড়ুক আমি আমার অনুভূতি জানালাম।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.