গান শুনি তন্ময় হয়ে .. ... ..গাই গুন গুন করে যদি কেউ শুনে ফেলে .. ..
সকাল:
সূর্যকে পেছনে ফেলে ভোরে'র আরামকে ভুলে যেতে হয়।
নয়তো এলোমেলো হয়ে যায় সব।
- ননদের প্রভাতী ক্লাস;
- শশুড়ের ঘড়ি-ধরা প্রাতরাস;
- শাশুড়ীর তেলাওয়াতের মাঝে গরম চা;
- আর জসিমের সকালের অফিসের তাড়া -
একেবারে তুগলোকী কান্ড।
রোজগারের অহমিকায় সে যেন এক আলেকজেন্ডার!!!
দিনের রুটিন কাজ স্বস্তিতে করার তাগিদেই,
দুপুরের রান্নার কাজ সকালেই করতে হয়।
শাশুড়ীর ডাকে জাহানারা
"হ্যাঁ মা, আসছি।
" বলে -
রান্নাঘর থেকে বেরুতেই - টুকু'র কান্নার আওয়াজ পেয়ে
ডুকল নিজের ঘরে।
আহা বেচারা নিজের জলেই একেবারে নেয়ে উঠেছে!
টুকুকে সাফ সুতরোর মাঝখানেই
মুঠোফোনটা বেজে উঠল -
প্রস্রাবের কাঁথা পাল্টানোর মাঝেই
স্কিনে চোখ বুলালো -
জসিমের তিনটি মিস কলড।
ইতোমধ্যে শাশুড়ীর দু'বার
"বৌ-মা" ডাক হয়ে গেছে সারা।
দুপুর ও বিকেল:
খাবারের টেবিল - যাত্রা মঞ্চ এক।
- কারো ঝোল ভাল লাগে কারো বা ভুনা,
- ঘন ডাল কারো চাই, কেউ সজনের ডানা।
- করলা তিতা ছাড়া কারো লোকমা নামে না নিচে।
- হলুদ-নুন-লংকার সমন্বয় হয়নি তাই -
রান্নাটাই হয়ে যায় কখনো মিছে।
একটা ভাত-ঘুম খুব দরকারী।
ঠান্ডার অজুহাতে কফের সিরাপ খাইয়ে
তাই টুকু'টার সাথে হয় জোচ্চুরী।
চোখ বুজতেই ননদের আদুরে ভাবী ঢাকে
আবার সচকিত;
রাতের ঘুমের বীমার জন্যই
তার দুপুর-ঘুমকে বিনিয়োগ করা।
কিন্তু একেলা মুভি দেখলেই যে তার ঘুম পেয়ে যায়;
ভাবিকে সাথে নিয়ে দেখবে সিনেমা।
রাত:
খাবারের টেবিল - কাঠগড়ায় জাহানারা।
শ্বশুরের কোন অভিযোগ নেই;
তিনি কেবল তার কলিগের বৌমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
শ্বাশুড়ীরও খুব আদরের বৌমা;
খুব চিন্তিত তিনি জাহানারা'র শ্রবনিন্দ্রিয় নিয়ে।
ননদের আক্ষেপ -
ইদানিং সে ভাবীর সান্নিধ্য বঞ্চিত বলে।
জসিম সবই শুনল
ভদ্র স্বামী সবই হজম করিল বৌ-এর ভালবাসায়।
কেবল বিছানায় শোয়ার আগে -
"কি এমন ছাতা-নাতা কাজ করো যে
তিনবার কল করেও পাই না" - বলে,
আলেকজান্ডার পাশ ফিরে শোয়।
লুকিয়ে দীর্ঘশ্বাস -
বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী জাহানারা
জীবনের প্রাপ্তি মেলায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।