আমি আপাতত আমার ইন্টেলেক্চুয়াল এক্টিভিটি নিয়েই সময় কাটাবো বলে ঠিক করার পর থেকে ঘরে-বাইরে প্রচুর সময় একা থাকার সুযোগ হয় । আমার আগে থেকেই ধারনাটা ছিল যে , ইন্টেলেক্চুয়াল প্র্যাকটিস ভালোভাবে করতে চাইলে খানিকটা সময় একা থাকা খুবই জরুরি । এজন্যই মুনি-ঋষিরা নির্জনে গিয়ে ধ্যান করতেন । মহামতি বুদ্ধতো ধ্যানরত অবস্থায় থাকাকালে মন্দিরে নারিদের প্রবেশও নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন ।
আমার ছোট্ট ১টা আবিষ্কার এ ধারনার সমর্থনে উপস্থাপন করছি ।
গত কিছুদিনে কয়েকবার খেতে গিয়ে পাতিল থেকে ভাত নিতে গিয়ে গরম ভাতের পাতিলের উপরের ৪পাশে পিপড়া দেখে অবাক হই । পাশে অন্যান্য ঠান্ডা খাবারের পাতিল রেখে পিপড়া গুলো গরম ভাতের পাতিলে কেন ? প্রশ্নটা তখন মাথায় এলেও, 'এখন ওদের ভাত খেতে ইচ্ছে করেছে '; মনে করে এ নিয়ে আর বেশি ভাবিনি ।
সময়টা শিতকাল; ঠান্ডার কারনে মাঝে মাঝেই আমি পরপর ২ মগ চা খাই । কালকে চা বানাতে গিয়ে দেখি চায়ের পাতিলে আগের বার চা বানিয়ে রেখে যাওয়া অবশিষ্ট পানির ৪পাশেও সারি ধরে পিপড়া বসে আছে । 'আরে তাহলে কি ওদের এখন পানি খেতে ইচ্ছা করেছে !' পিপড়া এভাবে পানি খেতে পারে এটা তো অবিস্বাস্য ঠেকছে ! পাতিলে হাত দিয়ে দেখি পানি তখনও ঈষদোষ্ণ ।
তার মানে ওরা গরম পানির জন্যই আসলে ভাতের পাতিল, চায়ের গরম পানির পাতিলে এসে জড়ো হয়েছিল ।
আমি যদি এমন একাকি নির্জন পরিবেশে এভাবে সময় না কাটাতাম, তাহলে কিন্তু এই ছোট্ট আর চমকপ্রদ বিষয়টা আমার মাথায়ই ঢুকতো না । এটা আমি ১টা ছোট্ট উদাহরন হিসেবে দেখালাম । কিন্তু এমন বহু বিষয়ে আমি এমন অভিনব বেশ কিছু আবিষ্কার / রহস্যোদ্ঘাটন করতে পেরেছি, যেগুলো এমন পরিবেশ ছাড়া আমার মাথায়ই আসতো না । এছাড়া যথাসম্ভব একা না থাকলে কিছু বৈষয়িক বিষয় মানুষকে বেশ খানিকটা প্রভাবিত করে; যা তার জ্ঞান চর্চা / ধ্যানে বিঘ্ন ঘটায় আর পক্ষপাত দোষে দুষ্ট করে সহজেই ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।