হাতছানি দেয় দূরে কেউ আমারে
ডিজিটাল জীবনঃ মানুষের মাঝে যেন ডিজিটাল প্রভাব ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
আজকাল বিয়ে করতেও টাইম লাগে না, ডিভোর্স দিতেও টাইম লাগে না। প্রেম করতেও সময় ব্যয় করতে হয় না, ব্রেক দিতেও এত সময় লাগছে না।
ভাল লাগতেও সময় লাগে না, ঘৃনা করতেও টাইম লাগছে না।
ছেলেমেয়ে অল্প বয়সে সেয়ানা হয়ে যায়, আবার খুব অল্প সময়ে কচি বাশেঁ ঘুন ধরে খেয়ে যায়
স্বপ্ন দেখতেও তাদের সময় লাগছে না, স্বপ্ন ভাঙ্গাতেও সময় লাগছে না!!!
অনেকটা ডিজিটাল জীবন মীনক্ষুবাকুল কুবলয় (সংস্কৃত শব্দ) মত হয়ে গেছে!
পরকীয়ার প্রভাবঃ আজকাল পরকীয়া টা চোরাবালির মত ক্রমশ আমাদের টানছে।
পরকীয়া টা ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করছে! স্বামীদের বউ প্রতি কেমন একটা অনীহা আসছে তারা পর মেয়েদের প্রতি আসক্তি হচ্ছে! এমন কি এমাঝে লাভম্যারেজের লোকও রয়েছে! আবার মেয়ে রাও তেমনি। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশীর ভাগ পরকীয়া হয় পরাতন প্রেমীকের সঙ্গে।
সত্য ঘটনার ডেমো-১
আমাদের এক বন্ধু বাবু! সে গত ৪ বৎসর আগে প্রেম করে বিয়ে করে এমনকি তাদের ২ বৎসরের সন্তান বুবলী পর্যন্ত রয়েছে। তবও বউ তাকে পরকীর জন্য ছেড়ে গেছে! বন্ধুটা নিজের মুখে আমার কাছে স্বীকার করেছে!
ব্যবসার সুত্রে মেয়েটার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল।
ডেমো -২
রাত্রে চেচামেচিতে ঘুম ভেঙ্গে গেল।
বুঝলাম পাশের বাড়িতে হইচয় হচ্ছে! সকলে ঘুম থেকে উঠে শুনতে পেলাম! পাশের বাড়ির গৃহবধু সঙ্গে তার পরাতন প্রেমিক দৈহিক সম্পর্কের সময় ধরা পরেছে।
এসব পরকীয়া দিন দিন বেড়েই চলেছে! ইন্ডিয়ান সিরিয়ালগুলো এসবের জন্য বেশী দায়! তাদের সিরিয়ালে পরকীয়া থাকতেই হবে। এমনকি তাদের ২/৪ টি বয়ফ্রেন্ড এবং গার্লফ্রেন্ড সিরিয়ালের মধ্যেই থাকে। তাদের বডি সো করার ভঙ্গি দেখলে মনে হয় যে......................! এসব দেখে দেখে বউজিরা এবং অল্প বয়সি রা বেশী নষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া আশেপাশে পরিবেশের প্রভাবেও তারা এপথে পা বাড়াচ্ছে।
পরকীয়াটা একটা ভাইরাস হয়ে গেছে আমাদের মনের মধ্যে, আমরা এটা কন্ট্রল করতে পাচ্ছি না, ক্রমশই সে জড়িয়ে নিচ্ছে আমাকে বা আমাদের কে!.
পর্নোভিডিও প্রভাব ঃ পর্নো ভিডিও আগেও ছিল তবে এভাবে বিস্তার কখনো লাভ করে নি। এখন তো মেয়েরা পর্যন্ত পর্নো ভিডিও কিনে নিয়ে যাচ্ছে! আপনাদের অনেকে একথা কখনো বিশ্বাস করবেন না যে একটা মেয়ে কোন দোকান থেকে পর্নোভিডিও কিনতে পারে! নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না! আমার কাছে সে সময় ভিডিও করা পরিস্থিতি থাকলে আমি অবশ্যই ভিডিওটা আপলোড করে, লিংক দিতাম। মেয়েটার ভাষ্য ছিল এরকম
ডেমো - ১ (মেয়েটা যদিও বরকা পরে এসেছিল)
মেয়ে- ভাইয়া আপনার কাছে ইংরেজী ছবি হবে?
হ্যা হবে, কিছু ইংরেজী ছবি দিলাম
না, এগুলো না, কিছু রোমান্টিক ছবি হবে কি?
আমি দ্যা ব্ল লগান এবং হাই স্কুল মিউজিক্যালের ডিস্ক দিলাম
কিছুদিন পর সে এসে বলল- দ্যা ব্ল লাগ ঠিক আছে কিন্তু হাই স্কুল মিউজিক্যালের ডিস্ক প্লে পরছে না! আমি চেক করলাম- ডিস্ক তো ঠিকই আছে। কিছুক্ষন থেমে থেকে আমায় বলল- ভাই আপনার কাছে ব্ল-ফ্লিমের ডিস্ক হবে! আমি শুনে লজ্জা কিছুক্ষন মুখ তুলে তার দিকে তাকাতে পারলাম না!
না আপা! প্রায় এক সপ্তাহ পর এসে সে আমাকে জানায় যে অন্য দোকান থেকে সে ক্রয় করেছে!
১০০% সত্য ঘটনা
এখকার ছোটরা হাতে ভিডিও মোবাইল সেট পেলেই আগে পর্নোভিডিও তুলতে আসে! যদি আমি কম্পিউটার দোকানদার না দেয় তবে অন্যজন দেবে নিশ্চয়।
ধীরে ধীরে পর্নো ভিডিও আমাদের অল্প বয়সি ভাইবোনদের গ্রাস করছে।
আমরা কিছুই করতে পারছি না, পারবোও না কখনো !!!! কারন সময় আর নদীর স্রোত কখন, কারও জন্য অপেক্ষা করে না।
তবও আমি জেগে থাকি ভোরের আসায়, যদি সোনালী রোদ কোন আসার বাণী নিয়ে আসে!!!!!!!!!!!!!!
কাল থাকছে
মেয়েদের মোবইলে জিনিসপত্র
১০-১৬ বছরের মেয়েদের স্বভাব
১০-১৪ বছরের ছেলেদের নেশায় আসক্ত
স্কুল কলেজ ফাকিঁ দিয়ে কে কি করে- (ডেমো সহ)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।