১• ষ্টিয়ারিংঃ
ল্যাপটপের স্ত্র্নীনে তাকিয়ে আছে রিয়্যানা। দৃষ্টিটা বিষন্ন। সমসাময়িক দিনগুলো আপডেট হচ্ছেনা কিছুতেই। সকাল ৮ঃ৫৫মিনিট। বস্ আসবেন এখনি।
কিন্তু লোকাল এ্যাসাইমেন্টের কাজটা শেষ হয়নি। বাড়ন্তô শরীরের কনাগুলো ওৎ পেতে আছে জানান দিতে। স্মার্ট রিয়্যানা আবারো মনটাকে সেট করলো। সকাল ৯ঃ০৯ মিনিট। ইন্ডিকেটরটা বিপ করে জানান দিচ্ছে ‘বস্ এসেছেন।
‘রিয়্যানা?’ রিমলেস গ্লাসের মধ্যে দিয়ে তাকিয়ে আরটিএল’র চেয়ারম্যান রুদ্র মাহমুদ। নিজেকে সামলে রিয়্যানা বলল, ‘ইয়েস বস্’। ‘আজকের এ্যাসামেন্টের কি অবস্থা!’ ‘ চলছে। ’ ‘ওকে, তাড়াতাড়ি শেষ করো’। রিয়্যানা ফিরে গ্যালো নিজের ল্যাপটপের সামনে কিছুটা আচ্ছন্ন হয়ে।
শীতকালের আমেচার স্পর্শ করছেনা রিয়্যানা’র ঘেমে থাকা নাক আর বাম কপলের মাধুরী তিলটাকে। এয়ারফোনে বাজছে, “ তুমি যদি••• আমাকে কাছে এসে ভালোবাসো, কি জানি হয়••• হৃদয়ে•••”
২• সিচুয়েশনঃ
এয়ারপোর্টের এয়ার কন্ডিশন্ড রুমে ঘামছেন মিঃ রুদ্র। সেলুলারে ম্যাসেজ এসেছে ‘রিয়্যানা ইজ কোয়াইট সিক্’। রিয়্যানাকে হসপিটালাইজড করা হয়েছে। একজন এিকিউটিভ এসেছেন মিঃ রুদ্রকে নিতে।
ড্রাইভ, হসপিটালে। অপারেশন থিয়েটারে যাবার এ্যাটেনশন চলছে। হসপিটালের ডিরেক্টরের রুমে রুদ্র নির্বাক। প্রয়োজনীয় ফরমালিটিজ শেষে ওপেন করা হলো অপারেশন থিয়েটারের সার্চ লাইটগুলো। সবাই ব্যস্তô একটি নবজাতকে ডেলিভারী করার কাজে।
রিয়্যানা’র চোখে দুøতি। তাকে একটি ইনজেকশন দেয়া হয়েছে। রিয়্যানা ক্রমেই হারাচ্ছে তার নরমাল দৃষ্টি এ্যানেসথেসিয়ার গুনে। চলচ্ছে ছুরি কাঁচির খেলা। একটা সময় সবগুলো কড়া বাতি নিভে গ্যালো।
ব্যস্তô ডক্টররা বেরিয়ে এলেন স্ড়্গাই ব্লু কালারের এ্যাপ্রোন পড়ে। জানালেন, ‘গুড নিউজ’। জন্ম হলো একটি ‘ওয়ারিশ’! বাইরে চলছে শীতকালীন আনএক্্রপেক্টেড বর্ষা বিলাস।
৩• কাইমাক্্রঃ
রাত ৩টা। নিশাচর রাতপ্রহরী’র নেই কোন হাঁকডাক।
নিঃশ্চুপ মধ্যপ্রহরকে নেনে জাগিয়ে তুলছে এ্যালসেশিয়ানগুলো। শরতের আকাশে শিমূল তুলো মতো মেঘের ছায়া পড়’ছে রুদ্রের ডাইলেটেড চোখে••••। সিগ্রেটের শেষাংশে সম্বিৎ। সেলুলারে একটা শর্ট ম্যাসেজ এসেছে। ‘রিমেমবার মি হোয়েন অ্যাম গান অ্যাওয়ে, গান ফার অ্যাওয়ে ইনটু দ্য সাইলেন্ট প্লেস•••হোয়েন ইউ ক্যান নো মোর হোল্ড মি বাই দ্য হ্য’ মেসেজটির রিপ্লাই করলো না রুদ্র।
নিউরন ব্যস্তô এ্যলকোহলিক কানামাছিতে। রিয়্যানা’র ভাবনাগুলো কিছুটা না হয় হোচঁট খাক্ স্বপ্নের বালিয়াড়িতে। ট্র্যাকটি নিজের মধ্যেই আছে•••• নিজস্ব বৃত্তে, সে তো অবস্থান বদলাতে চাইবেই। কারণ, ‘চিরায়ত নিয়মে সবাই আপাত স্বাধীনতায় বিশ্বাসী•••!’
