তিউনিসিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট জিনে আল আবিদিন বিন আলীর স্ত্রী লাইলা দেশবাসীর কাছে পরিচিতি পেয়েছেন লোভী নারী হিসেবে। তাকে তুলনা করা হচ্ছে ইমেলদা মার্কোসের সঙ্গে। বলা হচ্ছে, তিনি হলেন আরবের ইমেলদা মার্কোস। তার কারণেই ডুবেছেন আবিদিন। তার ছিল পর্বত সমান লোভ।
তিনি সাবেক এক হেয়ারড্রেসার। গণবিস্ফোরণের সময় তার স্বামী যখন দেশ ছেড়ে পালান তখন লাইলার প্রথম পছন্দ ছিল দুবাই। সেখানে তারা রাজনৈতিক আশ্রয় নিলে তিনি ভাল কেনাকাটা করতে পারতেন। কিন্তু তার স্বামী বেছে নিয়েছেন সৌদি আরবকে। প্রেসিডেন্ট আবিদিনের বয়স ৭৪ বছর।
তার স্ত্রী তার চেয়ে ২০ বছরেরও ছোট। তার নেশাই ছিল অর্থ, বিলাসবহুল গাড়ি, প্রাচুর্যময় বাড়ি। দেশবাসী যখন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য হিমশিম খাচ্ছিলেন তখন তাদের বিলাসী জীবনযাপনের কারণে ফার্স্ট ফ্যামিলিকে অনেকে ‘দ্য মাফিয়া’ বলেও অভিহিত করেন। এসব কথা গতকাল বলা হয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইলে। জন ক্ষোভ তাই ঝরে পড়েছে তাদের বিলাসী গাড়িতে, বাড়িতে।
আর এই ফাঁকে তাদের দুই কন্যা পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন প্যারিসের ডিজনিল্যান্ড হোটেলে। সেখানে তারা ব্যবহার করছেন ভিআইপি স্যুট। যার প্রতি রাতের ভাড়া ৩০০ পাউন্ড। তারা হলেন নাসরিন বিন আলী (২৪) ও তার বোন সাইরিন। তবে তারাও সুখে থাকতে পারছেন না।
কারণ রোববারই ফরাসি সরকার ঘোষণা দিয়েছে সাবেক ওই প্রেসিডেন্টের পরিবারের সদস্যদের বহিষ্কার করা হবে। ধারণা করা হয়, এই পরিবার ফ্রান্সের ব্যাংকে ৩৫০ কোটি পাউন্ড জমা করেছেন।
মানবজমিন
মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০১১
http://www.mzamin.com
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।