আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভিক্ষাবৃত্তি নিয়ন্ত্রনে সরকারের করণীয়

কাঙাল জানিয়া বাবা দিও দরিশন, অধম জানিয়া বাবা দিও দরিশন.....

সামনে শবেবরাত এবং মাহে রমজান। একে ঘিরে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দুর্বলতার সূযোগ নিয়ে। ভিক্ষা নামক মানবতা বিরুধী কর্মকান্ড আমাদের সমাজকে কলুষিত করছে। কতধরনের সাহায্যের আবেদন প্রতিনিয়ত দুকান ঘেষে যায়। কখনো আমাদের হৃদয় ছুয়ে যায় ।

আমরা সাহায্য করি। কিন্তু সরকারের সামাজিক দায়বদ্ধতা বৃদ্ধিতে তার বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান গুলোর কার্যক্রম সন্দেহের মধ্যে পড়ে যায়। আমার কাছে কোন গরিব দুঃখি সাহায্যের জন্যে আসলে আমি তাদের ন্যাশনাল আইডি দিতে বলি। সে পর্যায়ে কোন ভিক্ষুক তার ন্যাশনাল আইডি আমাকে দেয় না। আমি যখন প্রশ্ন করি তার নিজস্ব গ্রাম যদি তাকে সাহায্য করতে না পারে তাহলে তার ইউনিয়ন , যদি ইউনিয়ন তাকে সাহায্য করতে না পারে তাহলে তার উপজেলা।

যদি তাকে সাহায্য করতে উপজেলা না পারে তাহলে তার জেলা। জেলা যদি না পারে তখন হয়তো সেই ভিক্ষক সারা দেশের রাস্তা ঘাটে ঘুরবে ফিরবে। আমার প্রশ্ন সেই লোকটি এত সরকারী প্রতিষ্ঠান থাকতে সহজ বিনিয়োগ ভিক্ষা বৃত্তি নিয়ন্ত্রনে কোন প্রকল্প সরকারের নেই কি? সিলেট অঞ্চলে এই ভিক্ষা বৃত্তি খুব মারাত্বক আকার ধারন করেছে। আমি না জেনে একটা লোককে সাহায্য করছি। সে সন্ত্রাসী হতে পারে।

অথবা তার গ্রামে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ায় সে গ্রাম ছাড়া হতে পারে। অথবা বিদেশী নাশকতা বাহিনীর সাথে জড়িত থাকতে পারে । বিদেশী গোয়েন্দা হতে পারে। তাই না জেনে কোন লোককে সাহায্য করা একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে ঠিক কাজ হবে না। তাই প্রতিটি ভিক্ষুক তার ন্যাশনাল আইডি সাথে নিয়ে ভিক্ষা করতে গেলে ।

তার থানা গ্রাম সম্পর্কে একটা ধারনা তৈরী হতো। এবং সেই চেয়ারম্যান মেম্বারদের চিঠি দিয়ে অবগত করা যেত। এ সম্পর্কে আপনাদের অভিজ্ঞতা জানার আগ্রহ থাকলো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.