আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সরকাররে অব্যবস্থাপনার কারনে র্অথনীততিে গতি আসনেি



সিপিডি’র অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পর্যালোচনা-২০১০-১১ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারনে অর্থনীতিতে গতি আসেনি অর্থনৈতিক রিপোর্টার সরকারের অব্যবস্থাপনার কারনে দেশের অর্থনীতিতে গতি আসেনি বলে দাবি করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। বলেছে, সরকার পরিকল্পনা অনুযায়ি ব্যয় করতে পারছে না বলেই ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। বৈদেশিক বিনিয়োগের েেত্রও কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়নি। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আকার বাড়লেও বাস্তবায়নের দতা বাড়েনি। গত বছরের তুলনায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ধারা স্লথ হয়ে গেছে।

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ঠিকমতো বাস্তবায়িত না হওয়ায় অর্থনীতির ওপর চাপ বেড়েছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের েেত্র সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পাওয়া খাতে সবচেয়ে কম অগ্রগতি ল্য করা যাচ্ছে। বৈদেশিক লেনদেনের েেত্রও টানটান অবস্থা। এমন অবস্থায় শিল্প খাতের উন্নতি ত্বরান্বিত করতে না পারলে দেশের চলতি অর্থবছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ল্যমাত্রা ৬ দশমিক ৭ অর্জন করা সম্ভব হবে না। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে সিপিডির নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত ২০১০-২০১১ অর্থবছরের বিগত ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পর্যালোচনায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বাজেট পর্যালোচনা প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, সঞ্চয়পত্রে সুদহার কমানোর কারণে আমানতের পরিমাণ কমে গেছে। ফলে সরকার আবার ব্যাংকের কাছে ফিরে গেছে। গত বছরের তুলনায় বৈদেশিক সাহায্যের পরিমাণ কমে গেছে। গত বছর আইলাসহ অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেক বৈদেশিক সাহায্য এসেছিল যা এ বছর আসেনি। ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে তারল্য পুঁজিবাজারে চলে গেছে।

তবে ব্যাংকের তারল্যের পাশাপাশি স্বস্তিমূলক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে। ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত রপ্তানির উন্নতি হয়েছে। এেেত্র গার্মেন্ট শিল্পের পাশাপাশি বিভিন্ন পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্যপণ্য এবং বিভিন্ন চামড়াজাত পণ্যেরও রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র মূল্যবৃদ্ধির কারণে রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে এমনটা নয় বরং উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে এটি হয়েছে। রপ্তানিমুখী শিল্প ও অভ্যন্তরীণ বাজারমুখী শিল্প প্রায় সমান সমান।

রপ্তানি উন্নয়নের েেত্রও নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এেেত্র ভারত তাদের সেনসিটিভ পণ্য তালিকা সংপ্তি করতে চেয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপানের বাজারে রুলস অব অরিজিন শিথিল হচ্ছে। প্রতিবেদনে জ্বালানি অসুবিধাকে একটি স্থায়ী ও সচরাচর অসুবিধা উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে গার্মেন্ট শিল্প শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি কার্যকর নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে তা সমাধান না করতে পারলে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

সিপিডির সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও সিনিয়র ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, দেশের চলতি অর্থবছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ল্যমাত্রা ৬ দশমিক ৭ অর্জন করতে কৃষি ও সেবা খাতের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ শিল্পের উৎপাদন বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য মুদ্রানীতি সংকোচন করা খুব উল্লেখযোগ্য পদপে নয়। মুদ্রানীতির েেত্র ঋণ প্রবাহ অব্যাহত রাখতে হবে এবং মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সুদের হারেও কিছুটা বৃদ্ধি আনতে হবে। কারণ মূল্যস্ফীতি যদি ৭ শতাংশ হয় আর ব্যাংকগুলো যদি ৭ শতাংশ হারে সুদ দেয় তাহলে ব্যাংকের গ্রাহকরা ব্যাংকে টাকা রাখার মাধ্যমে লাভের পরিবর্তে তির সম্মুখীন হবে। তিনি বলেন, মুদ্রানীতির সঙ্গে আর্থিক খাত সম্পূরক হবে না বরং আর্থিক খাতের সঙ্গে মুদ্রানীতি সম্পূরক হবে।

সিপিডির সাবেক নির্বাহী পরিচালক বলেন, দেশের যে কোনো উন্নয়নের জন্য সরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি করা উচিত। আয়কর বৃদ্ধির পরিমাণ সবচেয়ে ভালো, কর বহির্ভূত খাতের কার্যকারিতা বাড়াতে আরো মনোযোগ দিতে হবে। তিনি বলেন, সরকার পরিকল্পনা মতো ব্যয় করতে পারছে না বলেই ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, ভারতসহ অন্যান্য সকল বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের শর্তাবলী জনসম্মুখে প্রকাশ করা উচিত। এছাড়াও বৈদেশিক সাহায্য বা ঋণ নেয়ার আগে অভ্যন্তরীণভাবে সেটা মেটানো যায় কিনা তা যাচাই করা দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, দেশের ুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশের েেত্রও বিগত দিনগুলোতে অগ্রগতি কম। পিপিপির আওতায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের কথা বললেও ২৩ টি প্রকল্পের মাত্র ২ টি বাস্তবায়নের পথে। গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ি ফাই্ওভার বাস্তবায়নাধীন এবং ঢাকার চারপাশের এলিভেটেড এক্সপ্রেস্ওয়ে পরিকল্পনাধীন রয়েছে। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় তিনি প্রতিবেদন সম্পর্কে বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ যাতে অর্থনীতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখতে পারে এবং সেই সঙ্গে প্রত্যেকের নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার সুযোগ পায় সেজন্য চলমান অর্থনীতির অন্তর্বর্তীকালীন বিশ্লেষণ করা হয়।

বাংলাদেশের অর্থনীতির চলমান মূল্যায়নের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে ১৬তম বছর গতকাল এ মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। সর্বশেষ সরকারি তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ েেত্র সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞদের মতামত নেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন বিশ্লেষণে সংখ্যাতাত্ত্বিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। বিনিয়োগ পরিস্থিতি, মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি, পুঁজিবাজারের অবস্থা এবং রেমিটেন্স ও মানবসম্পদ রপ্তানির বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

####

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.