আসো, মুখোশ পড়ে খেলতে বসি, আমি জানি আমি জিতবো - আমি এই খেলাটায় বড্ড পটু!
ব্ল্যাক কিংবা জন কিংবা তাহসানের গানের মাধ্যমে তাঁকে চেনা। ‘আমি-তুমি’র একঘেয়েমির মাঝে অপূর্ব কিছু ভাবনা কিংবা শব্দের মায়াজাল আমাকে আচ্ছন্ন করেছিল।
আরও একটা বাঁক পেরোলেই নদী
আরও একটা দিন ফুরোনোর পর ...
এখন আমাকে নাও তুমি
এই অবোধ শিশুকে নাও ...
মাটির গভীরে মাটি আর জলের গভীরে জল
কাব্য নয়, রাত জাগা নয়, পাশাপাশি হাঁটা ...
এখন রাস্তায় জমে আছে শুকনো পাতা
দিয়েছে ঢেকে হারানো পায়ের ছাপ ...
তবুও তোমার গান বুঝি নি আমি
বুঝেছি শুধু তোমার কাছে যাওয়ার পথ নেই
অথচ হাঁটছি ম্লান জোছনায়
শোকার্ত উপকূল ছুঁয়ে ...
ছায়ারা সরে যাবে
জানি, সূর্য উঠবে
মৃত সব গাছের নীচে আগুন জ্বলবে ...
রাত ফুরোলেই স্বপ্নটা ভেঙে যাবে
জানালার বাইরে এসে দাঁড়াবে ভোর
ভোরের বাতাস মুছবে কি দুঃখ?
কেউ বলে দেবে একা থাকার মানে? ...
নিয়তির বিরুদ্ধে লড়ে যায় সোনালি মানুষ
এক দিন চলে যাবে সূর্যের খুব কাছে
অনেক-অনেক মৃত্যুর পর শান্তি ফিরবে এক দিন
ক্রমাগত ঘৃণায় পুড়ে মানুষ হবে নিষ্প্রাণ ...
সকাল থেকে কারেণ্ট ছিল না। ল্যাপটপে চার্জ ছিল না। সেলফোনটা বন্ধ রেখেছি সারা দিন।
সন্ধ্যার পর ফেসবুকে বসে এই দুঃসংবাদ। ইমন জুবায়ের নেই!
সেই ব্ল্যাক আর নেই। সেই জন নেই। তাহসান নেই। সময় সবাইকে টুকরো-টুকরো করে দিয়েছে।
আজ ওদের ইতিহাস হয়ে যাওয়া গানগুলোর পেছনের মানুষটি—আমাদের প্রিয় গীতিকবিও নেই। ইমন জুবায়ের আর লিখবেন না, এই মুহূর্তে এর চেয়ে বড় কোনও সত্য নেই।
মানুষ মারা গেলে আমরা খুব বেশি ব্যস্ত হয়ে উঠি তাকে নিয়ে। ইমন জুবায়ের সম্বন্ধে অনেক কথাই বলা যায়। কিন্তু বেঁচে থাকতে প্রচারবিমুখ এই মানুষটাকে আজ টেনে হিঁচড়ে আলোর নীচে দাঁড় করাতে কেন যেন বাধছে।
যাদের মনে প্রশ্ন জাগছে, কে এই লোক, তারা কষ্ট করে ইমন জুবায়েরকে খুঁজে নেবেন। তিনি আছেন। গানে, ব্লগে, ফেসবুকে, অজস্র লেখায়। তিনি আছেন। তিনি থাকবেন ... ... ... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।