ভাবতে ভাবতেই একসময় হারিয়ে যেতে চায় ভাবনার জগতে
হ্যালো, তুমি এখন কোথায়?
অফিসে।
খুব কি ব্যাস্ত?
হ্যাঁ, মোটামুটি ব্যাস্ত। কেন, কিছু বলবে?
না, একটু পরে বলি। (ভারী গলায়)
কেন? এখনি বল, সমস্যা নেই।
না, তেমন কিছু না।
তেমন কিছু না, মানে কি? কোন খারাপ খবর?
তোমার ছেলে আর নেই।
এস এ বারী সাহেব যেন সাথে সাথে পাথরের এক কঠিন মূর্তি হয়ে গেলেন। কখন যে মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে তিনি খেয়ালই করেননি।
হঠাৎ করে মোবাইলটা কানের কাছ থেকে হাতে নিয়ে আবার কল করলেন অপর প্রান্তে। ভরাট গলায় বললেন আমি আসছি।
অশ্রুসিক্ত চোখে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বের হলেন। ভোররতে রওনা দিলেন বাসার উদ্দেশ্যে। রাতের ডিউটি থেকে ক্লান্ত দেহ নিয়ে ছুটছিলেন ক্লান্তহীনভাবে। তেঁজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে যাত্রাবাড়ীর দিকে। অশ্রুমাখা চোখ নিয়ে এগুচ্ছিলেন।
ভোররাতের ঢাকাকে মনে হয় নিস্তব্ধ এক পৃথিবী। পথ যেন শেষ হয় না বারী সাহেবের। হঠাৎ করে তেঁজগাঁও ফ্লাইওভারের নিচে কিছু যুবক বারী সাহেবের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে মোবাইল আর টাকা নিয়ে উধাও। তাদের চোখের পাপী পর্দা বারী সাহেবের চোখের জলকে দেখতে দেয়নি। শোকাহত পিতা হয়তোবা পুত্রের মৃত্যুর শোকেই বেঁচে রইলেন।
কিন্তু জ্ঞান ফেরার পুত্রের মৃত মুখ দেখার সৌভাগ্য টুকুউ তার হলো না। তার পুত্রের বয়সী কিছু যুবকই তাকে এই দুর্ভাগ্যের দিকে ঠেলে দিলেন।
পাঠক ঘটনাটা হয়তবা এরকমই ছিল। কিন্তু এ এক বাস্তব ঘটনার কাল্পনিকরূপ মাত্র। সকালে প্রথম আলো পত্রিকা খুলে এই খবরটি দেখে খুব খারাপ লাগছিল।
প্রথম আলো
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।