পোস্ট পইড়া ভাল লাগলে কম্পুর স্ক্রীন চাটবেন, কামে দিব...
হাই দোস্ত,
কেমন আছছ? আশা করি তরমুজের মত তরতাজা আছছ। তর শরীরের টেম্পারেচার জানবার লাইগা বহুতবার খাঁটি গাওয়া ঘি মাখা একখানা পত্র লইয়া পিয়নের বাড়ি পর্যন্ত গিয়াছিলাম। ফলাফল ছিল যথারীতি গোল আলু । এদিকে আমাগো হোস্টেলের কন্ডিশনও ভাল ঠেকতাছে না। রাজনীতি আর ক্ষমতার উত্তাপে হোস্টেলটা সিদ্ধ পানির মতই ফুটতাছে।
তার উপর আবহাওয়াও খুব একটা ভাল না, মনে হয় ঘূর্ণিঝড় ক্যারামত আলী কয়েক দিনের মধ্যেই তার ক্যারামতি দেখাইব।
এদিকে আমাগো দোস্ত আক্কেল আলী শহরের কার্বন ক্যামিকেল মিশানো অক্সিজেন মানে কার্বন-ডাই-অক্সাইড খাইয়া অস্বাভাবিক রকম ফুইলা গেছে, চেহারায় তার গরু গরু ভাব। দেখলে মনে হয় এই মাত্র কোন বলদ গরু বাছুর প্রসব কইরা হাঁফ ছাইড়া বাঁচছে। ও, আরেকটা কথা, আমাগো রোমান্টিক সেন্সের ক্লাসমেট সুরুত আলী একমাসে একশটা মেয়ে পটাইয়া গিনেস বুক অব কলেজে নাম লেখাইছে। ফাইনাল পরীক্ষায়ও সে বেবাক স্টুডেন্টরে লাথি মাইরা ফার্স্ট হইছে।
তার এহেন পারফরমেন্স দেইখা আমাগো কলেজের বেবাক পুলা মাইয়া তারে সামনের বারই বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার উপদেশ জারি করা স্টার্ট করছে। তার পারফরমেন্সে কলেজের মাস্টাররা সবাই গর্বে ফুইল্যা ফুইট্যা আওয়াজ দেওনের পথে।
ইদানিং আবার সংস্কৃতি বিভাগের বেশ কিছু মাইয়া তার পিছনে লাফাইতেছে শুনলাম। মাইয়া গুলার উপদ্রবে তার জীবন নাকি পুড়া কাঠকয়লার মত হয়া গেছে। তয় গতকাল সে মলিবাদে বাকি সব মাইয়ারে সাফ জানাইয়া দিল, “তোমরা যদি আমারে ডিস্টার্ব কর তো আমার আব্বাজান তোমাগো আম্মাজানদের ডিস্টার্ব করব”।
অহো তরে তো কইতে ভুইল্যা গেছি, মলি হইল আমাগো পাড়ার জলিল মেম্বারের মেয়ে, হেব্বি সুন্দরি, দেখতে এক্কেবারে আমাগো দেশি পাকা লাল-টসটসে টমেটোর লাহান। মাইয়াডার দিকে তাকাইলে চোখ দুইটা মোটরগাড়ির হেড লাইটের মত হইয়া যায়। আমাদের এলাকার এম.পি টল্টু মানে মাইয়া পাগল টল্টু প্রত্যহ দুইবার কইরা সুরুত আলীরে দশ নম্বর সিগন্যাল দিয়া যায়, “তোরে যদি আরেকবার মলির লগে ডেটিং মারতে দেখি তয় হালকার উপর ঝাপসা মাইরা হাড্ডিগুড্ডি ভাইঙ্গা মলিগো বাসার সামনের তেতুল গাছের আগায় ঝুলায়া রাখুম!”।
কিছুদিন আগে হইছে কি জানসরে দোস্ত, আমাগো ঐ এম.পি টল্টু বাসে এক প্যাসেঞ্জারের পকেট মারিং অ্যান্ড কাটিং কইরতে যাইয়া ধরা খাইছে, তারপর যা হওনের হইছে; পাবলিকের ফেয়ারনেস ধোলাই সেই সাথে শ্বশুরআব্বার ফ্রী প্যাঁদানি খাইয়া দুই সপ্তাহ শ্বশুরবাড়িতে(জেলখানায়) কাটাইছে। তয় কদিন আগে দেইখলাম সে এলাকার এক গার্লস স্কুলের সামনে খাঁড়ায় আছে।
তার চুল গুলা দেইখ্যা মনে হয় জেন কারেন্টের শক খাইছে। কি সুন্দর মুখখানা ছিল তার, দেখি এক্কেবারে বাসি বেগুনের মত চুইপসা গেছে। তার ভেড়া মার্কা মুখখানা দেইখ্যা আমার অন্তরে ঈষৎ মায়ার উদয় হইল, বেচারা সাপও না, মাছও না- কুইচ্চা ।
যাক সে কথা, কলেজে আমাগো সিনিয়র, প্রেমের প্রবাদ পুরুষ আব্বাস ভাই কলেজে আসতে যাইতে দুইবার চইদ্দ নম্বর মাইয়াগো ইভটিজিংএর খপ্পরে পড়ে। এ খবর জানবার পর সে যে মাইয়াটার লগে গোপনে লাইন মারছিল সেও নাকি তারে 1/cos খাওয়াইয়া উড়াল দিছে।
এ দুঃখে সে ভালবাসা দিবসে গলায় গলায় দূর্বাঘাসের লতা বাইন্ধা কচুগাছের সাথে ঝুইল্যা পরপারে ট্রান্সফার হইয়া গেছে।
তয় কদিন ধরে আমারে স্বপ্ন রোগে পাইছে। সপ্তাহ খানেক আগে এক রাইতে স্বপ্নে শেয়ালের ধাওয়া খাইয়া দৌড়াইতেছিলাম। নিজেরে টারজান মনে কইরা ঝুলার জন্য গাছের লতা ধইরা টানতাছি। হঠাৎ ঘুম ভাঙার পর দেখি আমি পাশে শুয়ে থাকা ইফতি হুজুরের পাজামার দড়ি ধইরা টানতাছি।
তয় ব্যাডা ঘুমের ঘোরে নাক ডাকতেছিল, টের পাই নাই। তবে কবিরাজের দেওয়া ডোজ খাইয়া আপাতত ভাল আছি।
লোডশেডিংএর কারণে চোখ গুলান অন্ধকার হয়া গেছে। আইজ এট্টুকেই থাক দোস্ত। অনেক কিছুই বলার ছিল, কিছুই বলা হল না।
ইতি-
তোর পরানের কুসুম
গজব আলী
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।