গাজীপুরের কালিয়াকৈরের নিশ্চিন্তপুরে বোনাস কম দেওয়ার অভিযোগে শ্রমিকরা গার্মেন্টে ভাঙচুর ও এক পর্যায়ে আগুন লাগিয়েছে। পুলিশ আগুন লাগানোর অভিযোগে তিন শ্রমিককে আটক করেছে। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জ ও ধাওয়ায় অন্তত ২০ শ্রমিক আহত হন। সংশ্লিষ্ট গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে বোনাস কম দেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে এ সম্পর্কে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা পরস্পরবিরোধী।
বলা হচ্ছে, আগের দিন রাতের পালার শ্রমিকদের ঈদের বোনাস ২০০ টাকা করে কম দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দিনের পালায় এ নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেয়। শ্রমিকদের বরাত দিয়ে পত্রিকান্তরে বলা হয়েছে, প্রতি ঈদে তাদের মূল বেতনের ৬০ শতাংশ ঈদ বোনাস হিসেবে দেওয়া হতো। এবার ২০ শতাংশ বোনাসের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। যে কারণে শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন ও কর্মবিরতি শুরু করেন।
এ সময় কিছু উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক নিচতলায় আগুন দিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট করে। যে কারণেই শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটুক না কেন সাড়ে তিন হাজার শ্রমিকের জীবন-জীবিকার উৎস ওই গার্মেন্টে অগি্নসংযোগের ঘটনা গর্হিত ও নিন্দনীয়। মালিকপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের বিভিন্ন বিষয়ে দরকষাকষি চলতে পারে। কিন্তু শ্রমিকরা কর্মকর্তাদের একাংশকে আটকিয়ে ও অন্য অংশকে কারখানা থেকে বের করে দিয়ে প্রধান ফটকে তালা মারা ও ভাঙচুর এবং অগি্নসংযোগের যে পথ বেছে নেয় তা গ্রহণযোগ্য নয়। দমকল বাহিনীর চারটি ইউনিট আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও অগ্নিকাণ্ডে গার্মেন্ট কারখানার বিপুল পরিমাণ মূল্যবান মালামালের ক্ষতি হয়েছে।
আমরা মনে করি, কালিয়াকৈরে শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা কেন ঘটল তা সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখা হবে। গার্মেন্টে ভাঙচুর ও অগি্নকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধেও আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা নীতিগতভাবে শ্রমিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এ কলামে একাধিকবার গার্মেন্ট শ্রমিকদের কাজের ন্যায্যমূল্য এবং কর্মস্থলের নিরাপত্তা সম্পর্কে লেখা হয়েছে। একইভাবে দেশের ৪০ লাখ শ্রমিকের জীবন-জীবিকার অনুষঙ্গ গার্মেন্ট শিল্পের সুরক্ষার বিষয়েও আমরা যত্নবান।
আমরা মনে করি, গার্মেন্ট ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে কোনো সাধারণ শ্রমিকের সম্পর্ক থাকতে পারে না। এটি অন্তর্ঘাত কিনা সে বিষয়টিও যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটিত হওয়া দরকার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।