রাজধানীর রাস্তায় ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অঙ্গহানি ঘটিয়ে এক শিশুকে ভিক্ষা করতে বাধ্য করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা নুরুল আলমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় এবং প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ওই মামলার তদন্তভার ন্যূনতম পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে করার জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ এবং এর অগ্রগতির বিষয়ে ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আইজিপি ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে জানাতে বলা হয়েছে।
আজ রোববার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ ছাড়া আদালত ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে গঠিত কমিটি এবং এর কার্যক্রম ১৮ জানুয়ারির মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিবকে জানাতে বলেছে।
আজ আদালতের নির্দেশে কামরাঙ্গীচর ও কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপপরিদর্শক (এসআই) আদালতে হাজিরা দেন।
কদমতলী থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে আদালতে হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে বলে জানানো হয়।
কাল সোমবার এই দুই কর্মকর্তাসহ মামলার বাদী আলামিনকে হাজির হতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত দুই জানুয়ারি হাইকোর্টের একই বেঞ্চ ঢাকা মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশ অনুসারে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে সরকারের প্রতি রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে শিশুদের অঙ্গহানি ঘটিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে বাধ্য করা বন্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
‘শিশুদের পঙ্গু করে নামানো হচ্ছে ভিক্ষায়’ শিরোনামে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে তিনটি দৈনিকের প্রতিবেদন ২ জানুয়ারি আদালতের নজরে আনেন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী এলিনা খান। ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই রুল জারি করেন।
প্রতিবেদনে নিয়ামুল নামে সাত বছরের শিশু উদ্ধার ও কোরবান নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তারের বর্ণনা রয়েছে। নিয়ামুলের দেহের ক্ষতচিহ্ন তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, তার অঙ্গহানি ঘটিয়ে তাকে ভিক্ষাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়।
পাঠকের মন্তব্য
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।