৪• রিয়ালিটিঃ
বিবস্ত্র রিয়্যানা এবং রিয়ালেস্টিক রুদ্র মুখোমুখি রিয়্যানার রঙিন ফ্যাটে। রুদ্র’র সিগ্রেটের ধোঁয়া ঘরময় ঘুরে ফিরচ্ছে ভারী ওয়েদারকে আরো বেশি রিয়ালেস্টিক করতে।
রুদ্র বাম হাত চেয়াল থেকে নামিয়ে ঠোঁট নাড়লোঃ ‘রিয়্যানা এখন তুমি কি বলতে চাচ্ছো!’ রিয়্যানা নিশ্চুপ! পাড় হয়ে গ্যালো আরো ১০/১৫টি মিনিট পরিবেশটাকে গম্্ভীর করতে করতে! অবশেষে সে বললোঃ ‘আমি চাই আপনার কোন ছায়া শিশুটার ওপর না পড়ুক। ’ ‘কিন্তু, কণ্ট্রাক্ট পেপার কি বলে?’ ‘আমি মানিনা••••’ ‘ শিশুটি আমার; সে আমার ওয়ারিশ, তুমি শুধু তাকে ১০মাস ১০দিন পেটে ধরেছো •••• নট্ মোর দ্যান। ’ ‘তার মানে আমি কি আমার প্রাপ্য••••’। ‘ রিয়্যানা তুমি পাস্টকে অস্বীকার করতে চাচ্ছো?’ ‘ুধা, দৈন্যতা, আর নষ্ট সেই দিনগুলো••••!’ ‘স্যার, আমি জানি এই রঙিন ফ্যাটের সব আপনার, বাইরের গাড়িটিও আপনার, আপনি এগুলো আমাকে দিয়েছেন আমার এই গর্ভটির ভাড়া মাত্র। কিন্তু, নাড়ি’র বাঁধন আমি কিভাবে ফেলে যাবো।
’ ‘দ্যাখো রিয়্যানা এত কিছু ভাবার মতো সময় আমার নেই। কণ্ট্রাক্টে যা আছে, তাই তোমাকে করতে হবে। এই প্যাকেটটিতে তোমার ফাইটের টিকিট সহ সবকিছু কনফার্ম করা আছে। আমি চাই শেষ সময়টুকু তোমার ভালো কাটুক শিশুটার সাথে•••• গুড্ বাই। ’
৫•অপটিমস্টিকঃ
এঞ্জেলের মতো শিশুটি খেলছে নিজের মনে।
রিয়্যানাকে দেখে সে মুখে হাসি ফোটালো। একবিন্দু অশ্রু আটকে আছে রিয়্যানা চোখের পাতায়। ফাওয়ার ভাসের পাশের সাইড মিররে সামনে এসে দাড়ালো রিয়্যানা। আকাশ পাতাল ভাবনা তার নিউরনে ঘুরপাক খাচ্ছে। ফাইটের সময় বাকি আর মাত্র ৫৬মিনিট।
যা ভাবতে হবে••••খুব দ্রুত। রিমুলেশনে ফিরে আসছে••••মায়ের শেষ সময়ের আচ্ছন্ন্ মুখটা, সমাজের কিছু পাপী মুখচ্ছবি, নস্টা হবার দিনগুলোর কথা। রিয়্যানা আর কিচ্ছু ভাবতে পারছে না। মাথার পেছনটা খুব পেইন করছে। এত্তনে মনে হয় পয়জন ট্যাবলেটগুলো ষ্টমাকের এনজাইমে মিশতে শুরু করেছে••••••নিরশ বসন্তেôর মাতাল হাওয়ায়••••••
১• ষ্টিয়ারিংঃ
ল্যাপটপের স্ত্র্নীনে তাকিয়ে আছে রিয়্যানা।
দৃষ্টিটা বিষন্ন। সমসাময়িক দিনগুলো আপডেট হচ্ছেনা কিছুতেই। সকাল ৮ঃ৫৫মিনিট। বস্ আসবেন এখনি। কিন্তু লোকাল এ্যাসাইমেন্টের কাজটা শেষ হয়নি।
