যা চেয়েছি আমি তা পাই না...যা পেয়েছি কেন তা চাই না..।
সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে বের হয়ে একটা জিনিস চোখে পড়লো। তেমন কিছু না। আমাদের সরকারী দল আওয়ামীলীগের একটি পোস্টার।
পোস্টারটা দেখে একটু খটকা লাগলো।
কারণ, পোস্টারে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দেয়া। কিন্তু যাদের স্বরণ করার জন্যে এই অমর একুশে, তাদের কোনো ছবি নাই।
বঙ্গবন্ধুর ছবি দেয়া নিয়ে আমি অভিযোগ করছি না। কিন্তু আমার প্রশ্ন ২ টা।
১. পোস্টারটা কোনো শুভেচ্ছাবানীর পোস্টার নয় যে, সেখানে শেখ হাসিনার ছবি থাকবে।
এটা অমর ২১শে ফেব্রুয়ারীর পোস্টার। এখানে শেখ হাসিনার ছবি দেয়ার যৌক্তিকতা কি?
২. সবচেয়ে বড় যে কথা, তা হল--
যারা আমাদের এই ভাষার জন্যে নিজের প্রাণ অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন, সেই রফিক, শফিক, বরকত, জব্বার, শফিউর এদেরকে কি সেই পোস্টারে একটিবারের জন্যেও স্বরণ করা উচিত ছিলো না?
বাঙালি জাতি বিশ্বে একমাত্র জাতি যারা নিজের ভাষার জন্যে জীবন দিয়েছে। আমরা সেই গর্বিত জাতির অংশ। যারা আমাদের এতো বড় একটা সম্মান দিয়েছেন, আজকের এই দিনে তাদের কি স্বরণ করা দরকার ছিলোনা এই সরকারী দলের পোস্টারে।
সেই সব ভাষাশহীদদের বিদেহী আত্মা আমাদের কাছ থেকে কি এইটুকু সম্মান পেতে পারেন না?
এতোদিন দুই দল পাল্লা দিচ্ছিলো জাতির পিতা আর স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে।
এ বলে...এইটা আমার, আর ও বলে...ওইটা আমার।
এখন আমাদের রাজনৈতিক মহারথীবৃন্দ যে হারে সবকিছু নিজেদের করে নিচ্ছেন, তাতে কবে না শুনি যে, এই দুই দল বলা শুরু করেছে যে, সেই ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারীর মিছিল আমাদের এইসব রাজনৈতিক দলের নিয়মিত প্রোগ্রাম ছিলো এবং সেই মিছিলে গুলি চালিয়ে পাকিস্তানী জান্তা করে তাদের দলের নির্ভীক কর্মীদের (!) নির্বিচারে হত্যা করেছে। রফিক, শফিক, বরকত, জব্বার এরা আওয়ামী অথবা বিএনপির নেতাকর্মী।
এইসব রাজনৈতিক মহারথিদের কাছে আবেদন, আমরা বাঙালী ও বাংলাদেশী জাতি হিসেবে নিজেদের গর্বিত মনে করি। আমাদের এই গর্বটুকুকে দয়া করে দলীয়করণ করবেন না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।