শেষ বারের মতো সতর্ক করছি...
অরুন্ধতী রায় ভারতের একজন বিখ্যাত উপন্যাসিক এবং সমাজ কর্মী। তিনি ১৯৯৭ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস" গড আফ দি স্মল থিংকস" এর জন্য বুকার পুরস্কার পাওয়ার পরই অলোচনায় চলে আসেন। তিনি ২০০৪ সালে " এডওয়ার্ড সায়ীদ" শান্তি পুরস্কার পান।
অরুন্ধতী রায় ২৪ নবেম্বর ১৯৬১ সালে আসামে জন্ম গ্রহন করেন। তার মা ক্যাথলীক খ্রীষ্টান এবং বাবা বাঙ্গালী হিন্দু।
তার বাবা মায়ের সম্পর্ক দীর্ঘায়িত হয়নি। তার ছেলে বেলা কাটে মায়ের সাথে আয়ামানাম, কেরালায়। তার মা ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ সমাজ কর্মী, তিনি স্বাধীন ভাবে একটা স্কুল বেছে নেন এবং মেয়েকে অনারম্ভর ভাবে গড়ে তোলেন।
যখন তার বয়স ষোল তিনি গৃহ ত্যাগ করেন ভর্তিহন দিল্লীর একটি আর্কিটাকচার স্কুলে। সেখানেই তিনি তার প্রথম স্বামীর গরার্দ দে চুন্নু এর সাক্ষাত পান।
তিনিও তখন সেখানের ছাত্র। তাদের বিবাহীত সম্পর্ক ছিল চার বছর। তাদের মধ্যে একটা ব্যাপার বেশ মিল ছিল তারা দুজনেই নিজের বিষয় আর্কিটেকচার পছন্দ করতেন না। তাই তারা দুজনেই এই পেশা ছেড়ে গোয়ায় চলে যান। সেখানে তারা নিজেরা পিঠা তৈরি করে বিচে বিক্রি করে জিবিকা নির্বাহ করতেন।
এভাবে চলার সাত মাস পরে অরুন্ধতী আবার দিল্লী ফিরে আসেন।
তিনি "নেশনাল ইনস্টিটিউড আব আরবান এফেয়ার্স" এ চাকরি নেন এবং বারাসাতি তে একটি ঘর ভারা করেন। এটি ছিল নিজামউদ্দিন এর দরগার খুব কাছে। এবং একটি বাই-সাইকেল সংগ্রহ করেন। একদিন রাস্তার ধারে সাইকেল চানালোর সময় ফিল্ম ডিরেক্টর প্রদীপ কৃষ্ণ দেখতে পান।
পরিচালক তাকে " ম্যাসি সাব" ছবিতে এক উপজাতীর ছোট একটি চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব করেন। অরুন্ধতী রায় তার প্রস্তাবে কোন দ্বিধা না করেই সম্মত হন। এবং এক সময় প্রদীপ কৃষ্ণকেই বিয়ে করেন।
একটি বৃত্তি পেয়ে তিনি ইটালি চলে যান এবং আট মাস " রিস্টুরেশান আব মনুমেন্ট" এর উপর পড়ালেখা করেন। এবং ফিরেই তার স্বামীর সাথে যোগাযোগ করে এং দুরদর্শন এর জন্য ২৬ পর্বের একটি ধারাবাহিক এর পরিকল্পনা করেন তার নাম হবে "বটবৃক্ষ"।
শেষে আবশ্য তা আর হয়ে উঠেনি। তিনি তখন কয়েকটা টেলিভিষনের জন্য চিত্রনাট্য লেখতে থাকেন" ইন হুইচ এনি গিবস দিন ওন" এবং "ইলেকট্রিক মোন" অরুন্ধতি রায় শেখর কাপুরের বির্তকীত ছবি " দস্যুরানী" জন্যও চিত্রনাট্য লেখেন। এবং এই কাজে তিনি আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পরেন। তারপরই তিনি পারিবারিক সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে লেখালেখিতে মন নিবেশ করেন তার শেষ ফলাফল দাঁড়ায়" দি গড আব স্মল থিংস"।
" দি গড আব দি স্মল থিংস" এর জন্য বুকার পুরস্কার পাওয়ার পরেই তিনি রাজনৈতিক বিষয়ে লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন।
তিনি অনেক বিষয়েই লিখেছেন তার মাঝে "নর্মদা দাম প্রকল্প, ভারতিয় পারমানবিক অস্ত্র, ইন্ডিয়াতে আমেরিকার শক্তির দৈত্য এনরন্সের কার্যকলাপ ইত্যাদি।
অরুন্ধতী রায় সাম্রাজ্যবাদ বিরুধী আন্দোলন এবং এন্টি-গ্লোবালাইজেশন আন্দোলন সঙ্গবদ্ধ করে তোলেন।
[প্রোফাইল থেকে অনুবাদ করা]
মুল পোষ্ট টি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।