বাড়ন্তô শরীরের কনাগুলো ওৎ পেতে আছে জানান দিতে। স্মার্ট রিয়্যানা আবারো মনটাকে সেট করলো। সকাল ৯ঃ০৯ মিনিট। ইন্ডিকেটরটা বিপ করে জানান দিচ্ছে ‘বস্ এসেছেন। ‘রিয়্যানা?’ রিমলেস গ্লাসের মধ্যে দিয়ে তাকিয়ে আরটিএল’র চেয়ারম্যান রুদ্র মাহমুদ।
নিজেকে সামলে রিয়্যানা বলল, ‘ইয়েস বস্’। ‘আজকের এ্যাসামেন্টের কি অবস্থা!’ ‘ চলছে। ’ ‘ওকে, তাড়াতাড়ি শেষ করো’। রিয়্যানা ফিরে গ্যালো নিজের ল্যাপটপের সামনে কিছুটা আচ্ছন্ন হয়ে। শীতকালের আমেচার স্পর্শ করছেনা রিয়্যানা’র ঘেমে থাকা নাক আর বাম কপলের মাধুরী তিলটাকে।
এয়ারফোনে বাজছে, “ তুমি যদি••• আমাকে কাছে এসে ভালোবাসো, কি জানি হয়••• হৃদয়ে•••”
২• সিচুয়েশনঃ
এয়ারপোর্টের এয়ার কন্ডিশন্ড রুমে ঘামছেন মিঃ রুদ্র। সেলুলারে ম্যাসেজ এসেছে ‘রিয়্যানা ইজ কোয়াইট সিক্’। রিয়্যানাকে হসপিটালাইজড করা হয়েছে। একজন এিকিউটিভ এসেছেন মিঃ রুদ্রকে নিতে। ড্রাইভ, হসপিটালে।
অপারেশন থিয়েটারে যাবার এ্যাটেনশন চলছে। হসপিটালের ডিরেক্টরের রুমে রুদ্র নির্বাক। প্রয়োজনীয় ফরমালিটিজ শেষে ওপেন করা হলো অপারেশন থিয়েটারের সার্চ লাইটগুলো। সবাই ব্যস্তô একটি নবজাতকে ডেলিভারী করার কাজে। রিয়্যানা’র চোখে দুøতি।
তাকে একটি ইনজেকশন দেয়া হয়েছে। রিয়্যানা ক্রমেই হারাচ্ছে তার নরমাল দৃষ্টি এ্যানেসথেসিয়ার গুনে। চলচ্ছে ছুরি কাঁচির খেলা। একটা সময় সবগুলো কড়া বাতি নিভে গ্যালো। ব্যস্তô ডক্টররা বেরিয়ে এলেন স্ড়্গাই ব্লু কালারের এ্যাপ্রোন পড়ে।
জানালেন, ‘গুড নিউজ’। জন্ম হলো একটি ‘ওয়ারিশ’! বাইরে চলছে শীতকালীন আনএক্্রপেক্টেড বর্ষা বিলাস।
৩• কাইমাক্্রঃ
রাত ৩টা। নিশাচর রাতপ্রহরী’র নেই কোন হাঁকডাক। নিঃশ্চুপ মধ্যপ্রহরকে নেনে জাগিয়ে তুলছে এ্যালসেশিয়ানগুলো।
শরতের আকাশে শিমূল তুলো মতো মেঘের ছায়া পড়’ছে রুদ্রের ডাইলেটেড চোখে••••। সিগ্রেটের শেষাংশে সম্বিৎ। সেলুলারে একটা শর্ট ম্যাসেজ এসেছে। ‘রিমেমবার মি হোয়েন অ্যাম গান অ্যাওয়ে, গান ফার অ্যাওয়ে ইনটু দ্য সাইলেন্ট প্লেস•••হোয়েন ইউ ক্যান নো মোর হোল্ড মি বাই দ্য হ্য’ মেসেজটির রিপ্লাই করলো না রুদ্র। নিউরন ব্যস্তô এ্যলকোহলিক কানামাছিতে।
রিয়্যানা’র ভাবনাগুলো কিছুটা না হয় হোচঁট খাক্ স্বপ্নের বালিয়াড়িতে। ট্র্যাকটি নিজের মধ্যেই আছে•••• নিজস্ব বৃত্তে, সে তো অবস্থান বদলাতে চাইবেই। কারণ, ‘চিরায়ত নিয়মে সবাই আপাত স্বাধীনতায় বিশ্বাসী•••!’
