বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে সফিস্টিকেটেড যন্ত্রের থেকেও জটিল হচ্ছে চোখ। দেখার জন্য চোখের প্রতিটি অংশকেই একইসাথে উপস্থিত ও কর্মক্ষম থাকতে হয়। যেমন, যদি চোখের পাতা না থাকে, কিন্তু অন্য অংশগুলো যেমন কর্নিয়া, কন্জাংকটিভা, আইরিশ, পিওপিল, চোখের লেন্স, রেটিনা, কোরয়েড, চোখের পেশী, অশ্রু গ্রন্থি ঠিক না থাকে, তবুও কিছুদিনের মধ্যে চোখের ক্ষতি হবে এবং তা কার্যক্ষমতা হারাবে। একইভাবে, সবগুলো অঙ্গাণু উপস্থিত থাকার পরও যদি অশ্রু উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়, তবে শীঘ্রই চোখ শুষ্ক হয়ে অন্ধ হয়ে যাবে।
চোখের জটিল ডিজাইনের কাছে বিবর্তনবাদ ধোপে টিকে না।
বিশেষ সৃষ্টি ছাড়া চোখের অস্তিত্ব ব্যাখ্যা করা যায় না। চোখের সবগুলো অঙ্গাণুকে একইসাথে উপস্থিত থাকতে হবে। এমনটা সম্ভব ন্য় যে, অর্ধেক তৈরি হওয়া চোখ অর্ধেক দেখবে। সেক্ষেত্রে দেখা কোনভাবেই সম্ভব হবে না। একজন বিবর্তনবাদ গবেষকের মতে, চোখ এবং ডানার মধ্যে সাদৃশ্য এই যে, তারা পুরোপুরি গঠিত হওয়া ছাড়া কাজ করতে পারে না।
এই পর্যন্ত এসে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সম্মুখীন হই। কে চোখের সবগুলো উপাদান একইসাথে সৃষ্টি করল?
অবশ্যই চোখ ধারণকারী তার নিজের চোখের ব্যাপারে মতামত দেননি। কারণ, কাকে দৃষ্টিশক্তি বলে, এই জ্ঞান বহির্ভূত কোন জীবের পক্ষে দেখার অংগ তৈরী করে নিজের দেহের সাথে যুক্ত করা অসম্ভব। আর তাই আমাদের মেনে নিতে হয় একজন সর্বজ্ঞানী স্রষ্টাকে, যিনি দেখার ও শোনার মত অনুভূতিগুলো সৃষ্টি করেছেন। এছারাও অসচেতন কোষগুলো নিজেদের ইচ্ছায় দেখা ও শোনার জন্য সচেতন কোষে পরিণত হবে, এমনটিও সম্ভব নয়।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেছেন,
এদেরকে বল, আল্লাহই তো তোমাদের সৃষ্টি করেছেন, তিনিই তোমাদের শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি ও বিবেক-বুদ্ধি দিয়েছেন। তোমরা খুব কমই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকো। [সূরা আল-মূলক, ২৩]
মূল লেখক: হারুন ইয়াহিয়া [www.harunyahya.com]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।