মাহফুজ জুয়েল
তখন সে পুরোপুরি জীবনের নেশায় মাতাল
টলছিল, তবুও চলছিল শুধু জীবনের সন্ধানে
তাঁর হাত দেখে জ্যোতিষীও হা হতো
আচমকা নিজের হাতের দিকে তাকাতো;
নিহতকালীন মুহূর্ত থেকে ফিরে আসা
আহতদৃষ্টিতে দেখতো মুখ, চোখ ও পোশাক
যেনো হাতের রেখা সব ছড়িয়ে পড়েছে
জড়িয়ে ধরেছে তাঁর পুরো শরীর!
তাঁর কান, বিকলযন্ত্রের মতো- প্রয়োজন আর
প্রয়োজনীয় শব্দগুলোর সময় হারায় খেই।
চোখ তাঁর- নাকের মতো গন্ধ খুঁজে বেড়ায়
বাগান ও ভাগাড়ে; জীবন শুষে নেয় ঠোঁটের মতো।
পৃথিবীবর্ষী মন তাঁর নিমেষেই উড়ে যায় বহুদূর-
পাললিক বোধপাহাড় খুঁড়ে খুঁজে পায় অমূল্য প্রত্ন রত্ন;
লালপেড়ে কামনার ফিনফিনে অনুভূতির মসলিনে ঢাকা
ঘুমিয়ে থাকা রাজকন্যাসহ লক্ষবর্ষী ঘুমন্ত প্রাচীন প্রাসাদ!
এদিকে রাজার পাশাপাশি রাজ্যের রাজকন্যাদের সঙ্গে
তাঁর চিরকালীন খুনসুঁটি, আর খণ্ডকালীন পীরিতি।
ওদিকে খেয়াঘাটে অচিন নারীরা এসে
থেকে থেকে হেসে হেসে ঠেলে ওঠে তাঁর নায়ে
গায়ে তাদের লক্ষ ঘায়ের ক্ষতের শাড়ি
পায়ে ও প্রাণে পারাপারের আকূল আহাজারি!
রাজকন্যাদের লক্ষবর্ষী ঘুম ভাঙানোর
সোনার কাঠি রূপার কাঠি আর জাদুমন্ত্রের
সন্ধানে সাধনায় নৌকা তাঁর দোলে কেবল দোলে!
এরইমধ্যে অচিন নারীরা মাছের মতো লাফিয়ে পড়ে
এখানে ওখানেঃ যেখানে পাওয়া যায় খাওয়া যায়
যাওয়া যায় শোওয়া যায় নাওয়া যায় হাওয়া যায় সহজে!
জীবনমাতাল লোকটি তবুও সবাইকে কথা দেয়-
কথা বলে- ভালোবাসে- নাম ধরে ডাকতে চায়-
থাকতে চায় মনে- ; রাখতে চায়- হাতের কাছে;
মুখের কাছে; বুকের কাছে; ঠোঁটের কাছে।
টলছে সে, তবুও চলছে সে জীবনে জীবনের সন্ধানে।
১ জুন, ২০০৯, কাজীপাড়া, ঢাকা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।