৪• রিয়ালিটিঃ
বিবস্ত্র রিয়্যানা এবং রিয়ালেস্টিক রুদ্র মুখোমুখি রিয়্যানার রঙিন ফ্যাটে। রুদ্র’র সিগ্রেটের ধোঁয়া ঘরময় ঘুরে ফিরচ্ছে ভারী ওয়েদারকে আরো বেশি রিয়ালেস্টিক করতে। রুদ্র বাম হাত চেয়াল থেকে নামিয়ে ঠোঁট নাড়লোঃ ‘রিয়্যানা এখন তুমি কি বলতে চাচ্ছো!’ রিয়্যানা নিশ্চুপ! পাড় হয়ে গ্যালো আরো ১০/১৫টি মিনিট পরিবেশটাকে গম্্ভীর করতে করতে! অবশেষে সে বললোঃ ‘আমি চাই আপনার কোন ছায়া শিশুটার ওপর না পড়ুক।
’ ‘কিন্তু, কণ্ট্রাক্ট পেপার কি বলে?’ ‘আমি মানিনা••••’ ‘ শিশুটি আমার; সে আমার ওয়ারিশ, তুমি শুধু তাকে ১০মাস ১০দিন পেটে ধরেছো •••• নট্ মোর দ্যান। ’ ‘তার মানে আমি কি আমার প্রাপ্য••••’। ‘ রিয়্যানা তুমি পাস্টকে অস্বীকার করতে চাচ্ছো?’ ‘ুধা, দৈন্যতা, আর নষ্ট সেই দিনগুলো••••!’ ‘স্যার, আমি জানি এই রঙিন ফ্যাটের সব আপনার, বাইরের গাড়িটিও আপনার, আপনি এগুলো আমাকে দিয়েছেন আমার এই গর্ভটির ভাড়া মাত্র। কিন্তু, নাড়ি’র বাঁধন আমি কিভাবে ফেলে যাবো। ’ ‘দ্যাখো রিয়্যানা এত কিছু ভাবার মতো সময় আমার নেই।
কণ্ট্রাক্টে যা আছে, তাই তোমাকে করতে হবে। এই প্যাকেটটিতে তোমার ফাইটের টিকিট সহ সবকিছু কনফার্ম করা আছে। আমি চাই শেষ সময়টুকু তোমার ভালো কাটুক শিশুটার সাথে•••• গুড্ বাই। ’
৫•অপটিমস্টিকঃ
এঞ্জেলের মতো শিশুটি খেলছে নিজের মনে। রিয়্যানাকে দেখে সে মুখে হাসি ফোটালো।
একবিন্দু অশ্রু আটকে আছে রিয়্যানা চোখের পাতায়। ফাওয়ার ভাসের পাশের সাইড মিররে সামনে এসে দাড়ালো রিয়্যানা। আকাশ পাতাল ভাবনা তার নিউরনে ঘুরপাক খাচ্ছে। ফাইটের সময় বাকি আর মাত্র ৫৬মিনিট। যা ভাবতে হবে••••খুব দ্রুত।
রিমুলেশনে ফিরে আসছে••••মায়ের শেষ সময়ের আচ্ছন্ন্ মুখটা, সমাজের কিছু পাপী মুখচ্ছবি, নস্টা হবার দিনগুলোর কথা। রিয়্যানা আর কিচ্ছু ভাবতে পারছে না। মাথার পেছনটা খুব পেইন করছে। এত্তনে মনে হয় পয়জন ট্যাবলেটগুলো ষ্টমাকের এনজাইমে মিশতে শুরু করেছে••••••নিরশ বসন্তেôর মাতাল হাওয়ায়••••••
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।