সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি
হাসি স্বর্গীয়। হাসি স্বাস্থ্যকর। হাস্যরসিক ব্যক্তি বন্ধুবৎসল, পরিবার-পরিজন বেষ্টিত সুখী মানুষ। হাসলে কিংবা হাসালে চিন্তা প্রফুল্ল হয়, মন উদ্দীপিত হয়, বিষন্ন বিপর্যস্ত ব্যক্তি বাঁচার আনন্দ খুঁজে পায়। হাসিখুশি ব্যক্তি, সুস্থ ব্যক্তি।
আজকাল মানুষ অসুস্থ্যতায় মালিশ চিকিৎসা, জল চিকিৎসা, সুগন্ধি চিকিৎসা, স্পর্শ চিকিৎসা, কম্পন চিকিৎসা ইত্যাদির প্রসার দেখা যায়। এর পাশাপাশি হাস্যরসেরও চিকিৎসা গুণ রয়েছে। অবশ্য হাস্য-গবেষকরা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না আসলে হাসিই মানুষকে সুস্থবোধ করতে সাহায্য করে, নাকি সুস্থ্য মানুষই প্রাণ খুলে হাসতে পারে।
একথা অনিস্বীকার্য যে, যারা হাসেন তাদের রসবোধ প্রখর। তারা জীবন সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন।
হাসি-খুশি ব্যক্তিকে বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবার-পরিজনও পছন্দ করেন। হাসি-খুশি ব্যক্তির সাহচর্যে এসে কেউ গোমড়াহ হয়ে বসে থাকতে পারেন না। হাসির এত উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও দুঃখের বিষয় এ নিয়ে তেমন কোন নির্ভরযোগ্য বৈজ্ঞানিক গবেষণা হয়নি। তবে অনেকে বলেন, হাসি এবং ব্যায়ামের উপকারিতা একই রকম। হিসাব করে দেখা গেছে, ১০-১৫ মিনিটের হাসির ফলে ৫০ ক্যালরি খরচ হয়।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ কিংবা উদ্বেগ, আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়। কিন্তু কিছু পরীক্ষা-পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে, হাস্যরস শরীরে রোগ প্রতিরোধের জন্য দরকারী কোষ এবং অ্যান্টিবডির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা একটা মজার গবেষণা করেছেন। যারা হাসির নাটক দেখেছেন তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত প্রবাহ বেড়েছে। হাসি-তামাশা রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমানোর জন্য সহায়ক।
হাসির উপকারিতা নিয়ে কোনো সন্দেহ না থাকলেও গবেষকরা এর প্রকৃত রহস্য উদ্ধার করতে গিয়ে পড়েছেন এক গোলক ধাঁধায়। অনেক গবেষণায় প্রমাণ করা হয়েছে হাসলে আঘাতজনিত ব্যথার অনুভূতি অনেক কমে যায়।
অবশ্য এটা কি শুধু হাসির প্রভাব, না আর কোন উপাদান এখানে কার্যকর তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যেমন বলা হচ্ছে, হাসলে মানুষের অসুস্থতার হার কমে যায়। নাকি যারা সুস্থ তারা বেশি হাসতে পারেন? এ জন্য হাসিই সুস্থতার নিয়ামক নাকি, সুস্থতার ফল হাসি-তামাশা এ প্রশ্নের জবাব দেওয়া সহজ নয়।
তবে এ নিয়ে অযথা বিতর্ক না করে, আমরা সবার মুখে হাসি চাই। নিঃসঙ্গ ব্যক্তির চেয়ে বন্ধুবান্ধব পরিবৃত্ত ব্যক্তি ৩০ গুণ বেশি হাসেন। আর যারা হাসেন তাদের সঙ্গে আশপাশের মানুষের সংযোগ অধিকতর ঘনিষ্ঠ। সামুর বন্ধুরা আর গোমরা মুখ নয়, হাসুন, প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে, প্রাণখুলে। কেউ গালি দেবার মতো পোস্ট দিলেও গালি না দিয়ে হাসুন।
হাসলে আপনারই লাভ। সুস্থ্য থাকতে পারবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।