তোমাদের পাগল বন্ধু
কি আছে ঐ তেপান্তরে, জানতে বড় ইচ্ছে করে,
হাত বাড়িয়ে ডাকছে আকাশ নীল চাদোয়ার পর।
মাটির ধরায় ভাবছি বসে নানা রকম অংক কষে,
কে বানালো শূণ্য মাঝে মাটির এমন ঘর?
পাহাড় কেন ঠাঁয় দাঁড়িয়ে, মেঘালয়ের লোক ছাড়িয়ে
তুলবে মাথা মহাকাশের অন্ত গ্রহের লয়?
বইছে কেন নদীর ধারা, অনন্ত তায় ডাকছে কারা,
কার ইশারায় ঘটছে এসব- সহজ হিসাব নয়।
শূণ্য মাটির বুকটা ভরে, শ্যাম কাননে ভরল ওরে
সুপ্ত জীবন শস্যে দিয়া ছুড়ল ভূ ধরায়,
কার আদেশে উঠল ফুঁড়ি, কঠিন শিলার বুকটা চিড়ি
ক্ষুদ্র লতা মুখটা তুলি সূর্য কিরণ চায়?
মাটির নিচে নাট্যশালা, চলছে সদা অনল জ্বালা,
হয়ত দেখি পাহাড় ফুঁড়ে নামছে আগুণ ঢল,
এমন কেন হিসেব রবে? পশ্চাতলে অস্ত হবে?
তপন হেথায় না উঠিয়া ওঠেন পূর্বাচল?
মহাকাশের কৃ্ষ্ঞ দেহে, চন্দ্র তারা কুঁদল কে হে?
ধুমকেতু আর নিহারিকার চলন নিরন্তর,
দিবা নিশির পালা চলে, কোন ইশারায় কাহার ছলে?
কিরণ তাহার জগৎ জুড়ে ছড়ায় প্রভাকর।
জনম জনম ধইরা সবে, অভাব কেন সইতে হবে,
মানু্ষ হয়েও মানুষ মাঝে জাত বেজাতের জ্বর?
কেউ যে এথায় ঘর্ম ঝড়ায়, চর্ম পুড়ি অন্ন জোগায়
কেউবা আবার ধনের নেশায়, রক্ত চুষে রাজ্য সাজায়
অর্থ লোভে মত্ত সবে- ভুলল আপন পর
এই "মহাকাল" লেখেন কে সে? কোন সে কারিগর?
প্রশ্ন রবে তাহার তরে, "পারলে তুমি কেমন করে?
এমন জগৎ সৃষ্টি করে চুপটি করে রও,
কষ্ট এখন বাঁধ ভাঙ্গিছে, একটি কথা কও-
'কেমন পুতুল আমি তোমার?
কেমনে আমায় গড়ো?
কাঁদা মাটির দেহ দিয়া,
চুলায় ঠেশে ধরো?"
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।