আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইটের গুঁড়ো মিশিয়ে হারবাল ঔষধ !

আমি আশা করবো..”তুমি আমাকে বুঝবে

ঢাকার সাভারে একটি কারখানায় ইটের গুঁড়ো মিশিয়ে 'জটিল রোগের' ঔষধ তৈরি হচ্ছে। বুধবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বিষয়টি ধরা পড়েছে। ভেজালবিরোধী অভিযানে সাভারের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আটক করা হয়েছে ছয়জনকে। এছাড়া দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পাশার নেতৃত্বে অভিযানে অংশ নেন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরিদর্শক সাইদুর রহমান, র‌্যাব-৪ সাভার ক্যাম্প কমান্ডার মেজর তারেক আজিজ আহম্মেদ, ক্যাপ্টেন মেহেদী ইমাম প্রমুখ। ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পাশা সাংবাদিকদের বলেন, সাভারে নকল জুস তৈরীর কারখানায় অভিযান চালাতে গিয়ে ভৈজাল হারবাল ঔষুধ কারখানাটির সন্ধান পান তারা। এ কারখানায় ইটের গুঁড়ো মিশিয়ে তৈরি করা হয় বিভিন্ন ঔষধ। তিনি জানান, দুটি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। ভেজালবিরোধী এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে ম্যাজিস্ট্রেট জানান।

দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত সাভারের জয়নাবাড়ী এলাকার মেঘনা বেকারি, হেমায়েতপুরের ঋষিপাড়ায় জুস ও হারবাল ঔষধ কারখানা জেনিয়া ইউনানি ল্যাবরেটরি, রাজফুলবাড়িয়া এলাকায় খাবার সামগ্রী তৈরির কারখানা ফাস্ট্রাক এগ্রো প্রোডাক্টস অ্যান্ড ফিড ইন্ডাষ্ট্রি লিমিটেড, শোভাপুর এলাকায় কোমল পানীয় ও জেলি তৈরির কারখানা সুফল ফ্রুট অ্যান্ড বেভারেজ-এ অভিযান পরিচালনা করে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার সামগ্রী তৈরির অভিযোগে মেঘনা বেকারিকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করে আদালত। আটক করা হয়- কারখানার ব্যবস্থাপক রুহুল আমিন ও কর্মচারী রবিউল শেখকে। পরে আদালত জুস ও হারবাল ঔষধ তৈরির কারখানা জেনিয়া ইউনানি ল্যাবরেটরিতে অভিযান পরিচালনা করে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল জুস ও পানীয় তৈরি এবং ইটের গুঁড়ো দিয়ে বিভিন্ন সিরাপ, যৌন উত্তেজক বড়ি, ক্যাপসুল তৈরির অভিযোগে কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

কারখানার যন্ত্রপাতি জব্দ করার পাশাপাশি জরিমানা করা হয় দেড় লাখ টাকা। আটক করা হয় ব্যবস্থাপক জিন্নাহ মিয়া ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ বলে পরিচয় দেওয়া ডা. খন্দকার মামুনুর রশিদকে। কারখানার মালিক আব্দুর রশিদ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়। আটক মামুনুর রশিদ ভেজাল ঔষধ তৈরির বিষয়টি স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, ৮৯ প্রকারের ঔষধ তাদের কারখানায় তৈরি হয়। দীর্ঘদিন ধরে তারা এসব ঔষুধ বাজারজাতও করে আসছেন।

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জুস, জেলিসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী তৈরি এবং বিএসটিআই-এর সনদ জাল করার অভিযোগে সুফল ফ্রুট এন্ড বেভারেজ কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। জরিমানা করা হয় দুই লাখ টাকা। আটক করা হয় কারখানার ব্যবস্থাপক আকমল হোসেন ও শ্রমিক হৃদয়কে। মালিক রেজোয়ান আহমেদ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পাশা জানান, আটককৃতদের সাভার র‌্যাব ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।

রাত ১০টার মধ্যে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করা না হলে আটককৃতদের কারাগারে পাঠানো হবে। সূত্র : বিডি নিউজ২৪.কম।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.