ঃঃঃঃ চল বহুদূরে...নির্জনে আড়ালে লুকোই...ঃঃঃ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল'এর বিগত ২টি বিচারের রায়ের মত আজো সকাল ৯-৩০ থেকে টিভি পর্দায় চোখ রেখেছি। ৫ ফেব্রুয়ারীর রায় শুনে যেমন বিস্মিত হয়েছিলাম, তেমনি নির্বাক হয়ে পড়ে ছিলাম বিছানায় সিলিঙ্গে অপলক দৃষ্টিতে হেনে। পর দিন মৌন প্রতিবাদ জানাতে শাহবাগেও গিয়ে ছিলাম। আজো রায় হল আর এক রাজাকারের। আজ মনে কোন সন্দেহ ছিলো না সর্বোচ্চ রায়ের বিষয়ে।
মন বলছিল বার বার, সাইদির ফাঁসী হবেই হবে। তবুও দ্বিধা ছিল মনের কোণে। সর্বোপরি, বেলা দেড়টা নাগাদ এল কাঙ্ক্ষিত সেই রায়। আমি ভুলে যাই আমার পারিপার্শ্বিকতা। শিশু সুলভ হাত তালি দিয়ে শূন্যে মুস্টিবদ্ধ হাত তুলে দেই সাব্বাস বলে।
প্রতিক্রিয়ায় মামলা সংক্রান্ত সংশ্লিষ্টজনের বক্তব্য-মন্তব্য শুনতে থাকি। মনের পর্দায় ভেসে ওঠে ৭১' এ অদেখা সেই দিন গুলোর নির্মমতার কথা, যা শুনেছি সেই প্রজন্মের মানুষের মুখে, পড়েছি পত্রিকায়, বিভিন্ন জার্নালে। শাহরিয়ার কবির স্যারের ক্রাই ফর জাস্টিস'এর ভিডিওর র'ফুটেজ থেকে সাক্ষাৎকার গুলো লিখার সুযোগ হয়েছিলো আমার। সেখানে এই সব রাজাকার আল বদরদের বর্বরতার ভয়ংকর সেই সব দিন গুলোর কথা প্র্ত্যক্ষদর্শী আর ভুক্তভোগীদের মুখে শুনেছি। মুলত সেখান থেকেই যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি চরম ঘৃণা জন্মে মনের গভীরে।
তাই ২০০৮'এ আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ঘাতক দালাল বিচার মেন্ডেট নিয়ে এলে, তাদের পক্ষে সেই প্রথম বার ভোট দিতে দু'বার ভাবিনি।
আজ তাই দেলু রাজাকারের ফাঁসী রায়ে যেমন উচ্ছ্বাস দেখিয়েছি, সময় পরিক্রমায় মনের অজান্তেই মনের গভির থেকে বেড়িয়ে আসছে ক্ষণেক্ষণে দীর্ঘশ্বাস। সেই প্রজন্মের জন্যে, যারা মৃত্যু বরণ করেছেন তাদের হাতে, লাঞ্ছিত-নির্যাতিত হয়েছেন যে মা-বোনেরা, তাদের কথা ভেবে ভেবে।
৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগে গিয়ে ছিলাম মনের ক্ষোভ নিয়ে, আজ যাবো মুঠো মুঠো দীর্ঘশ্বাস বুকের মাঝে বয়ে নিয়ে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।