আমরা ইটের ভাটাকে অজ্ঞতাবশত Brick-Field বলে থাকি, যা আসলে হবে brick factory বা brickworks। ইটের ভাটা সাধারণত প্রচুর কাদামাটি (clay or shale) পাওয়া যায় এমন স্থানে (clay bedrock) তৈরী হয়, যার কাছাকাছি কোন কাদামাটির খনি (quarry for clay) রয়েছে।
ইটের ভাটার মূল উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে চুল্লি (kiln or furnace) যেখানে ফ্রেমে রাখা নির্দিষ্ট আকারের কাদামাটি পুড়ানো হয় আর চিমনি (chimney) দিয়ে flue gas or exhaust gas বের হয়ে যায় ; এবং শেড (shed or yard), যেখানে পোড়ানো ইটগুলো শুকানো হয়।
exhaust gas পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তবে Combined Cycle Gas Turbine (CCGT) Power Plant এর মত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এর ক্ষতি পুষিয়ে একে মানবকল্যাণে ব্যবহার করা সম্ভব।
বাংলাদেশের মত অনুন্নত দেশে, যেখানে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার কল্যাণে অসংখ্য ইটের ভাটা রয়েছে কিন্তু বাসা-বাড়িতে সরবরাহ করার জন্য বিদ্যুত শক্তি নেই, ইটের ভাটার ক্ষতিকর গ্যাস থেকে বিদ্যুত উতপাদন হতে পারে একটি জনপ্রিয় ও কার্যকর পদক্ষেপ। সরকারের উচিত খুবই দ্রুত কোন pilot project এর মাধ্যমে এর কার্যকারিতা যাচাই করা।
নিচে এই পদ্ধতির প্রাথমিক ধাপগুলো বর্ণনা করা হলঃ
১। প্রথমে ইটের ভাটা এর কার্বন নির্গমন পথ বন্ধ করে দিতে হবে । এরপর ঠিক মাঝখানে ২ টি নির্গমন পাইপ সংযুক্ত করতে হবে যা কিনা অক্সিজেন ও মিথেন নির্গমন এ সহায়তা করবে।
২। এরপর একটি ফানেল সহ জার সেট করতে হবে যার একটি পাইপ সংযুক্ত থাকবে ইটের ভাটার সবার উপরের পাইপের সংগে যেখান থেকে ইটের ভাটার কার্বন নির্গমন হয়। জার টি তে থাকবে ক্যালসিয়াম কার্বনেট যা চুনাপাথর হিসেবে পরিচিত।
৩। এরপর জার টি তে অর্ধেক পানি দিয়ে পুর্ন করে নিতে হবে অর্থাৎ, চুনাপাথর ও পানি একই জার এ থাকবে ।
এদিকে ইটের ভাটা তে যখন কাজ করা হবে তখন চুনাপাথর এর জার টি কে তাপ দিতে হবে তা বাস্পে পরিনত না হওয়া পর্যন্ত । এবং তা চলতে থাকবে ।
৪। যখন কার্বন -ডাই- অক্সাইড বের হবে নির্গমন পথে তখন তা বের না হতে পেরে জার এর স্টীম বক্স এ গিয়ে বিক্রিয়া করবে বিক্রিয়া টি হবে নিম্ন রুপঃ
হবে co2+2cacO3+2h2O = ch4+4O2+cac2 (Calcium Carbide ক্ষতিকর হলেও বিক্রিয়ার পর সামান্য পরিমানে থাকে)
৫। তবে এখেত্রে আপনার চুনাপাথর ও পানির জার খালি হয়ে গেলে তাতে আবার একই প্রক্রিয়ায় চুনাপাথর ও পানি দিন ।
এখন বিক্রিয়া করার পর মিথেন+ অক্সিজেন ও ক্যালসিয়াম কার্বাইড উতপন্ন হবে
এখন অনায়াসে ইটের ভাটা তে কাজ করুন। এতে আমাদের পরিবেশ দুষিত হবে না তার সাথে আমরা জ্বালানী হিসেবে মিথেন গ্যাস পেতে পারি যা কিনা আমাদের জ্বালানী শক্তি ও বিদ্যুত শক্তি তে কাজে লাগাতে পারবো।
Caution: আপনি যখন অতিরিক্ত পরিমানে চুনাপাথর যোগ করবেন তখন এটি বিস্ফোরন ঘটতে পারে। তাই প্রয়োজন মত চুনাপাথর ব্যাবহার করবেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।