আমার শহরের শান্ত ছেলেটি নিজেকে নিয়োজিত করেছিল দেশ রক্ষার কাজে আন্তরিক ভালোবাসায়। নৃশংস ভাবে তাকে হারাতে হলো জীবন কিছু স্বার্থানেসীর কদর্যতায় ।
বিডিয়ার বিদ্রোহ নাকি কিছু মানুষের স্বার্থ জড়িত ছিল এই নৃশংসতায় তা সচেতন মানুষ জানে।
আমরা এমন আর কোন বিদ্রোহ চাই না। আমরা চাই আমাদের ভাই ভালবাসায় আন্তরিকতায় দেশের সেবা করুক এমন হিংস্র মৃত্যু নয় আর দেশের সব থেকে প্রশিক্ষিত-মেধাবী, দেশ প্রেমিক সন্তানদের হারাতে চাই না কোন অবস্থায় এভাবে আর।
সাতান্নটি পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা। শান্তিতে ঘুমাও তোমরা আমরা সব র্নিমূল করার অঙ্গিকার বদ্ধ এবার।
এইসব লোভী লোলুপদের শক্তিশালি পদ থেকে অপসারিত করতে হবে। দেশেকে যারা সত্যিকারে ভালোবাসে তেমন মানুষদের সবাই নির্বচিত করবেন, জনগন আপনাদের কথা বলবে যারা । বিভিন্ন উচ্চপদে অধিষ্টিত মানুষের আচরণ সন্দেপূর্ণ হলে শুরুতেই প্রতিবাদ করুন সবাই।
যেন তাদের হাত লম্বা হয়ে আকাশ ছূঁতে না পারে।
বাংলার মানুষ সবাই সচেতন হন। প্রজন্মের পাশে দাঁড়ান। ভুল ব্যাখ্যা বিবৃতিতে আর বিভ্রান্ত হবেন না। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই সবাই ঐক্য মত হয়ে সমেবেত হন এক জাগরনের মঞ্চে।
যে প্রজন্ম আজ বাংলার মানুষকে জাগিয়েছে তারাও এক একটি মেধার স্ফূলিঙ্গ যা এই বাংলার মানুয়ের অত্যন্ত প্রয়োজন আপনাদের কথা বলার জন্য। সচেতন থাকুন যেন তাদের উপর কোন হামলা না আসে। তাদের মতন করে আপনাদের কথা এই মুহুর্তে আর কেউ বলতে পারবে না।
এই জাগরণ আজ বাংলার মানুষের মনে। সাধারন মানুষের প্রশ্ন কেন শাহবাগে মানুষ, প্রজন্ম চত্বর কি কি চায় তারা?
আপনার বাড়ির মানুষসহ পাড়া প্রতিবেশীদের সচেতন করুন।
আমাদের দেশের মানুষ বেশীর ভাগ নিরক্ষর গ্রামের সাধারন মানুষ। তাদের সচেতনতা আছে যেমন আমরা দেখছি একজন ভিক্ষুকের মনে, রিকসাওলার মাঝে সচেতনতা। অথচ আমাদের দূর্ভাগ্য আমাদের অনেক শিক্ষিত মানুষ এখন ভাবছেন কী শুরু হলো রাস্তা বন্ধ করে বিপ্লব! কত অসুবিধা হচ্ছে। সিনেমায় যেতে পারছি না, বাসা থেকে বেরুতে পারছি না। বন্ধুদের আড্ডা বন্ধ।
বেশ তো স্বাভাবিক জীবন যাপন চলছিল। কিন্তু এই জীবন যাপন যে সত্যিকারের স্বাভাবিক জীবন যাপন নয় এই উপলব্ধি তাদের হয় না। আরো কিছু আছেন জ্ঞান পাপী। অথচ সব সুযোগগুলো তারা ভোগ করবেন অবশেষে।
টোকাইদের একটা গান দেখছিলাম প্রজন্ম চত্বরের।
চোখের জলে ভাসছিলাম। যদি ওরা বুঝতে পারে দেশ রক্ষার গান করে তবে ওদের চেয়ে ভালো অবস্থানের মানুষ কেন আজও র্নিবিকার দৈনন্দিন জীবন যাপনে। হিন্দি সিরিয়ালে ডুবে থাকেন, সচেতন হন না রাজাকারের কিছু পত্রিকা, টিভি চ্যানেলের প্রবেশ বন্ধে নিজের ঘরে। নিজেস্ব জীবন কেনাকাটা, সাজ ডেটিং এ ব্যাস্ত থাকেন। এত সবের পরে একবারও কি তাদের মনে হয় না কেন এই মানুষগুলো রাস্তায় পড়ে আছে দিনের পর দিন।
তারা আপনাদের কথা বলছে।
নাকি ভাবেন এসব যারা করছে তারা করুক আমরা নিজেদের মতন ভালো থাকি। কিন্তু সুবিধা আদায় হলে আপনারা কি তা ভোগ করবেন না? অথচ ইসলামের নামে মিথ্যা কথার ফুলঝুরিতে এমন অনেকে লাফিয়ে উঠেন।
দেশের বেশীর ভাগ মানুষ পত্রিকা পড়েন না। ইন্টারনেট আরো কম সংখ্যক ব্যবহার করেন।
তাই এখন দায়িত্ব এই জাগরণের মূল উদ্দেশ্য সঠিক ভাবে বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারন মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া, তাদের মাথায় ভুল তথ্য আর কেউ তুলে দেয়ার আগে। মৌলবাদীর নৃশংস চেহারার মুখোশ চিনিয়ে রাখা। ওরা সচেতন বাংলার মানুষ। শুধু সঠিক সময়ে সঠিক কথা ওদের কাছে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব এখন প্রত্যেকের।
বাকী রইল কী আর মসজিদরে ভিতর গুলি, আগুন দেয়া, পতাকা পুড়ানো, শহিদ মিনার ভাঙ্গা বইমেলায় আগুন।
ঐতিহ্য আর হৃদয়কে করছে রক্তাত র্নিদ্বিধায়। এইসব ইবলিশদের বিরুদ্ধে কথা বলতে আপনাদের কোন ধর্ম বাঁধা দেয় আপনাকে নিজেদের একবার জিজ্ঞেস করুন।
এরপরও চুপ করে থাকলে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে লাগবে আরো অনেক প্রজন্ম জীবন বাংলার মানুষ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।