শেখ সাহেবের বেটি ঠিক কি উদ্দেশ্য নিয়ে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুছ সাহেবকে ঘরছাড়া করেছেন এটা নিয়ে ইউনুছ ভক্তদের সঙ্গে আমিও একমত। এরপরেও বলবো কাজটা ভালো হয়েছে। কারন কেউ আইনের উর্ধে না। স্বভাবতই প্রশ্ন তুলবেন, বৃদ্ধ বয়সে শেখে বেটি কেন তার পদ আগলে আছেন। আমি বলবো এটাও অন্যায় যদি রাজনীতিবিদদের জন্য কোন আইন থাকে।
কেউ এ ধরনের কোন আইন বোধয় এখনো বাংলাদেশে নেই। আর রাজনীতি আর অর্থনীতি এক জিনিস না।
যা হোক ইউনুছ সাহেবকে নিয়ে সমালোচনা করার মতো বুদ্ধির পরিসর এখনো আমার হয়নি। তাই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। সমালোচনার জন্য না, নিছক মনভাব জানানোর উদ্দেশ্যে আমার এই লেখা।
ইউনুছ সাহেব নিশ্চয় ছোট কোন জিনিস না। ওনার সম্মানের পরিধি অনেক বড়। বাংলাদেশ না দিলেও তার সম্মানের ঘাটতি হবে না। যদিও ওনি আমার কাছে খুব বেশি সম্মানিত না। এর কারন গ্রামীন ব্যাংকের রক্ত চোষা সুদ কাহিনী।
এবার আসি মূল আলোচনায়, তা হলো ইউনুছ সাহেব কি নোবেল পাওয়ার পরেও অস্থিত্ব সংকটের আশংকা করছেন। নাকি গ্রামীন ব্যাংকের স্বত্ত্বাধিকারী হিসেবে আরো একবার নোবেল পাওয়ার ইচ্ছা আছে।
আমার সরল উক্তি, নোবেল পাওয়ার পর ইউনুছ সাহেবেরই উচিত ছিলো স্বেচ্ছায় অবসর নেয়া। কিন্তু তিনি তা করেননি। আমি কি ধরে নেবো এখনো তিনি লোভ সংবরন করতে পারেননি অথবা তিনি গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনার মতো দ্বিতীয় কোন নেতৃত্ব তৈরি করেননি।
যেমনটি করেন না আমাদের রাজনীতিবিদরা। তাহলে ঠিক কি কারনে তিনি নোবেল পেলেন -এটাই এখন ভাবনার বিষয়। যদি বলেন, ক্ষুদ্র ঋনের মাধ্যমে তিনি গ্রামাঞ্চলে বিপ্লব ঘটিয়েছেন। কিন্তু তাও না। তার সুদের হার নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে।
তাহলে কি বিশেষ কোন উদ্দেশ্য নিয়েই ইউনুছ সাহেবকে নোবেল দেয়া হয়েছিলো ? যে উদ্দেশ্যের রুপ তিনি ওনার ইলেভেনে একবার দেখাতে চেয়েছিলেন।
গ্রামীন ব্যাংক থেকে অপসারনের পর ড. ইউনুছের সেই তৎপরতা আবারো গোটা বিশ্ববাসী দেখেছেন। ইউনুছ সাহেবের প্রভুদের তৎপরতা এখন আর গোপন কোন বিষয় নেই।
একটা স্বাধীন দেশের সরকার সে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে মোড়ল রাষ্ট্রগুলোর এ ধরনের হামকি ধামকি কিংবা হস্তক্ষেপ যাই বলুন কখনো কাম্য হতে পারে না।
আপনার হয়তো বলবেন, আমাদের রাজনীতিবিদরাও একই কাজ করছেন। তবে তাদের সাথে ইউনুছ সাহেবের পার্থক্যটা থাকলো কি।
ইউনুছ সাহেব যদি সত্যিকার অর্থে শান্তি প্রিয় লোক হবেন, তবে কেন যৌক্তিক বিষয়টি নিয়ে বিদেশী বান্ধবিদের কাছে নালিশ করতে গেলেন। এটা দেশের মধ্যেই সমধান সম্ভব ছিলো।
আবারো বলবো, ইউনুছ সাহেবের নামতো চীরদিনের জন্য নোবেল কমিটির খাতায় উঠে গেছে, সেটাতো কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।
তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ইউনুছ সাহেব আপনি সম্মানিত ব্যাক্তি। আপনার উচিত হবে সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া। এখনো সময় ফুরিয়ে যায়নি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।