মানুষ হয়েও মানুষ হতে হয় পুনরায়। ধিক্কার!!! ধিক্কার!!! ধিক্কার!!! ধিক্কার!!! ধিক্কার!!!
গণআদালতে এক দেশদ্রোহী(গোলাম আযম) কে ফাঁসির রায় দেয়ার অভিযোগে যদি আমাদের মা- শহীদ জননী কে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দেয়া যেতে পারে, তবে কেন আজ সেই রাজাকারদের বাঁচাতে যারা বিক্ষোভ মিছিল করে এবং যারা তাদের সমর্থন দেয় তাদেরকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দেয়া হবেনা???
১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি ১০১ সদস্যবিশিষ্ট একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হয় জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে। এই কমিটি ১৯৯২ সালে ২৬ মার্চ ’গণআদালত’ এর মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একাত্তরের নরঘাতক ‘গোলাম আযমের’ ঐতিহাসিক বিচার অনুষ্ঠান করে। গণআদালাতে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে দশটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উত্থাপিত হয়। ১২ জন বিচারক সমন্বয়ে গঠিত গণআদালতের চেয়ারম্যান জাহানারা ইমাম গোলাম আযমের ১০টি অপরাধ মৃত্যুদন্ডযোগ্য বলে ঘোষণা করেন।
জাহানারা ইমাম গণআদালতের রায় কার্যকর করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান
গণআদালত অনুষ্ঠিত হবার পর সরকার ২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ জাহানারা ইমামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে অ-জামিনযোগ্য মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করেন। ২৮ মার্চ ১৯৯৩ সালে নির্মূল কমিটির সমাবেশে পুলিশ বাহিনী হামলা চালায় । পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হন জাহানারা ইমাম, এবং তাঁকে পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
২৬ জুন ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় মিশিগানের ডেট্টয়েট নগরীর সাইনাই হাসপাতালে দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত ৬৫ বছর বয়সে জাহানারা ইমাম শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
গণআদালতে, স্বাধীনতা বিরোধী দেশদ্রোহ রাজাকারের ফাঁসি দেয়ার অপরাধে আমাদের শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে দেয়া রাষ্ট্রদ্রোহ এর মিথ্যা মামলা মাথায় নিয়ে মৃত্যু বরন করতে হয়েছিল। কারা আমার মাকে রাষ্ট্রদ্রোহ ঘোষণা করেছে তা আমাদের কারো অজানা নয়। তাদের কাছ থেকে এই জাতি কিই বা আশা করতে পারে??? ধিক্কার সেই সরকার প্রধান কে যে কিনা আমার মা শহীদ জননী কে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা ঘোষণা করেছিল।
ধিক্কার!!! ধিক্কার!!! ধিক্কার!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।